ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

প্রকাশ | ২৭ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

মো. সোহানুর রহমান
স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়টি হচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। সবুজে ঘেরা ১৭৫ একরের বিশাল ক্যাম্পাসটি বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর সাজানো-গোছানো শিক্ষাবান্ধব একটি ক্যাম্পাস। সেই সঙ্গে সাংবাদিকতা ও প্রগতিশীলতা চর্চার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি এখন একটি উর্বরক্ষেত্র। কিন্তু বছর খানেক আগেও ক্যাম্পাসে মুক্ত সাংবাদিকতার ক্ষেত্র ছিল অত্যন্ত সংকীর্ণ। নারীদের জন্য সাংবাদিকতায় কোনো সুযোগ ছিল না। এমন একটি পরিস্থিতিতে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করে প্রতিষ্ঠা পায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্দেশ্যই ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্ত সাংবাদিকতার দ্বার উন্মোচন করা এবং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার সৃজনশীল লেখনী প্রকাশের সুযোগ করে দেওয়া। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রগতিশীল কর্মকান্ডের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের ইতিবাচক পরিবর্তনে ব্যাপক অবদান রেখেছে সংগঠনটি। যার প্রতিষ্ঠাতা আবু সালেহ শামীম, মাহফুজ আহম্মেদ ও মুরতুজা হাসানসহ আরও অনেকে। রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইবিতে মেয়েদের জন্য সাংবাদিকতার সুযোগ সৃষ্টি হয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ বছরের ইতিহাসে রিপোর্টার্স ইউনিটিই সর্বপ্রথম নারী সদস্য গ্রহণ করে এবং মেয়েদের জন্যও সাংবাদিকতার দ্বার উন্মোচন করে। এখানে উন্নয়ন সাংবাদিকতারও পথপ্রদর্শক রিপোর্টার্স ইউনিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে এ সংগঠনটির মাধ্যমেই আমার সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি হয়েছিল। ১৮ নভেম্বর সংগঠনটি তার প্রতিষ্ঠার ৪র্থ বর্ষে পদার্পণ করছে। সঠিক সংবাদ পৌঁছে দিয়ে সবার অন্তর্দৃষ্টি জাগ্রত করার প্রয়াসে এগিয়ে চলছে সংগঠনটি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী এ সংগঠনটি বেঁচে থাকুক যুগ যুগ ধরে, বেঁচে থাকুক সত্য সন্ধানে মুক্ত কলম সৈনিকরা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্পর্কে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরতুজা হাসান বলেন, প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীলতাকে ধারণ করে লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যরা। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী সাংবাদিকতার সূচনাও হয়েছে এই সংগঠনটির হাত ধরে। সর্বোপরি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে এই সাংবাদিক সংগঠনটি ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।