ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষাথীর্র অভিনব আবিষ্কার

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

রায়হান মাহবুব
স্মাটর্ ফোন কন্ট্রোল অবজেক্ট পিকিং রোবট
সাতক্ষীরা জেলার ছেলে সজীব সাহা। ছোটকাল থেকেই নতুন নতুন যন্ত্র আবিষ্কারের স্বপ্ন দেখত সে। বিজ্ঞানের এই উৎকষর্তার যুগে মাথার মধ্যে তার সবসময় ঘুরপাক খায় কীভাবে মানুষের মাঝে নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করা যায়। পড়ছে এমএসসিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সে অনেক প্রজেক্টের কাজ করেছে যেমন : ভয়েস কন্ট্রোলড হোম অ্যাপ্লিকেশন, সটর্ ডিসটেন্স রাডার ইউজিং আল্ট্রাসনিক, ডিসটেন্স মেজারমেন্ট ইউজিং আলট্রাসনিকসহ কয়েকটি প্রজেক্টের কাজ। তবে এবার এক অভিনব রোবট আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে। তার আবিষ্কৃত প্রজেক্টের নাম ‘স্মাটর্ ফোন কন্ট্রোল অবজেক্ট পিকিং রোবট।’ এই রোবটের মাধ্যমে সম্পূণর্ স্মাটর্ ফোন দ্বারা কন্ট্রোল করে কোনো বস্তুকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া যাবে। এতে ৪ চাকা সমৃদ্ধ গাড়ি আছে, যা কোনো বস্তুকে পরিবহনের কাজে এবং উদ্ধার কাজে ব্যবহার করা যাবে। রোবটটিতে একটি মেকানিক্যাল হাত আছে যার মাধ্যমে কোনো বস্তুকে যে কোনো দিকে ১৮০ ডিগ্রি কোণে ঘোরানো যাবে। মেকানিক্যাল হাতটি ডানে-বামে, উপরে-নিচে সবদিকে ঘোরানো যাবে। এটি স্মাটর্ ফোনের মাধ্যমে ৫০ মিটার পযর্ন্ত নিয়ন্ত্রন করা যাবে, তবে প্রয়োজন অনুসারে ওয়াইফাই মডিউল ব্যবহার করলে অনেক দূর থেকে এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যদি রোবটটির সাথে ক্যামেরা ও কালার সেন্সর ব্যবহার করা যায়, তবে এটি নিদির্ষ্ট বণের্র বস্তুকে নিজ থেকেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে উঠাতে (চিনতে) পারবে এবং অপারেটর ক্যামেরার ছবি দেখে অনেক দূর থেকেও যন্ত্রটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। যেসব স্থানে যাতায়াত ঝঁুকিপূণর্, সেখানে এ রোবটের মাধ্যমে কোনো বস্তু আনা বা পাঠানো যাবে। একজন অপারেটরের মাধ্যমে এমন অনেক রোবট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, যার ফলে সব ক্ষেত্রে জনশক্তি কম লাগবে এবং ঝঁুকিও থাকবে না । এ অভিনব যন্ত্রের আবিষ্কারক সজীব সাহা বলেন, আমার জানা মতে এমন প্রজেক্টের কাজ বাংলাদেশে এই প্রথম। এটি তৈরিতে আমার প্রায় ৪ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে রোবটটির দ্বারা অনেক কাজ করানো সম্ভব হবে। যেমন, কলকারখানায় ব্যবহারের ফলে খরচ ও জনবল দুটিই কম প্রয়োজন হবে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে সজীব সাহা বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমি বড় কোনো কোম্পানির ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে কাজ করতে চাই এবং দেশকে বিজ্ঞানের দিক থেকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে চাই।’