বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বন্ধুত্বের টানে শেকড়ে ফেরা

আশরাফুল ইসলাম সুমন
  ২১ মে ২০২২, ০০:০০

মানুষ মাত্রই স্মৃতিকাতর। সুযোগ পেলেই পেছনের দিনে ফিরে যেতে চায় সে। ছোট্ট এই জীবনে মানুষের কত স্মৃতি জমা থাকে তার মনে। তবে স্মৃতির পাতায় যে অংশটি সবচেয়ে বেশি জায়গা দখল করে থাকে, তা হলো স্কুল জীবনের রঙিন দিনগুলো।

স্কুলের সোনায় মোড়ানো সেই দিনগুলো যে আজও নাড়া দেয়। খেলাধুলা, স্কুল পালানো, আড্ডা, গান-বাজনা, হৈ-হুলেস্নাড়- এ সব ছিল স্কুলজীবনের দিনগুলোর নিত্য অনুষঙ্গ।

\হ২০১৬ সালে ধুনট সরকারি নইম উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্কুলজীবন শেষ করে অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও কলেজে অধ্যায়নরত আছে। আবার অনেকেই চাকরি করছে আবার কেউবা চাকরিপ্রত্যাশী।

রমজান শুরুর পর আমাদের ব্যাচের ফেসবুক গ্রম্নপে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রমজানে ইফতার ও পুনর্মিলনী করার। সবার সিদ্ধান্ত মতে ৩০ এপ্রিল (২৮ রমজান) তারিখ ঠিক করা হয়। সবার থেকে চাঁদা নিয়ে আমাদের পুনর্মিলনীর টি-শার্ট বানানো হয়। এর মধ্যে চলে আসে আমাদের কাঙ্ক্ষিত দিনটি।

৩০ এপ্রিল শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের মেইন গেটে আমাদের ইফতার ও পুনর্মিলনীর ব্যানার লাগানো হয়। আগের দিন আমাদের ইফতারের জন্য যাবতীয় কাজ সম্পূর্ণ করা হয়। দুপুর পর সবাই আমাদের পুনর্মিলনীর টি-শার্ট পরিধান করে স্কুলে আসতে শুরু করে। অনেকদিন পর যেন সবাই স্কুলের সেই দিনে ফিরিয়ে যাচ্ছিলাম। অনেক আড্ডা, গল্প, গুজব করলাম সবাই। এর মধ্যে রান্নার কাজ শুরু হয়েছে।

স্মৃতিগুলো ধরে রাখতে সবাই মিলে চলে ফটোসেশন,

একসময় গল্পে গল্পে নিমিষেই শেষ হয়ে যায় রান্নার কাজ। আমরা ইফতারের জন্য বসে পড়ি ক্যাম্পাসের সবুজ ঘাসের উপর, যেখানে আমাদের স্কুলজীবনের পায়চারি, খেলাধুলা আর ছোটাছুটির শত শত স্মৃতি পড়ে আছে অমলিন।

একসময় ইফতার শেষ হয়, দিনের আলো নিভে গিয়ে অন্ধকার নামতে শুরু করে। আবার একবার বেজে ওঠে বিদায়ের ঘণ্টা। আস্তে আস্তে ফাঁকা হতে থাকে আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাস চত্বর- সবাই যার যার নিজস্ব জীবনে ছুটে চলা।

সবমিলিয়ে একটি আনন্দময় সুন্দর দিন কেটেছে প্রিয় ক্যাম্পাসের প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে। যা আমাদের স্মৃতিতে বেঁচে থাকবে বহুকাল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে