আগাম আলু চাষে লাভবান কৃষক

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

আসাদুজ্জামান মুক্ত, চৌগাছা (যশোর)
যশোরের চৌগাছার আগাম জাতের আলুচাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। নতুন আলুর চাহিদা থাকায় ভালো দামও পাচ্ছেন চাষিরা। বাজারে পুরনো আলু কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৮-২০ টাকা আর নতুন আলু ২৫-৩০ টাকা দরে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৩৭০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এবার আলুর আবাদ হয়েছে ৩৫০ হেক্টর জমিতে। উপজেলার অধিকাংশ এলাকার চাষিরা আগাম জাতের আলুচাষ করে লাভবান হয়েছেন। তারা আগাম ধান কেটে ডাইমন্ড ও কার্ডিনাল জাতের আলুর চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর বাম্পার ফলন হচ্ছে এ বছর। উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের হাজরাখানা গ্রামের আলুচাষি লুকমানের ছেলে তুষার ইমরান বলেন, এবার শীতের প্রকোপ বেশি, তাই আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আগাম জাতের আলুর দামও বেশ ভালো। একই এলাকার চাষি নান্নু মিয়া জানান 'এবার তিন বিঘা জমিতে ডাইমন্ড জাতের আলুচাষ করেছি। বিঘাপ্রতি সেচ, সার, বীজ, নিড়ানি বাঁধাই, আলু তোলা, পরিবহণ, ও জমির বর্গাসহ খরচ হয়েছে ২০-২৫ হাজার টাকা। এক বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে আলু হয়েছে ৬০-৬৫ মণ। প্রতিমণ আলু ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছি। খরচ বাদে তিন বিঘা জমিতে প্রায় ১ লাখ টাকা লাভ হয়েছে। চাষিরা জানান, আলুচাষের জমিতে পরবর্তী ফসল খুব কম খরচে ঘরে তুলা যায়। গত বছর আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫০ হেক্টর জমি। আবাদ হয়েছিল ৩৭০ হেক্টর জমিতে। গত বছর আলুর দাম কম হওয়ায় এ বছর ২০ হেক্টর জমি কম চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দীন জানান, মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আলুর রোগ দমনসহ কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম জাতের আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই কৃষক আগাম আলু তুলে পরবর্তী ফসল লাগানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।