স্বপ্নের পদ্মা সেতু : শিক্ষার্থীদের ভাবনা

বাঙালি জাতির জন্য এই মুহূর্তে সবচেয়ে নন্দিত বাস্তবতা হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বিশ্বের দরবারে যুগ-যুগান্তরে সক্ষমতার অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকবে এই সেতু। প্রমত্তা পদ্মার ওপর মহাসেতু নির্মাণের যুগব্যাপী মহাযজ্ঞের পর জাতি ছুঁতে যাচ্ছে স্বপ্ন। শ্রমিক আর প্রকৌশলীরা নেমেছিল যেন এক যুদ্ধে। তাদের ছিল না কোনো রাত-দিন। শীত-বর্ষা-গ্রীষ্ম এমনকি ছিল রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষিত। করোনা অতিমারিতেও আতঙ্কনীল হয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি। ছিল শুধু কাজ শেষ করার অদম্য ক্ষুধা আর ইতিহাসের অংশ হওয়ার অঙ্গীকার। এই ঐতিহাসিক অর্জিত পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরেছেন

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২২, ০০:০০

মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ-এম আতহার নূর

কীর্তিনাশার বুক চিরে আশার আলো পদ্মা সেতু
বরকত উল্লাহ
শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

কীর্তিনাশা পদ্মা ক্রমবর্ধমান ধেয়ে চলা যার বৈশিষ্ট্য। কেড়ে নেওয়া ও নির্মমতা যার স্বভাব। কতশত মানুষের স্বপ্ন ও শেষ আশ্রয়স্থল গ্রাস করেছে এই পদ্মা তার কোনো হিসাব নেই। এবার এই পদ্মার বুক চিরে জ্বলে উঠেছে আলো। স্বপ্ন নয় বাস্তবে রূপ নিয়েছে পদ্মা সেতু। পদ্মার বুক চিরে দৃশ্যমান হয়েছে দীর্ঘ ৬.১৫ কিলোমিটার সেতু। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের গর্ব। দেশের প্রতিটি মেহনতী মানুষের ঘাম লেগে আছে এই সেতুতে। বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক এই সেতু। এই সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সরাসরি যোগাযোগ সম্ভব হবে। ফলে এসব অঞ্চলের মানুষের পরিবহণ, অর্থনীতি, শিক্ষা এবং চিকিৎসাসহ সর্বক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে। সেতুর ওপর দিয়ে চলবে গাড়ি আর নিচ দিয়ে ছুটবে ট্রেন। এ ছাড়া পদ্মা সেতুতে বিদ্যুৎ, গ্যাসের লাইনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে তার অন্যতম সাক্ষী এই পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়েছে এই সেতুর মাধ্যমে। এভাবেই বিশ্বমানচিত্রে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। 

আশার আলো ছড়ানোর অপেক্ষায় পদ্মা সেতু
মো. আবদুল্লাহ আলমামুন
শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

পদ্মা সেতু এক সময় ছিল মানুষের কল্পনার মধ্যে। কিন্তু নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে দৃশ্যমান স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তবে। এতে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। কারণ ইতোপূর্বে ঢাকা থেকে দক্ষিণ অঞ্চলে যাতায়াত করতে এক দিন সময় লেগে যেত। কিন্তু এখন মাত্র ছয় ঘণ্টায় যাতায়াত করা সম্ভব। এতে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বেড়ে গেল। এ ছাড়া কর্মব্যস্ত মানুষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবনে অভাবনীয় পরিবর্তন হবে। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প মাওয়া-জাজিরা পয়েন্ট দিয়ে নির্দিষ্ট পথের মাধ্যমে বাংলাদেশের কেন্দ্রের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সরাসরি সংযোগ তৈরি করেছে। এই সেতুটি অপেক্ষাকৃত অনুন্নত অঞ্চলের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে। 

বহু প্রতীক্ষিত স্বপ্নের বাস্তবরূপ পদ্মা সেতু
তাজুল ইসলাম তাসিন
শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

সর্বনাশা পদ্মা নদী, তোর কাছে শুধাই বল আমারে তোর কি রে আর কূলকিনারা নাই। বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের এক চোখ ধাঁধানো স্বপ্নের নাম পদ্মা সেতু। বছরের পর বছর এ অঞ্চলের মানুষ অপেক্ষা করেছে একটা সুন্দর যাতায়াত ব্যবস্থার জন্য। ২৫ শে জুন প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে গণমানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সঙ্গে সঙ্গে সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে অজস্র দীর্ঘশ্বাস, কষ্ট এবং দুঃসময়ের যেগুলো পদ্মা নদী পারাপারে যাত্রীরা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করত। কখনো কখনো উৎসব অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাড়িগামী যাত্রীরা ফেরিঘাট থেকে কখন মুক্তি পাবে সেটা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ত। এমনকি যাত্রীদের ফেরি পারাপারের জন্য বাসের সারিতে বসে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কাটিয়ে দিতে হতো। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে ফেরিতে মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুর সাক্ষীও আমরা ইতোমধ্যে হয়েছি। অবশেষে পদ্মা সেতু পূর্ণাঙ্গ নির্মিত হওয়ায় মানুষ এখন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে। 

আত্মমর্যাদায় মহীয়ান স্বপ্নের পদ্মা সেতু
মো. জাহিদ হাসান
শিক্ষার্থী, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

পৃথিবীর অন্যতম খরস্রোতা পদ্মা নদীতে এত দীর্ঘায়তনের ও আধুনিক মানের সেতু নির্মাণ, তাও আবার বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে কথাটা ভাবতেই এক অন্য রকম ভালোলাগা ও গর্ববোধ কাজ করে। বাংলাদেশের জন্য এটি ছিল বিরাট চ্যালেঞ্জ। পুরো বিশ্ব যেখানে এই সেতুপ্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতা নিয়ে সন্দিহান ছিল, সেখানে তাদের বাঁ-হাত দেখিয়ে তা নির্মাণ করে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। কারও কাছে মস্তক অবনত না করে আত্মমর্যাদায় মহীয়ান হয়ে এতবড় প্রকল্প বাস্তবায়ন সত্যই মর্যাদা ও সফলতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই খরস্রোতা পদ্মা পাড়ি দেওয়ার জন্য এতদিন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। ফেরি পারাপারের জটিলতার কারণে অসুস্থ রোগীদের রোগের যন্ত্রণায় ছটফট করতে হয়েছে, অসংখ্য চাকরিপ্রত্যাশী পরীক্ষার হলে সময়মতো পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে এবং অসংখ্য মানুষের মূল্যবান সময়ের অপচয় হয়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের এই ভোগান্তি, দুঃখ, দুর্দশাকে অনেকাংশেই লাঘব করবে এ সেতু। যোগাযোগের পথ হবে সহজ ও সুগম। দেশের অর্থনীতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে স্বপ্নের এই পদ্মা সেতু। এই সেতু একই সঙ্গে আমাদের আত্মমর্যাদা, সম্মান ও উন্নয়নের প্রতীক এবং দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের পূর্বের দুঃখ-দুর্দশা ও ভোগান্তিপূর্ণ জটিল যোগাযোগ ব্যবস্থার বিপরীতে উন্নয়ন ও অগ্রগতির সোপান।
 

অগ্রগতির অনন্য বাহক পদ্মা সেতু 
আবু সুফিয়ান সরকার শুভ
শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের পদ্মা সেতুর মাধ্যমে যোগাযোগের এক সহজলভ্য মাধ্যম  তৈরি হচ্ছে। এ যেন যোগাযোগ ব্যবস্থার এক  বৈপ্লবিক পরিবর্তন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরি বা লঞ্চের মাধ্যমে যোগাযোগের সমাপ্তি ঘটিয়ে এক নতুন আলোকিত পথের সূচনা তৈরি হয় এ সেতুর মাধ্যমে। দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর করতে এবং দেশের জিডিপি বৃদ্ধি করতে পদ্মা সেতু এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পদ্মা সেতু অতুলনীয় ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এ সেতু বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তনের পাশাপাশি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার এক পরিবর্তন আনবে। পদ্মা সেতু দ্বিতল হওয়ায় রেল চলাচলেও উন্নয়ন হবে। মানুষের ভোগান্তি কমলে শিক্ষা, অর্থনীতি এমনকি পরিবেশের অবকাঠামোরও এক পরিবর্তন আসবে যা ওই অঞ্চলের মানুষের জন্য এক আশীর্বাদস্বরূপ। 

দক্ষিণাঞ্চলের বৈপ্লবিক পরিবর্তনে পদ্মা সেতু
শ্রুতিলেখা বিশ্বাস
শিক্ষার্থী, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ হিসেবে পদ্মা সেতু চালু হওয়া যেন স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো একটি বিষয়। আগে ঢাকা এবং দক্ষিণ অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াত ব্যবস্থা ছিল অনিশ্চিত। ঘাটে অপেক্ষা করতে হতো প্রায় ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। ছুটির দিন উপলক্ষে, প্রতিকূল পরিবেশের কারণে যেমন ঘন কুয়াশা বা বৃষ্টির কারণে এবং অপর্যাপ্ত ফেরির কারণে এই অপেক্ষা বেড়ে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লেগে যেত। তবে পদ্মা সেতু চালু হলে এ অনিশ্চয়তা আর থাকবে না। কারণ মাত্র ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার ভিতরে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের ফলে চিকিৎসকরাই দক্ষিণাঞ্চলে গিয়ে সেবা প্রদান করতে পারবেন। আর ঢাকায় থেকে পড়াশোনা করা ছাত্রছাত্রীদের জন্য যাতায়াত হবে সহজ ও সময় সাশ্রয়ী। আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এই প্রকল্পটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারি নেতৃত্বের কারণে পদ্মাসেতু আজ দৃশ্যমান। সেতুটি দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের ব্যবসা, চাকরি, শিক্ষা, চিকিৎসা, শিল্পক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সঙ্গী হয়ে থাকবে।

স্বপ্ন যখন দৃষ্টির সম্মুখে
সানজিদা মাহমুদ মিষ্টি
শিক্ষার্থী, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

স্বপ্ন তো স্বপ্ন তা আবার বাস্তব হয় নাকি, এমন ধারণাকেই বাস্তবে রূপ দিল বাংলাদেশের পদ্মা সেতু। অন্যান্য দেশের সাধারণ সেতুর গুণাগুণের তুলনায় পাঁচটি বিশেষ গুণসম্পন্ন ৬.১৫ কিলোমিটারের এই সেতুর কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে। তারই ফলে সেতুটির উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হয় ২৫ জুন। চলাচলের জন্য পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত হয়ে গেছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। আগামী ২৫ জুন দেশের কোটি কোটি মানুষের কাক্সিক্ষত এ সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন  করার পর পরই সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত হবে প্রমত্তা পদ্মার ওপর নির্মিত এ দীঘল দৈর্ঘ্য-প্রস্থবিশিষ্ট দোতলা সেতুটি। এই সেতু নির্মাণের জন্য নির্মাণাধীন সময় মাওয়া জাজিরা পয়েন্টে বসবাসরত জনগণকে পোহাতে হয়েছে নানান ভোগান্তি। এই ভোগান্তির অবসান হিসেবেই আজকের পদ্মা সেতু মাওয়া জাজিরা পয়েন্টে বসবাসরত মানুষের চোখের সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে বাস্তবে।  এখন আর চিকিৎসার জন্য ফেরিঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামের মধ্যে অসুস্থ রোগীকে নিয়ে রোগীর পরিবারকে কষ্ট করতে হবে না। বেকার ছেলেটিকে ভাইবা বোর্ডে দেরিতে উপস্থিত হওয়ার জন্য আর মিথ্যে ছলনাময়ী যুক্তির আশ্রয় নিতে হবে না। শুধু এই সময় বাঁচানোই নয় বরং দেশের আর্থিক অগ্রগতিতে পদ্মা সেতু বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে দেশের জনগণ আশা করছে।

মেঘের আড়ালে সূর্যের হাসি পদ্মা সেতু
মীম আফরোজ রাই
শিক্ষার্থী, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

প্রমত্তা পদ্মার দুই পাড় যুক্ত করেছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে পদ্মা পারাপারের দিনগুলো ২৫ শে জুনের পর থেকে অতীত হতে শুরু করবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের জন্য এই সেতু নতুন করে জেগে ওঠার এক হাতিয়ার। অবহেলিত জনপদের মানুষের সামনে নতুন এক সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে পদ্মা সেতু। এই অঞ্চলের কৃষি, মৎস্য, পর্যটন শিল্পে এই সেতু অপার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। স্বপ্ন জাগিয়েছে মানুষের জীবন জীবিকার উন্নয়নে। খরস্রোতা পদ্মার দুই তীরকে এক করে এই স্বপ্নমালা গাঁথার কাজটি অবশ্য সহজ ছিল না। স্থপতি প্রকৌশলীরা যেমন অসাধ্য সাধনের মতো এক কাজ করেছেন, তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই সেতু বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার সাহসী চরিত্রটিকে আরেকবার জানান দিয়েছেন। নিজেদের অর্থে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ নিজের সক্ষমতারও জানান দিয়েছে বিশ্বকে। এক সময়ের দীর্ঘযাত্রার ক্লান্তি আর কষ্টের ইতি টেনে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছে রাজধানী হয়ে উঠবে ঘরের কাছের কোনো গন্তব্য। পুরো দিনের ভ্রমণ দূরত্ব কমে দাঁড়াবে কয়েক ঘণ্টায়। পদ্মা সেতু নিঃসন্দেহে দেশের স্থাপত্য ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। এই দেশের মানুষের সাহস আর অদম্য মানসিকতারও দৃঢ় এক প্রতিকৃতি। পদ্মা জয়ের এই সাফল্য পুরো জাতির। এই সাফল্য সরকারের। এই সাফল্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার সাহসী ভূমিকার কারণেই নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এই সেতু লক্ষ্য অনুযায়ী বাস্তবায়ন হয়েছে।

পদ্মা সেতু আমাদের উন্নয়ন
ফাতেমা তুজ জোহরা ইমু
শিক্ষার্থী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

পদ্মা সেতু চালু হলে সমগ্র দেশের সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। যেটা দেশের উন্নয়নে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নই জাতীয় উন্নয়নের বৃদ্ধি ঘটায়। আর পরিবহণ ব্যবস্থা জাতীয় অর্থনীতিকে বিভিন্ন ধাপে উন্নয়নে সহযোগিতা করে। পাশাপাশি পদ্মা সেতুর মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় অবস্থিত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারবে। এসব এলাকায় অবস্থিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো  কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগী হয়ে উঠবে। এতে পণ্যের সার্বিক মান বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রও বিস্তৃত হবে। জাতীয় উন্নয়ন মূলত জাতীয় অর্থনীতির ওপরই নির্ভরশীল এবং যোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থা জাতীয় অর্থনীতি উন্নয়নের প্রভাবক। তদুপরি পদ্মা সেতু যোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতিকল্পেই নির্মিত হয়েছে। সুতরাং এটা বলা যায়, পদ্মা সেতু জাতীয় উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। 

সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু
আফরোজা আক্তার
শিক্ষার্থী, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

পদ্মা সেতু সাহসী নেতৃত্বে, বহু ত্যাগ ও তিতিক্ষার এক কালজয়ী সোনালি ফসল। কোটি কোটি বাঙালির স্বপ্নের অবকাঠামো। পদ্মা সেতু আমাদের আবেগের নাম। সেতুটি এখন আর স্বপ্ন নয়। এক সময়ের স্বপ্নের সেতু এখন পূর্ণরূপে বাস্তবতায় রূপ নিয়েছে। বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা নদী পদ্মা। এর তলদেশে মাটির স্তরের গঠনও জটিল। নিজস্ব অর্থায়নে এই নদীতে এমন একটি সেতু নির্মাণ করতে যাওয়ার কাজটি সহজ ছিল না। বহু রাজনৈতিক, কারিগরি ও আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেতুটির ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থায়  বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। এ অঞ্চলের একুশ জেলার অর্থনীতি ও সমাজে আসবে অকল্পনীয় পরিবর্তন। অর্থনীতিতে যুক্ত হবে বহুমুখিতা। বাড়বে মানুষের আয়-রোজগার, জীবনযাত্রার মান ও কর্মসংস্থান। প্রথমবারের মতো পুরো দেশ একটি সমন্বিত যোগাযোগ কাঠামোতে আসবে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরের পণ্যসেবার পরিমাণ বাড়বে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। দক্ষিণাঞ্চলে শিল্প-কারখানা, পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে, বড় বড় মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। কৃষি, শিল্প, অর্থনীতি, শিক্ষা, বাণিজ্য সব ক্ষেত্রেই এই সেতুর বিশাল ভূমিকা থাকবে। পদ্মা সেতুর কল্যাণে অর্থনীতির সেতুবন্ধ ও নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে তেমনটিই আশা করছি।

পদ্মা সেতু বাংলার এক গর্বের প্রতীক
সাফা আক্তার নোলক
শিক্ষার্থী, দর্শন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

এক সময়ের স্বপ্ন পদ্মা সেতু আজ একটি বাস্তবতা। শত বাধা পেরিয়ে আজ পদ্মার এক অহংকার হয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে এই পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। বাংলাদেশের সম্ভাব্য ও দীর্ঘতম সেতু এটি। দেশের নিজ অর্থায়নে সৃষ্ট এই সেতু সবাইকে আবার নতুন স্বপ্ন দেখাতে ব্যস্ত। এটি যেন দেশকে আরও এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। নিজেদের ওপর ভরসা করতে শেখাচ্ছে এই অর্জন। স্বপ্ন পূরণের এ যাত্রাটি ছিল অনেক বাধা-বিপত্তির, ছিল নানারকম দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। কিন্তু আজ আমরা সফল। আর এই সফলতার প্রতিচ্ছবি এই সেতু। এই সেতুটির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আসবে আমূল পরিবর্তন। এই সেতুকে ঘিরে অনেক আবেগ জড়িত। যখনই এই সেতুটির কথা আসে তখনই এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ছবি সামনে ভেসে আসে। আর চোখে ভাসতে থাকে বাংলাদেশকে ঘিরে অপার সম্ভাবনা। এই অর্জনটি আশাবাদী হতে শিখিয়েছে আমাদের নিজেদের প্রতি। সত্যিই এটি আমাদের এক ভালোবাসার অনুভূতি, এটি আমাদের সক্ষমতার প্রতীক।

বঞ্চনা দিয়ে শুরু, জবাব দিয়ে শেষ পদ্মা সেতু
মোছা. রুমানা আক্তার রনি
শিক্ষার্থী, রসায়ন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

বাংলাদেশের কেন্দ্র ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সরাসরি সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মধ্য দিয়ে অর্থনীতির গতি বাড়াবে পদ্মা সেতু। এ সেতুটি মূলত অপেক্ষাকৃত অনুন্নত অঞ্চলের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে। এই সেতুর জন্যে দেশের আঞ্চলিক বাণিজ্যের সমৃদ্ধি যেমন ঘটবে তেমনি দারিদ্র্যতাও ঘুচবে, পাশাপাশি দেশের উন্নয়ন ও সাফল্যের গতিও ত্বরান্বিত হবে। এখন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহণসহ জনগণের যাতায়াত অনেকটা অর্থ ও সময়সাশ্রয়ী হবে। এই সেতুর মাধ্যমে দেশের শিল্পায়ন বাড়বে, বাড়বে স্থানীয় জনগণের জন্য অর্থনৈতিক ও কর্মসংস্থানের সুযোগ। এ সেতু দেশের অর্থনীতিতে নতুন এক মাত্রা যোগ করবে। এটি দেশের পরিবহণ নেটওয়ার্কের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হিসেবে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশের গর্বের আরেক নাম পদ্মা বহুমুখী সেতু। 

বাঙালির অধরা স্বপ্নপূরণ
মো. শফিউজ্জামান শিহাব
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

কোটি কোটি বাঙালির স্বপ্নের অবকাঠামো পদ্মা সেতু। একসময় বাংলাদেশিদের কাছে যা স্বপ্ন ছিল, আজ তা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের পাশাপাশি ২১টি জেলা সরাসরি যুক্ত হবে। পদ্মা সেতু ও সংযোগ সড়ক এশিয়ান হাইওয়ে রুট এএইচ-১-এর অংশ হওয়ায় তা যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে। এ সেতু দেশের ব্যাষ্টিক ও সামষ্টিক অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। দেশের সার্বিক জিডিপির পাশাপাশি পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পটির কাজ সমাপ্ত হলে অতিরিক্ত ১.২৩ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি পাবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। সেতু ঘিরে পদ্মার দুপারে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক প্রসার এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। সেতুটির কারণে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলা চট্টগ্রাম বন্দরের মতো যথাযথভাবে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হবে। 

পদ্মা সেতু সক্ষমতার অনন্য দৃষ্টান্ত
মাহমুদুল ইসলাম মারুফ 
শিক্ষার্থী, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

বহু ত্যাগ-তিতিক্ষার পর অবশেষে চলতি মাসে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প পদ্মা বহুমুখী সেতু। প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে দেখা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। সম্পূর্ণ বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মিত হওয়ায় এটি খুব গৌরবের। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের যোগাযোগ নিশ্চিত করবে। এ ছাড়া মোংলা ও বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করবে। এতে ব্যাপক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়বে কর্মসংস্থান এবং উন্মুক্ত হবে পর্যটনশিল্পের অপার সম্ভাবনার দ্বার। যোগাযোগ ব্যবস্থায় যে আমূল পরিবর্তন ঘটবে এতে প্রান্তিক কৃষকরা লাভবান হবেন এবং তাদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এ ছাড়া মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে এ সেতু। 

ডানা মেলবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু
তারিনা ইয়াছমিন
শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

১৮ কোটি বাঙালির সক্ষমতার পরিচায়ক পদ্মা সেতু এখন উদ্বোধনের দ্বারপ্রান্তে। উন্নয়ন ও সম্ভাবনার পাশাপাশি পদ্মা সেতু আমাদের আবেগ ও অহংকারের অনুষঙ্গ। বহু চ্যালেঞ্জ আর বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে পদ্মা সেতু। সব আলোচনা-সমালোচনা, ষড়যন্ত্রকে রুখে প্রমত্তা পদ্মার বুকে দৃশ্যমান সেতুটির প্রতিটি স্তম্ভে জড়িয়ে রয়েছে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন। দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে পদ্মার দুই পাড়ের এই সংযোগ। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হবে, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে এবং দক্ষিণাঞ্চলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে, দেশের জিডিপি বছরে ১ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় জিডিপি ২.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে ধারণা করা হয়। ভাগ্য দ্বার খুলবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর। 

জাতীয় অহংকার পদ্মা সেতু
ধন রঞ্জন ত্রিপুরা
শিক্ষার্থী, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানে আগামী ২৫ জুন বহুল প্রত্যাশিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, নন্দিত বাস্তবতা। এক সময়ের স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন দৃষ্টিসীমায় দিগন্তজুড়ে দাঁড়িয়ে। শুরু থেকেই নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ মেগা প্রকল্পটি নিঃসন্দেহে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির এক অনন্য প্রতীক। অর্থনৈতিক মুক্তি সংগ্রামের এক উজ্জ্বল মাইলফলক। সেতুটি নির্মাণের ফলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ২ থেকে ৪ ঘণ্টা কমে যাবে। রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, কাঁচামাল সরবরাহ এবং শিল্পায়ন সহজতর হবে। কৃষি উৎপাদন বাড়বে। তবে নিজস্ব অর্থায়নে এমন একটি সেতু নির্মাণ করতে যাওয়ার কাজটি সহজ ছিল না। তথাপি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে বর্তমান সরকার দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছেন। এতেই বর্তমান সরকারের দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় মেলে। অতএব, পদ্মা সেতু নিছক স্টিলের কোনো কাঠামো নয়, এটি এক আবেগের নাম। সাহসী নেতৃত্বের সক্ষমতার প্রতীক। জাতীয় অহংকার ও সাহসের আরেক নাম।