বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাণ নিয়ে পড়াশোনা

সুপর্না রহমান টুছি
  ২৭ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

মানুষকে চেনায় প্রাণরসায়ন আর আণবিক পর্যায়ে জীবনকে সংজ্ঞায়িত করে অনুপ্রাণ বিজ্ঞান। ইংরেজিতে যাকে বলে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি। মানুষের কাছে বিজ্ঞানের এই বিভাগ এখনো অজানা। রহস্যময় এই বিষয় যেন আশ্চর্য গোলক ধাঁধা। কি আমার পরিচয়, কীভাবে রোগে আক্রান্ত হই, কীভাবে সেগুলো ধ্বংস করতে পারি, কীভাবে ইচ্ছামতো ডিজাইন করে একটি প্রাণী সৃষ্টি করা যায়। প্রতিদিনই চলছে নতুন গবেষণা। তাই একবিংশ শতাব্দীকে নিঃসন্দেহে বলা হয় প্রাণরসায়ন আর অনুপ্রাণ বিজ্ঞানের। বাংলাদেশে কিছু পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়টি পড়ানো হয়। জীববিজ্ঞানের দক্ষতার পাশাপাশি হতে হবে ধৈর্যশীল। অভূতপূর্ব চিন্তাবিদ, মানবিক গুণসম্পন্ন এবং কঠোর পরিশ্রমীরাই এই বিষয়ে ভালো করে। কিন্তু কোথায় আছে এই বিষয়ে চাকরি? মানুষ কেমন মূল্য দেবে আমায়? দিন শেষে আসে নিজের অগ্নিপরীক্ষার পালা। তবে ক্যারিয়ার গড়ায় সুনামের সঙ্গে চমৎকার সব সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে উচ্চ শিক্ষা এবং গবেষণার জন্য স্কলারশিপের সুবিধা।

দেশে-বিদেশের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বায়োকেমিস্টরা বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে শিক্ষকতা, বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি, বায়োটেকনোলজি কোম্পানি, কেমিক্যাল ইন্ড্রাস্টি, ফুড ইন্ড্রাস্টি, ফরেনসিক ল্যাব, মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল, ডায়াগনোস্টিক ল্যাব, কসমেটিক ইন্ড্রাস্টি ইত্যাদিতে কাজ করতে পারেন। এ ছাড়া বায়োকেমিস্ট্রতে ডিগ্রিধারীদের জন্য বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বহুজাতিক কোম্পানি ইত্যাদিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের সুযোগ রয়েছে।

বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারীরা সাধারণত বিসিএসআইআর, আইসিডিডিআরবি, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, ন্যাশন্যাল ইনস্টিটিউড অব বায়োটেকনোলজি, বাংলাদেশ চা বোর্ড, বারডেম, বিসিআইসি, বিএসএমএমইউ (পিজি), বাংলাদেশ ডায়াবেটিকস অ্যাসোসিয়েশন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএন-এ প্রোফাইল ল্যাবরেটরির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ওয়াসার সহকারী রসায়নবিদ ও সহকারী জীবাণুবিদ, বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অধীন সহকারী রসায়নবিদ ও প্রাণরসায়নবিদ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের পেটেন্ট ডিজাইনার (প্রাণরসায়ন), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ড্রাগ সুপার, ড্রাগ ইন্সপেক্টর, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, শিশু হাসপাতালের অধীন সিএইচআরএফের রিসার্চ অফিসার, বাংলাদেশ পুলিশের ফরেনসিক বিভাগ প্রভৃতি সেক্টরে কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) ২০১৬ সালে চালু হয় বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে