পাহাড়ে ঘেরা সবুজ ক্যাম্পাস

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

মাহমুদ উদ্দীন মামুন
বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দযের্র লীলাভ‚মি চট্টগ্রামের আন্তজাির্তক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় । শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাহাড়ঘেরা সবুজ অরণ্যের মাঝে আমাদের এই ক্যাম্পাস। ৪৩ একর জমির ওপর নিজস্ব ক্যাম্পাসে ৪০টি ভবনে আইআইইউসির শিক্ষা কাযর্ক্রম পরিচালিত হচ্ছে। দেশের শিক্ষাথীর্র পাশাপাশি ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, চীন, সোমালিয়া, মালদ্বীপ, নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়া ও সুদানের ২ শতাধিক বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। ক্যাম্পাসের যেদিকে দৃষ্টি যায় সেদিকেই সবুজ আর সবুজ। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দযর্ যে কাউকে বিমোহিত করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান আকষর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেইট, সেন্ট্রাল মসজিদ, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি, খেলার মাঠ, অডিটোরিয়াম, শহীদ মিনার, বিবিএ বিল্ডিং, হল, সাইন্স ফ্যাকাল্টির পিছনে রেললাইন এবং ক্যাম্পাস থেকে খুব কাছেই সমুদ্রসৈকত, খৈয়াছড়া ঝণার্, সীতাকুÐ ইকোপাকর্, ভাটিয়ারী ক্যাফে২৪, মহামায়া লেক ও কুমিরা ঘাট। বিশ্ববিদ্যালয় রাতের ক্যাম্পাস যেন এক অসাধারণ রূপে সাজতে থাকে। যারা হলে থাকে তারাই এই সৌন্দযর্ উপভোগ করতে পারে। চারদিকে লাল, নীল, সবুজের আলোর মেলা বসে। বিশ্ববিদ্যালয় কেবল বড় বড় ডিগ্রি অজর্ন আর ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট, মিড, থিসিস আর পরীক্ষায় সীমাবদ্ধ থাকবে এই ধারণা মানতে নারাজ আইআইইউসিয়ানরা। লেখাপড়ার পাশাপাশি আড্ডা, গান, বিতকর্, নাটক, খেলাধুলা, সমসাময়িক বিষয় নিয়ে চলে আলোচনা। রাতের বেলা হলের সামনে খেলাধুলা আর আড্ডায় মাতিয়ে রাখে ক্যাম্পাস। আইআইইউসিয়ানদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জ্ঞানের সঙ্গে নৈতিকতার সমন্বয় ঘটিয়ে একজন আদশর্ দেশ গড়ার কারিগর হওয়া। প্রতিটি ডিপাটের্মন্টে আছে কালচারাল ক্লাব যার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা সৃজনশীল কমর্কাÐে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে থাকে। আর এজন্যই দিনকে দিন সবার নজর কেড়েছে আন্তজাির্তক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম। ইংরেজি বিভাগের চতুথর্ বষের্র শিক্ষাথীর্ জুনায়েদুল বারী বলেন, শিক্ষার মানের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দযর্ এবং অবকাঠামোগত সমৃদ্ধির কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে আলাদা করে তুলেছে। আইন বিভাগের প্রথম বষের্র শিক্ষাথীর্ ছালেম চৌধুরীর কথায় উঠে আসে বিশ^বিদ্যালয়ের পরিবেশ। তিনি বলেন, আমাদের ক্যাম্পাস রাজনীতি ও ধূমপানমুক্ত, সিনিয়র- জুনিয়র সৌহাদর্্য এবং শান্তিপূণর্ সহবস্থানের অনন্য দৃষ্টান্ত। কুরআনিক সায়েন্সস বিভাগের চতুথর্ বষের্র শিক্ষাথীর্ শাকির, শরিফ, সালেহ, আনিসরা বলছিলেন, আমরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ভতির্ হয়ে পাবলিকে না পড়ার একটা আপসোস ছিল কিন্তু আইআইইউসির পরিবেশ আমাদের কিছুটা হলেও তা পূরণ করছে। কম্পিউটার বিভাগের নাইজেরিয়ান শিক্ষাথীর্ শামসু সানী বলছিলেন, আমি বাংলাদেশের আইআইইউসির ক্যাম্পাসে এসে আমার কখনো মনে হয়নি আমি আমার দেশের বাহিরে আছি। এটা আমার দ্বিতীয় জন্মভূমি শিক্ষকরা আমাদের সঙ্গে পিতার স্নেহ দিয়েছে। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রথম বষের্র শিক্ষাথীর্ ওমর ফারুক, মেহেদী, মারুফরা বলছিলেন তাদের ভালো লাগার কথা, আমরা প্রথম এসে সবুজ শ্যামল ক্যাম্পাসের প্রেমে পড়েছিলাম। এই ক্যাম্পাসের প্রতিটি কোনায় জড়িয়ে আছে ভালোবাসা তাই যখনি অবসর পাই তখনি আড্ডা দিতে বসি। আমাদের পাহাড়ে ঘেরা সবুজ এই ক্যাম্পাসে সবাই আপন মনে মুক্তজ্ঞান চচার্ করে চলছে। সবার একটাই স্বপ্ন আগামীর পথচলা সবুজের মতো সৌন্দযর্ ও বিশালতা হোক।