ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়

নান্দনিকতার বঙ্গবন্ধু হল

প্রকাশ | ০৭ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ইমানুল সোহান
হলের সামনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীর্
ছাত্রজীবনের সবচেয়ে স্মৃতিময় ও বৈচিত্রের সময় হচ্ছে বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসজীবন। যেখানে বারবার ছুটে যেতে ইচ্ছে হয়। হাসি-কান্না, গল্প-আড্ডা ও গান সবই মিলে ক্যাম্পাসজীবনে। এমনই এক ক্যাম্পাস দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়। ১৭৫ একরজুড়ে ক্যাম্পাসটি প্রাকৃতিক সৌন্দযের্র লীলাভ‚মি। এই লীলাভ‚মি প্রতিনিয়ত ১৬ হাজার শিক্ষাথীর্র পদচারণায় মুখরিত থাকে। এই ১৬ হাজার শিক্ষাথীর্র জন্য বিশ^বিদ্যালয়টিতে আবাসিক হল রয়েছে ৮টি। তন্মধ্যে ৩টি মেয়েদের আর বাকি ৫টি ছেলেদের। সব হলের নিজস্ব কিছু বৈচিত্র্যতা রয়েছে। তবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল নান্দনিকতাপূণর্ এক হল। ১৯৯৭ সালে ৫ একর জায়গা নিয়ে হলটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৯৯ সালে হলটির উদ্বোধন করেন বতর্মান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হলটিতে দেশীয় ছাত্রদের পাশাপাশি বিদেশি ছাত্রদের দেখা মিলবে। কারণ হলটিতে দেশীয় ও আন্তজাির্তক নামে দুটি বøক রয়েছে। হলটির অবকাঠামো নিমার্ণ চোখে পড়ার মতো। চারপাশজুড়ে বাহারি ফুল আর ফলগাছের দেখা মিলবে হরহামেশাই। হলটিতে আধুনিক লাইব্রেরি, টিভি রুম ও ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এই হলের শিক্ষাথীর্রা ক্যাম্পাসে খেলাধুলা, গান, বিতকর্ আর রাজনীতিতে সাফল্য রেখে চলেছে প্রতিনিয়ত। এই হলের সামনের অংশটুকু দেখতে চমৎকার। ১৭৫ একর ক্যাম্পাস ঘুড়ে এসে দশর্নাথীের্দর চোখ আটকে যায় এই হলটি দেখে। মুহ‚তের্ই ক্যামেরার ফ্রেমবন্দি করে দশর্নাথীর্রা। এই হলের সামনে দৃষ্টিনন্দন একটি পুকুর আছে। পুকুরটির দুই পাড়ে বসার মতো ঘাট রয়েছে। ফলে সারাক্ষণ ঘাট দুইটি শিক্ষাথীের্দর আড্ডায় মুখরিত থাকে। সকাল, বিকাল কিংবা রাতে পুকুরের কোনো এক পাশ থেকে ভেসে আসে গানের ধ্বনি। এ ছাড়াও প্রেমিক-যুগলের রোমান্টিকতার দৃশ্য তো রয়েছেই। এ বিষয়ে হলটির এক শিক্ষাথীর্ আদনান আহমেদ বলেন, ‘ বিশ^বিদ্যালয়ে ভতির্ হওয়ার পরে ক্যাম্পাসের পাশ^বতীর্ মেসে থাকতাম। তখন হল সম্পকের্ একটু নেতিবাচক ধারণা ছিল। তবে হলে উঠার পর বড় ভাইদের ভালোবাসা আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা-গানে দিনগুলো স্বপ্নের মতো মনে হয়। ক্যাম্পাসজীবনের সেরা সময়গুলোর মধ্যে হলজীবনের গল্পটিই সেরা। হলটির আরেক ছাত্র সোহেল রানা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে বঙ্গবন্ধুকে আদশর্ হিসেবে নিয়েছি। তাই আমার ইচ্ছা ছিল বিশ^বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলে বঙ্গবন্ধু হলে থাকব। সেই আশা পূরণ হয়েছে। এই হলের নান্দনিকতা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হবে। তাই এই হলের একজন হতে পেরে আমিও গবির্ত।’ সবোর্পরি ক্যাম্পাসের সেরা হল হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলটি নান্দনিকতা ও আদশের্র প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত আছে। দিনের পরিক্রমায় তা আরো নান্দনিকতায় রূপ নিবে বলে প্রত্যাশা করি।