দিনাজপুর সরকারি কলেজ একটি প্রাপ্রণ ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২৮ হাজার শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকত যে ক্যাম্পাস আজ সে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই করোনার কারণে নিস্তব্ধ। ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা পরিচালিত বেশ কিছু সামাজিক সংগঠনের কার্যক্রমও তাই আটকে গেছে। কিন্তু এরই মধ্যে যে দু'একটি সামাজিক সংগঠন তাদের সামাজিক কার্যক্রম বজায় রেখেছে ফিউশন তার মধ্যে অন্যতম।
২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি দিনাজপুর সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা পরিচালিত। বৃক্ষরোপণ ও রক্তদান কর্মসূচিসহ এ করোনাকালে মাস্ক বিতরণ, মাস্ক পরিধানবিষয়ক দেয়ালচিত্র অংকনসহ নানান কর্মসূচি পালন করে ইতিমধ্যে সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
মাসুমা মায়মুর একজন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। লাল টিপ, গড় অংকের গড়মিলসহ বেশকিছু জনপ্রিয় বই তিনি লিখেছেন। জনপ্রিয় মাসিক রহস্য পত্রিকায় তিনি নিয়মিতই লিখে থাকেন। লেখালেখির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডেও অংশগ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি দিনাজপুরের শীতার্ত মানুষের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ফেসবুকে তার উদ্যোগের কথা জানতে পেরে অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
ফিউশনের কার্যক্রম দিনাজপুরে। আর মাসুমা মায়মুর থাকেন ঢাকায়। এ দুটির মধ্যে মেলবন্ধন ঘটালেন বিশ্বজিৎ দাস। তিনি দিনাজপুর সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। পাশাপাশি তিনি একজন কথাসাহিত্যিক। মোখলেস ভাই উপাখ্যান সিরিজ, তুরাশ, বাঘ বিড়াল, বাক্সভরা হাসির গল্প, ভুতুড়ে ট্রেনসহ বেশকিছু বইয়ের তিনি রচয়িতা। রহস্য পত্রিকায় তার লেখাও মাঝেমধ্যে প্রকাশিত হয়ে থাকে। মাসুমা মায়মুরের উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করতে তিনিই ফিউশনের সঙ্গে মাসুমা মায়মুরকে যোগাযোগ করিয়ে দিলেন।
ফিউশনের ছাত্রছাত্রীরা বেশ কয়েকদিন পরিশ্রম করে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণের লক্ষ্যে তালিকা প্রস্তুত করে তাদের হাতে কার্ড পৌঁছে দিয়েছে। ফলে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে গত ২৯ ডিসেম্বর দিনাজপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন।