উচ্চশিক্ষায় ভতির্চ্ছুদের পাশে ‘সিলসা’

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

রুমান হাফিজ
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভতির্ হওয়া বেশ ঝক্কির ব্যাপার। চাইলেই পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভতির্ হওয়া যায় না। বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ জন্য নানামুখী দুভোর্গ-বিড়ম্বনা, ভোগান্তি ও মানসিক চাপের শিকার হতে হয় শিক্ষাথীর্ এবং অভিভাবকদের। কারণ উচ্চশিক্ষায় দিন দিন শিক্ষাথীের্দর আগ্রহ পাশাপাশি আগমন বৃদ্ধি পেলেও তুলনামূলকভাবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা কিংবা আসন বাড়ানোর ব্যাপারে তেমন পরিবতর্ন হচ্ছে না। যার দরুন বিপুলসংখ্যক শিক্ষাথীের্দর আগমনে রীতিমতো তা ভতির্যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোটাছুটি করতে গিয়ে নাভিশ্বাস ওঠে ভতির্চ্ছুদের। দুভোের্গর পাশাপাশি নানারকম অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি পড়তে হয় অনেককেই। পরীক্ষার হল চেনা, আসন খুঁজে বের করা, যাতায়াত এসবের ঝক্কিঝামেলাও কম নয়। শিক্ষাথীের্দর নানাবিধ সমস্যার কথা চিন্তা করে অনলাইন ভিত্তিক কাযর্ক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সহযোগিতা করে আসছে স্বেচ্ছায় নিবেদিত শিক্ষাথীের্দর দ্বারা পরিচালিত সংগঠন ‘সিলসা’। ‘ঝঃঁফবহঃ ভড়ৎ ঝঃঁফবহঃ’ ¯েøাগান নিয়ে ‘ঝবপড়হফধৎু অহফ ওহঃবৎসবফরধঃব খবাবষ ঝঃঁফবহঃং’ ডবষভধৎব অংংড়পরধঃরড়হ’ সংক্ষেপে ঝওখঝডঅ (সিলসা) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষাথীের্দর সম্মিলিত একটি সংগঠন; যার মাধ্যমে স্বেচ্ছায় উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভতির্চ্ছু শিক্ষাথীের্দর একাডেমিক সহায়তা, বিভিন্ন তথ্য এবং সুনিদির্ষ্ট গাইডলাইন সরবরাহ করা হয়ে থাকে। প্রতি বছরের মতো এবারও ভতির্ পরীক্ষায় আগত শিক্ষাথীের্দর পরীক্ষার হল চেনানো, আসন খুঁজে দেয়াসহ সব ধরনের সহায়তায় মাঠে থাকবে সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সিলসা’। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সব গুরুত্বপূণর্ পয়েন্টে থাকবে হেল্প বুথ। ক্যাম্পাসগুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে সিলসার লগোসহ টি-শাটর্ পরা স্বেচ্ছাসেবীরা। পরীক্ষা দিতে আসা যে কেউ প্রয়োজনে সিলসার সাহায্য নিতে পারবে। সিলসার শুরু এবং বতর্মান কাযর্ক্রম নিয়ে যেমনটা বলছিলেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাকেির্টং বিভাগের শিক্ষাথীর্ রিফাত হাসান চৌধুরী, ‘সিলসার যাত্রা ২০১৬ সালের অক্টোবরে। প্রাথমিক পযাের্য় শুধু ঢাবি কেন্দ্রিক কাযর্ক্রম পরিচালিত হলেও বতর্মানে আরও ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিলসার কাযর্ক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা ফেসবুক গ্রæপ ও রয়েছে। যেমন ঢাবির জন্য ‘উৎবধস ঞড় উযধশধ টহরাবৎংরঃু’। সংগঠনের সেক্রেটারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের শিক্ষাথীর্ ওয়াসিফ আজিম জানান, ‘অনলাইনে প্রায় পঁাচ লাখ শিক্ষাথীর্ সিলসার মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে। ভতির্চ্ছু শিক্ষাথীের্দর টিউটোরিয়াল, ক্লাস, ঢাবির প্রশ্নের আদলে মডেল টেস্ট, বিভিন্ন জটিল টপিক সহজ ভাষায় পোস্টের মাধ্যমে উপস্থাপনসহ শিক্ষাথীের্দর অনুপ্রাণিত করে আসছে সিলসা। ভতির্চ্ছু শিক্ষাথীর্ ছাড়াও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাথীের্দর উদ্দেশ্যে এসব কাযর্ক্রম চলতে থাকে বছরব্যাপী।’ প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি রিফাত হাসান চৌধুরী সিলসা নিয়ে তার স্বপ্নের কথা জানাচ্ছিলেন, ‘যারা টাকার অভাবে কোচিং করতে পারে না, বা কোচিং করেও সঠিক গাইডলাইন পায় না, তাদের স্বপ্ন পূরণের পথে সহায়তা করতে চায় সিলসা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শহুরে, ধনী পরিবারের শিক্ষাথীের্দর সঙ্গে তাল মিলিয়ে দরিদ্র ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষাথীের্দর পদচারণায় মুখরিত হতে থাকুক; এমনটাই প্রত্যাশা সিলসা সভাপতির। আর এই সংগঠনের সঙ্গে নিঃস্বাথর্ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন অনেক নিবেদিতপ্রাণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষাথীর্।