টক মিষ্টি করমচা

প্রকাশ | ২৬ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

তারেক মাহমুদ, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)
আয় বৃষ্টি ঝেপে, ধান দেব মেপে। লেবুর পাতায় করমচা, ঝড়-বৃষ্টি ঝরে যা। ছোটবেলায় এই ছড়া আমরা অনেকেই পড়েছি। কিন্তু এখনো অনেকেই হয়ত সেই করমচা ফলটাই দেখিনি। যদিও বতর্মান সময়ে ঔষধি এই ফলটি দেশের অনেক এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। বৃষ্টি ভেজা করমচা ফল, পাতা ও গাছ দেখতে সত্যিই অসাধারণ। করমচা ফলের গাছ বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গাতেই কমবেশি দেখা যায়। আমাদের বাড়ির আঙিনায় তেমন কোনো পরিচযার্ ছাড়াই এই করমচা চাষ করা যায়। ফলনও বেশ ভালো হয়। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পাতবিলা গ্রামের বীজ ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান বাবুল ঔষধি এই ফলের গাছ রোপণ করেছেন। প্রথমে অনেকটা শখের বসে লাগালেও এখন বুঝতে পারছেন ফলটা অনেক দরকারি। এই ফল প্রায় সারা বছরই তরকারি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া বষার্ মৌসুমে যখন অনেক ফল আসে তখন পাকা করমচার রস দিয়ে জেলি তৈরি করা হয়। যা খেতে অনেক সুস্বাদু। গাছে যখন ফুল আসে দেখতে অনেকটা বকুল ফুলের মতো। এই ফুল থেকে ফল হয়। ফলের রং প্রথম দিকে হয় সবুজ অথবা সাদাটে। তারপর ক্রমেই লালচে হতে শুরু করে। সম্পূণর্ পেকে গেলে এটি গাড় লাল থেকে কাল বণর্ ধারণ করে। এ সময় ফলটি মুখে দিলে লাল রসে ভরে যায়। খেতেও খুব ভালো লাগে। টক-মিষ্টি স্বাদ। তবে ফলটি পাকার আগে যখন এর বণর্ সবুজ থাকে তখন এতে কঁাঠালের মতো সাদা আঠা জাতীয় পদাথর্ থাকে। এ সময় খেতে টক লাগে। করমচায় ভিটামিন সি ও আয়রণে পরিপূণর্। করমচা দিয়ে আচার ও জেলি তৈরি করা যায়। ভারতীয় উপমহাদেশে বহুকাল আগে থেকে করমচা ওষুধ হিসেবে হয়ে আসছে। করমচা ফলের বৈজ্ঞানিক নাম ক্যারিসা ক্যারান্ডাস। উদ্ভীদ জগতের অ্যাপোসিনেসিয়া পরিবারের অন্তভুর্ক্ত। পাশ্বর্বতীর্ দেশ ভারতে এই করমচার অতি পরিচিত নাম কারাউন্ডা।