শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ

প্রকাশ | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

তানভীর রায়হান
বিনম্র শ্রদ্ধা আর শোকগাথা স্মৃতি রোমন্থন ও নানা কমর্সূচির মধ্য দিয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর পালিত হয় ১৭তম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা দিবস-২০১৮। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফাউন্ডেশন ও শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন যৌথভাবে প্রতিবছরের মতো এবারও অত্যন্ত ভাবগাম্ভীযের্র মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করে। দিবসটি উপলক্ষে ১৭ ডিসেম্বর সকালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থলে কোরআনখানি, পুষ্পস্তবক অপর্ণ ও দোয়া মাহফিল এবং সন্ধ্যা ৬টায় বিয়াম মিলনায়তনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধাদের পুনমির্লনী, সংবধর্না ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও অন্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হষর্বধর্ন শিংলা, সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল হারুন-অর-রশিদ, বীর প্রতিক, প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কবি কামাল চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক ভাষা ও শব্দসৈনিক কামাল লোহানী, শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইমামুল কবীর শান্ত ও ভাইস চেয়ারম্যান, ডা. আহসানুল কবির সহ শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাযর্ প্রফেসর ড. কাজী মো. মফিজুর রহমান ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশর মহান মুক্তিযুদ্ধে বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতীয় সেনাদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। সবের্শষ শান্ত-মারিয়াম ইউনিভাসিির্ট ও শান্ত-মারিয়াম একাডেমির শিক্ষাথীর্ ও শিক্ষকদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উল্লেখ্য, বিজয়ের প্রথম প্রহর ১৭ ডিসেম্বর ভোরে শতশত মুক্তিযোদ্ধারা বুড়িগঙ্গা নদী পেরিয়ে যখন ঢাকায় ফিরছিলেন, তখন নৌকাডুবিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইমামুল কবীর শান্তর কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুসহ মোট ১১ জন সহযোদ্ধা শহীদ হন। এই ঘটনা তার মনে গভীর রেখাপাত করে। তিনি মনে করেন, আমাদের শ্রেষ্ঠ অজর্ন স্বাধীনতা আর শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা, যারা বিজয় ছিনিয়ে আনতে আত্মত্যাগ করেছেন। তাই তিনি নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে তার ১১ জন শহীদ সহযোদ্ধার স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করেন ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফাউন্ডেশন’। একই সঙ্গে তাদের স্মৃতিকে অ¤øান করে রাখতে আজিমপুর নতুন কবরস্থানে তাদের সমাধিতে নিমার্ণ করেন ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ’। তিনি অসচ্ছল শহীদ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানদের নিয়মিত সহযোগিতাও করে যাচ্ছেন। এই সব কাযর্ক্রম কোনো ধরনের অনুদান ছাড়াই শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের নিজস্ব অথার্য়নে পরিচালিত হয়।