গল্প গানে শীত উৎসব

প্রকাশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০

মো. আশিকুর রহমান
সাংবাদিক! শব্দটি ছোট হলেও এর ব্যাপ্তি বিশাল। জনগণের চোখের সামনে দেশ ও দেশের বাইরের বার্তা যিনি প্রদান করেন তিনিই সাংবাদিক। বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে দেশকে যিনি এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করে, তারই অন্য নাম সাংবাদিক। দায়িত্বের বোঝাটা নেহাত ভারী বলে সাংবাদিকদের সাধারণত অন্যদের মতো আনন্দ-উলস্নাস করতে দেখা যায় না। তথাপি তারা নিরানন্দ মানুষ নয়। সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (গবিসাস) একঝাঁক সাংবাদিক তারই দৃষ্টান্ত। সম্প্রতি তারা শীতের আমেজকে উপভোগ করেন ভিন্নভাবে! গবিসাসের সাবেক ও বর্তমান কমিটির বেশকিছু সাংবাদিক এতে অংশ নেয়। সঙ্গে অতিথি হিসেবে যোগ দেন কুমিলস্না বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (কুবিসাস) সাবেক সভাপতি মো. মতিউর রহমান মতি এবং আরেক শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা নামতেই রান্নার কাজ শুরু হয়। রাঁধুনি গবিসাসের সাধারণ সম্পাদক অনিক আহমেদ। রান্নার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'প্রথমে ভিন্ন কিছু ভাবলেও শেষ পর্যন্ত বিরিয়ানিতেই রান্না শেষ করেছি। মনোমুগ্ধকর এক রাত কাটবে, এটাই প্রত্যাশা। রান্নায় সহযোগিতা করেন গবিসাসের ৮ম কমিটির বাকি সদস্যরা। রাতে চা পার্টি সঙ্গে চলে জমে গানের আসর! 'মিলন হবে কত দিনে, ধন্য ধন্য বলি তারে' ইত্যাদি গানে নিমিষেই পরিবেশে নতুন আমেজ তৈরি করে শিল্পীরা। একের পর এক গান চলতে থাকে রাত ১২টা পর্যন্ত। ইতোমধ্যেই শীত উৎসবে যুক্ত হন গবিসাসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ডেইলি ক্যাম্পাসের নিউজরুম এডিটর আসিফ আল আজাদ। আরও যুক্ত হন দৈনিক আজকের পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি মো. রিফাত মেহেদী ও একই পত্রিকার শিক্ষা পাতার সাব-এডিটর রোকনুজ্জামান মনি। শীত উৎসবে আরও যুক্ত হন গবিসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তাজবিদুল ইসলাম সিহাব। ঢোল, একতারা, গিটার, খঞ্জনা ইত্যাদির তালে গানের আসর চলে রাত ১২টা পর্যন্ত। এরপর রাতের খাবার খাওয়ার পালা। একসঙ্গে বসে খাওয়ার পরিবেশটা কিছুক্ষণের জন্য পূর্বের যুক্ত পরিবারের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল! যেখানে অনেক সংখ্যক সদস্য একসঙ্গে তাদের খাবার গ্রহণ করত। খাবার শেষে আবার জমলো গানের আসর। স্থায়িত্ব এবার বেশিক্ষণ ছিল না। কারণ সবাই তখন ক্লান্ত! ইতোমধ্যে মেয়ে সাংবাদিকরা চলে গেলেন তাদের বাসায়। রাত প্রায় দেড়টা। শুরু হলো সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আড্ডা। মূল গল্পে ছিলেন আসিফ আল আজাদ ও রোকনুজ্জামান মনি। এ ছাড়া ছিলেন অনিক, আশিক ও আখলাক। গল্পের মাধ্যমে উঠে আসে অনেক নতুন তথ্য। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, ছাত্রদের আন্দোলন, ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়ে আড্ডায় সবাইকে যেন ভাবিয়ে তোলে নতুনভাবে। গল্প চলতে থাকে প্রায় চারটা পর্যন্ত। শীতের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে শীত আমাদের জানান দেয় গল্পে তারাও উপস্থিত আছেন! ক্লান্ত শরীরে সবাই নিদ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন।