ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

হলজীবনের জন্মদিন

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

ইমানুল সোহান
হল জীবনে জন্মদিন পালন করছে এক শিক্ষাথীর্
প্রিয়জন ছেড়ে জীবনের তাগিদে শিক্ষাথীের্দর পাড়ি দিতে হয় মাইলের পর মাইল। যেতে হয় অচেনা শহরে। যে শহরের মানুষগুলোও অচেনা। দিনের পালাক্রমে অচেনা মানুষগুলো প্রিয়জন হয়ে যায়। বিশ^বিদ্যালয়পড়–য়া প্রত্যেক শিক্ষাথীর্র গল্প এটি। বিশ^বিদ্যালয়জীবনে স্মৃতির কমতি থাকে না। তবে মধুর কিছু স্মৃতি থাকে যা ভুলবার নহে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারেনি সে হলজীবনের মধুরতা বুঝতে পারবে না। সে বুঝতে পারবে না হলজীবন কী? আর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও যে হলে থাকতে পারেনি সে হয়তো আরও হতভাগা। দীঘর্ ক্যাম্পাসজীবনের স্মৃতিময় সময় লিপিবদ্ধ থাকে হলজীবনের কাটানো সময়গুলোতে। হলের অনেক আনন্দ উৎসবের মধ্যে জন্মদিন পালনের সময়টুকু স্মরণীয় হয়ে থাকে সবার জীবনে। নিজের অজান্তে রাত ১২টায় রুমের সামনে বন্ধুদের আগমন। তারপর কেক এবং উপহারসামগ্রী নিয়ে রুমে প্রবেশ। নানা খুঁনসুটির মধ্য দিয়ে জন্মদিন পালন। তারপর বন্ধুর কাছে জোরপূবর্ক ট্রিট নেয়া। সবই বিশ^বিদ্যালয় জীবনের হলজীবনে ঘটে থাকে। বলছি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলজীবনের জন্মদিনের কথা। যেখানে বতর্মানে প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষাথীর্র পদচারণা। বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষাথীের্দর জন্য ৭টি আবাসিক হল রয়েছে। তারমধ্যে চারটি ছেলেদের আর তিনটি মেয়েদের। নিজ নিজ বন্ধুদের জন্মদিন পালনে সবাই উৎসাহ সহকারে জন্মদিনের আয়োজন করে। সেটা গোপন রেখে। ঠিক ঘড়ির কঁাটায় যখন দুপুর ১২টা বাজে বন্ধুরা এসে হাজির হয় রুমের দরজায়। বন্ধুর সিক্ত ভালোবাসায় অভিভূত হতে হয় সবাইকে। নিজের পিতা-মাতাকে ছেড়ে থাকার দুঃখ ভুলিয়ে দেয় সেই মুহ‚তর্টুকু। তাই বন্ধুদের বুক ভরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলে না কেউ। হলজীবনের জন্মদিন পালনের অভিজ্ঞতা বণর্না করতে গিয়ে বাংলা বিভাগের ২য় বষের্র শিক্ষাথীর্ সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহারের মধ্যে জন্মদিন পালনের মুহ‚তির্ট ছিল অন্যতম। নিজের অজান্তেই বন্ধুরা মিলে আমার জন্মদিনের আয়োজন করে। যেটি আমাকে অভিভূত করেছে। হলজীবনের অভিজ্ঞতা বলতে লোকপ্রশাসন বিভাগের অনাসর্ শেষ বষের্র শিক্ষাথীর্ ইরফান মাহমুদ রানা বলেন, ‘বাবা-মা, ভাই ও বোনের পরে আমার বুকে বন্ধুত্বের আসন। কারণ প্রিয়জনের অভাব পূরণে সবসময় পাশে থাকে বন্ধুরা। বিশ^বিদ্যালয় আসার আগে কখনো জন্মদিন পালন করিনি। তবে ক্যাম্পসের হলজীবনে তা পেয়েছি। জীবনের মধুর স্মৃতিগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এভাবেই হলে অবস্থানরত সব শিক্ষাথীর্ জন্মদিন পালনে বন্ধুত্বের অবদান না দিয়ে পারবে না। কারণ শুভ জন্মদিনে বন্ধু ও বড় ভাইদের ভালোবাসায় সিক্ত হয় সবাই।