বঙ্গবন্ধুকে জানতে...
রাবিতে বঙ্গবন্ধু কর্নার
\হওয়াসিফ রিয়াদ
ছয়টি বড় শেলফে সাজিয়ে রাখা হয়েছে সারি সারি বই। চারদিকে দেয়ালে টাঙানো বঙ্গবন্ধুর ছবি, রয়েছে মু্যরাল ও নানাবিধ স্মারক। শেলফের পাশে রয়েছে লম্বা তিনটি টেবিল। দেখে মনে হবে ছোটখাটো সমৃদ্ধ একটি গ্রন্থাগার। বলছিলাম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে নির্মিত 'বঙ্গবন্ধু কর্নার'-এর কথা। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশপ্রেম, ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা ও দর্শন নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালায় এটি নির্মাণ করেছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা।
প্রায় সাড়ে চার হাজারেরও বেশি বইয়ের সংগ্রহ রয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নারে। এর মধ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর রচিত সাড়ে তিন হাজার মূল্যবান গ্রন্থ এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ১১০০ গ্রন্থ রয়েছে। পরিদর্শনের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পিএইচডি করতেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আসেন এখানে। বসে পড়ার সুবিধার্থে রয়েছে তিনটি টেবিল। শিক্ষার্থীরা চাইলে বই পড়েই অবসর কাটাতে পারবেন। বঙ্গবন্ধুকে নতুন করে জানতে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শনে আসেন বলে জানিয়েছেন শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালার কিউরেটর সফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, দেড় বছর আগে বঙ্গবন্ধু কর্নারের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এটি একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। এখানে সবমিলে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি গ্রন্থ রয়েছে। প্রতিনিয়ত বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু কর্নারটি প্রতিষ্ঠাতা এবং তত্ত্বাবধায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা মনে করেন, বঙ্গবন্ধু কর্নারে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে অসংখ্য গ্রন্থ রয়েছে, যার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে খুব কাছ থেকে জানতে পারবে, পাশাপাশি স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস অনুধাবন করতে পারবে।
মাভাবিপ্রবিতে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ
ক্যাম্পাস ডেস্ক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান স্যার মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, যুক্তরাজ্যের দি কুইন্স ইউনিভার্সিটি অব বেলফাস্ট থেকে পিএইচডি এবং যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব অ্যাবারডিন থেকে পোস্ট- ডক্টরেট করেছেন। তিনি ১৯৮০-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার এগ্রিকালচার (বিনা)-তে যথাক্রমে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
হিসেবে কর্মরত ছিলেন।