কৃষি সংবাদ

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০ | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ১১:০৪

অনলাইন ডেস্ক
মেধা বিকাশে প্রাণিজ আমিষের বিকল্প নেই মৎস্য ও প্রাণিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খসরু বলেছেন, 'জাতির মেধা বিকাশে প্রাণিজ আমিষের বিকল্প নেই। সুস্বাস্থ্য ও মেধায় অগ্রগামী হতে না পারলে, দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে উন্নত শিক্ষা ও গবেষণা দরকার। দেশের প্রাণিজ আমিষের একটা অংশ পোল্ট্রি সেক্টর থেকে আসে। কিন্তু প্রাণিজ আমিষের অন্যতম ডেইরি সেক্টর তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে আছে। ডেইরি সেক্টরের উন্নয়নের জন্য সরকার ইতোমধ্যে ৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশে দুধের ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে।' বাংলাদেশ অ্যানিমাল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশন (বাহা) কর্তৃক আয়োজিত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গত শনিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলায়তনে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বাহার সভাপতি ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সাখাওয়াতের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খসরু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. জাকির হোসেন আকন্দ, পশুপালন অনুষদের ডিন এবং বাকৃবি ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, প্রাণিজসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল জব্বার শিকদার প্রমুখ। সিলেটে কৃষি সম্প্রসারণ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুদিনব্যাপী কৃষি সম্প্রসারণ সম্পর্কিত প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন। গত ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার 'টেকসই কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর ড. এম জুলফিকার রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. এম আসাদুজ্জামান সরকারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হাজী মো. দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম আবুল কাশেম, বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিমসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মূয়ীদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতের বিসিকেভি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মানাস মোহন অধিকারী। প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তৃতায় প্রফেসর ড. মতিয়ার রহমান হাওলাদার বলেন, 'আমাদের দেশের বর্ধনশীল অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমান সরকার কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে। আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে হলে, সমাজ ও গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নের বিকল্প নেই।' বর্তমানে বাংলাদেশে ৩৬ মিলিয়ন টন ধান, ৪ মিলিয়ন টন ভুট্টা, ১.৬ মিলিয়ন টন সবজি, ১১ মিলিয়ন টন আলু, ৩.৫ মিলিয়ন টন মসলা, ৫ মিলিয়ন টন ফল, ৪.৩ মিলিয়ন টন মৎস্য উৎপাদিত হচ্ছে বলে সম্মেলনে তথ্য প্রকাশ করা হয়। বরিশালে ভাসমান কৃষি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নাহিদ বিন রফিক ভাসমান কৃষির আধুনিক প্রযুক্তির ওপর দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ গত বৃহস্পতিবার বরিশালের রহমতপুরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্র্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্প অয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন। তিনি বলেন, শস্যের নিবিড়তা বাড়াতে দরকার ভাসমান কৃষির সম্প্রসারণ। এর অনেক সুবিধা। অসময়ে বৃষ্টি কিংবা বন্যায় তেমন কোনো ক্ষতি হয় না। স্বাদ ও গুণগতমান বজায় থাকে। তাই নিরাপদ ফসল উৎপাদনে এর ভূমিকা অনন্য। মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলীমুর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। প্রশিক্ষণে ভাসমান কৃষির চাষাবাদের পাশাপাশি এর সুবিধা, অসুবিধা এবং তা উত্তরণের ওপর বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে ডিএই, বারি এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের ৪০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।