কৃতী সন্তানদের মিলনমেলা

অনুষ্ঠানটি বগুড়ার গাবতলীর মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে গাবতলীর সূর্যসন্তানদের সাক্ষাৎ মেলে। যারা ব্যক্তিজীবনে প্রতিষ্ঠিত ও অনুপ্রেরণার প্রতীক। তাদের শুভাগমনে চারদিক আনন্দে মুখরিত। তাই তো তাদের বরণ করে নেওয়া হয় শ্রদ্ধাপূর্ণ শ্রদ্ধাঞ্জলিতে

প্রকাশ | ২১ মে ২০২২, ০০:০০

মাহমুদা সুলতানা
দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার, ঈদের আনন্দে মাতোয়ারা সবাই। এ আনন্দকে আর একটু প্রাণবন্ত করতে ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড মেডিকেল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (ইউএমএসএ) আয়োজন করে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও ঈদ পুনর্মিলনী। অনুষ্ঠানটি বগুড়ার গাবতলীর মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে গাবতলীর সূর্যসন্তানদের সাক্ষাৎ মেলে। যারা ব্যক্তিজীবনে প্রতিষ্ঠিত ও অনুপ্রেরণার প্রতীক। তাদের শুভাগমনে চারদিক আনন্দে মুখরিত। তাই তো তাদের বরণ করে নেওয়া হয় শ্রদ্ধাপূর্ণ শ্রদ্ধাঞ্জলিতে। অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপর সচিব আবু নাসের উদ্দিন, পুলিশ সুপার আকতার হোসেন (মিডিয়া অ্যান্ড ক্রাইম) ডিআইজি কার্যালয় রংপুর রেঞ্জ, ঠাকুরগাঁও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, বগুড়া ভেড়া উন্নয়ন খামারের উপ-পরিচালক কল্পনা রায়, শিবগঞ্জ মসলা গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মো. মাহমুদুল হাসান সুজা, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেন্টাল সার্জন রোকনুজ্জামান সোহাগ ও লেকচারার ডা. সাজ্জাদুর রহমান রুমন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের লেকচারার বিপস্নব হোসেন, ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেসিডেন্ট ডা. জুয়েল তরফদার, পাওয়ার ইনর্ফা পস্নার্নিংয়ের (টিআইও) সিনিয়র এক্সপার্ট শহীদুল ইসলাম, গাবতলী মডেল থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা কেন্দ্রের কৃষি প্রকৌশলী মওদুদ আহম্মেদ, ডুয়েট প্রফেসর মোস্তাকুর রহমান প্রমুখ। এ ছাড়া দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন ৪০ ও ৪২তম বিসিএস সুপারিশপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। তারা হলেন- রতন কুমার দত্ত, খাইরুল বাসার, ডা. আবু শাহেদ প্রমুখ। আরও বক্তব্য রাখের ইউএমএসএ-এর সম্মানিত সভাপতি ডা. মামুন, সেক্রেটারি রবিউল ও সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন। সভাপতির অনুমতিক্রমে প্রোগ্রামটি শুরু হয় ১১টার দিকে। ৪ জন ছিল সঞ্চালক- রাসেল, ফারজানা, মিলতি ও আল মাহমুদ। যাদের সুমিষ্টভাষী কণ্ঠে প্রোগ্রামটি একটুও বিরক্ত লাগেনি। যাদের অকুণ্ঠ সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি সুসম্পন্ন তাদের কথা না বললেই নয়। তারা হলো- আদিত্য, সুমন, সাগর, আল আমিন, তাওফিক, তরিকুল, মহন্ত, রুবেল, শ্রাবণ, সিফাত, সাদ্দাম, বজলুর, কানন, তমাল, নাহিদ ইত্যাদি। অনুষ্ঠানে খাবারের সমস্ত ব্যয়ভার গ্রহণ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন। সবশেষে গাবতলী উপজেলার বিসিএস সুপারিশপ্রাপ্ত ও দেশের বিভিন্ন ইউনির্ভাসিটি এবং মেডিকেল কলেজে চান্স প্রাপ্ত ৫৬ জন কৃতী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এবং উক্ত অ্যাসোসিয়েশনের সেরা সংগঠকদেরও সংবর্ধনা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সবাই আশাবাদী পরে এই ৫৬ জন ১০০ জনকে ছাড়িয়ে যাবে। গাবতলী শিক্ষাক্ষেত্রে রোল মডেল হিসেবে সুপরিচিত হবে অচিরেই। শেকড়ের সন্ধানে ঈদ পুনর্মিলনী একটা স্নেহশীল বন্ধনে আবদ্ধ করেছে গাবতলীর সাবেক বর্তমান ও প্রতিষ্ঠিত গুণীজনদের সঙ্গে। অনিন্দ্যসুর সৃষ্টি করেছে মনোমুগ্ধকর আবেশ। গেস্টদের জাদুস্পর্শ ভাষণে অনেকেই খুঁজে পেয়েছে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অনুপ্রেরণা। তারাও হতে চায় জিয়ার মতো বিশিষ্টজন। প্রাণবন্ত আয়োজনে আলোকপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্নেহচ্ছায়া জ্ঞান দীপ্তির স্পর্শ লেগেছে। অচিরেই যে দীপ্তিতে আলোকিত হবে সমাজ, দেশ ও বিশ্ব।