রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

কাশফুলের সঙ্গে মিতালি

শরৎকে বলা হয় শুভ্রতার প্রতীক! শিউলি ফুল, স্বচ্ছ নীল আকাশ, মায়াবী জ্যোৎস্না, শুভ্র কাশফুল যার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রাচীনকাল থেকেই এ দেশের মাঠে-ঘাটে কাশফুলের দেখা মেলে...

প্রকাশ | ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

আসিফ হাসান রাজু
প্রেমময় কবি রবী ঠাকুর তার শরৎ কবিতায় লিখেছিলেন “আজি কি তোমার মধুর মূরতি, হেরিনু শারদ প্রভাতে! হে মাত বঙ্গ, শ্যামল অঙ্গ ঝুলিছে অমল শোভাতে। পারে না বহিতে নদী জলধার, মাঠে মাঠে ধান ধরে নাকো আর ডাকিছে দোয়েল, গাহিছে কোয়েল, তোমার কাননসভাতে! মাঝখানে তুমি দঁাড়ায়ে জননী, শরৎকালের প্রভাতে।” এমন কবিতার পঙ্ক্তিমালায় কার মন না ছুঁয়ে যায়? শরৎ মানেই মনের কোণে নাড়া দেয় ফুটন্ত কাশফুলের কথা। শরৎ মানেই নীল আকাশ, সাদা মেঘের ভেলা, শান্ত বাতাস। বৈচিত্র্যময় ঋতুর দেশ আমাদের প্রিয় এই মাতৃভূমি। যেখানে প্রতিটি ঋতু আসে ভিন্ন ভিন্ন রূপ নিয়ে। ঠিক তেমনি ঋতু ভেদে দেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও যেন নতুন আবেশে সাজে। সৌন্দযের্র লীলাভূমি মতিহারের এ ক্যাম্পাসে শরতে অন্যতম আকষর্ণ কাশফুলের দেখা মিলবে। বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ুম ইন্টান্যাশনাল ডরমেটরির পাশে, কৃষি অনুষদ, চারুকলা, বদ্ধভ‚মির পুকুর পাড়ে দেখা মেলে মন ভোলানো এ কাশফুলের। যা বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়েছে অন্যান্য সৌন্দযের্র ছেঁায়া। প্রকৃতির এ অপরূপ সোভা যে কাউকে বিমোহিত করবে। শরৎতের পড়ন্ত বিকেলের আবেশ ছড়ানো রোদ সত্যিই মনকাড়া। দূর আকাশে মেঘের ভেলা, কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টি এ যেন রৌদ্র মেঘের লুকোচুরি খেলা আর শুভ্র কাশফুলের যৌবনের উন্মাদনার এমন দৃশ্য কার না ভালো লাগে? বিশেষ করে এ দৃশ্য তরুণ মনে এক পুলকিত শিহরণের সৃষ্টি করে। তাইতো প্রিয় মানুষের সঙ্গে কিছু সময় কাটাতে শরতের পড়ন্ত বিকেলে ঘুরতে দেখা যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীের্দর। বিকেলের হালকা বাতাসে দোলা কাশফুলকে দেখে মনে হবে এ যেন প্রকৃতি বাংলার প্রতিচ্ছবি। শরতের নীল আকাশে কাচের মতো স্বচ্ছ গুচ্ছ গুচ্ছ সাদা মেঘের অবিরাম ছুটে চলা মনোরম এ দৃশ্য কবি মনের মতো মাতিয়ে তোলে সবাইকে। শরৎকে বলা হয় শুভ্রতার প্রতীক! শিউলি ফুল, স্বচ্ছ নীল আকাশ, মায়াবী জ্যোৎস্না, শুভ্র কাশফুল যার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রাচীনকাল থেকেই এ দেশের মাঠে-ঘাটে কাশফুলের দেখা মেলে। বুধবার বিকেলে শরতের অন্যতন আকষর্ণ এই কাশফুলের মাঝে কিছু সময় কাটাতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষাথীর্ পিয়াংকা পারভীন পিংকি ও তার বন্ধুরা বলেন, “শরৎ মানেই কাশফুলের সাথে মিতালী। আমি অপেক্ষা করি শরতের জন্য। কাশফুলের ছেঁায়ায় আজ আমাদের ক্যাম্পাস নতুন সাজে সেজেছে। আর দল বেঁধে এভাবে সেই সৌন্দযের্ক অনুভব করা একটা রোমান্টিকতার ছেঁায়া। এ অনুভূতিকে ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সাদা মেঘের সাথে নীল আকাশ আর সাথে কাশফুল একত্রে পাওয়া এ যেন অন্যরকম পাওয়া।”