কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

স্বপ্ন দেখি সাংবাদিকতায়

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

সোহাগ মনি
বতর্মান তরুণ প্রজন্মের কাছে সাংবাদিকতা খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে। সাংবাদিকতাকে নিয়ে তরুণ প্রজন্ম স্বপ্ন দেখছে। অনলাইন, প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় অনেকেই শুরু করছে তাদের ক্যারিয়ার। সামাজিক মযার্দা, সম্মান আর পরিচিতির সুযোগ থাকায় সাংবাদিকতাকে প্রথম পছন্দ হিসেবে নিতে দ্বিধা করছেন না বতর্মান তারুণ্যর প্রতীক তরুণ প্রজন্ম। সাংবাদিকতার উৎকষের্ ২০১৫-১৬ শিক্ষাবষের্ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা’ বিভাগ এর শুরু হয়। ৫৩ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে কাযর্ক্রম শুরু করে এ বিভাগটি। বতর্মানে শিক্ষাথীর্র সংখ্যা দুই শতাধিকের বেশি। আর ব্যাচ যত বাড়ছে প্রতি বছর শিক্ষাথীর্র সংখ্যাও বাড়ছে। সাংবাদিকতা বিভাগের বেশ কিছু শিক্ষাথীর্ এখন দেশের প্রথম সারির দৈনিক এবং অনলাইন পোটাের্ল বিশ^বিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। অনেকে আবার বিভিন্ন দৈনিকে ফিচার, প্রবন্ধ, নিবন্ধ লিখছেন। চচার্ করছে সাংবাদিকতার। স্বপ্ন দেখছে সাংবাদিক হওয়ার। সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বষের্র শিক্ষাথীর্ আবুল বাশার সাজ্জাদ বলেন, ‘বেশ আগ্রহ নিয়েই এ বিভাগে পড়তে এসেছি, সাংবাদিকতাকে নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন দেখি।’ স্বপ্নকে হাতের মুঠোয় নিয়েই ছুটতে চান দূর হতে বহুদূর, বিশ্বকে আলিঙ্গন করার প্রত্যয়ে হৃদয় উজাড় করে দিতে চান সাংবাদিকতায় পড়তে আসা শিক্ষাথীর্রা। সাংবাদিকতা বিভাগের আরেক শিক্ষাথীর্ মারজিয়া সুলতানা বলেন’ সাংবাদিকতাকে ভালোবাসি বলেই এই বিভাগে ভতির্ হওয়া। একদিন দেশ সেরা সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্নটা তো রয়েছেই।’ এভাবে বিভাগের প্রায় শিক্ষাথীর্রই স্বপ্ন সাংবাদিকতাকে নিয়ে। দেশের সব জায়গায় পরিচিতি আর সম্মানের দিকটিই আকৃষ্ট করছে এ বিভাগের শিক্ষাথীের্দর। সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র বলে নিজেকে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন সবাই। নিজেদেরকে একই পরিবারের সদস্যই ভাবেন এ বিভাগের শিক্ষাথীর্রা। একে অপরের হাতে হাত রেখে সংবাদ মাধ্যমে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে এরা বদ্ধপরিকর। সাংবাদিকতা বিভাগের প্রতিটি শিক্ষাথীর্ই এখন বাংলাদেশ জানাির্লজম স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সদস্যসহ কাযর্করী কমিটিতে রয়েছেন। একদিন দেশ ও দশের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রেখে, মানবিক দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি সমাজে বিরাজমান অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দঁাড়ানোর প্রত্যয়ই ফুটে ওঠে তাদের চোখে মুখে। তাই তারা স্বপ্ন দেখেন সাংবাদিকতায়...।