বঙ্গবন্ধু ও শোক দিবস নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা

শোকের মাস আগস্ট। ১৯৭৫ সালের আগস্টের ১৫ তারিখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেই হত্যাকান্ডের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতি হারায় তাদের মহান নেতাকে যিনি কিনা ১৯৭১ সালে এই বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। প্রতিবছর দিনটি শোক দিবস হিসেবে পালন করলেও তরুণ প্রজন্মের ভাবনায় অনেক প্রশ্নই রয়ে যায়। বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, দেখেনি বঙ্গবন্ধুকেও। কিন্তু তাদের ভাবনায় আছে মহান নেতার আত্মত্যাগের ইতিহাস। 'বঙ্গবন্ধু ও শোক দিবস' নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কী ভাবছেন, তা জেনে গ্রন্থনা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী-মোহাম্মদ অংকন

প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক

আগস্টের আহাজারিতে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আফিয়া সুলতানা একা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাঙালির জীবনে প্রতি বছর আগস্ট আসে রক্তঝরা অশ্রম্নতে ভেসে শোকের ভেলা নিয়ে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের রক্ত শ্রাবণ বাঙালিকে দিয়ে গেছে আমৃতু্য আহাজারি। জন্ম দিয়েছে বেদনাদায়ক কলঙ্কিত অধ্যায়। সেই কালরাত্রি গ্রাস করে নেয় বাঙালির সুযোগ্য নেতৃত্ব, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে। যখনই তিনি সদ্য স্বাধীন দেশকে যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষতি থেকে উত্তরণ করে একটি আধুনিক ও দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠনের পথে অগ্রসর হয়েছিলেন, ঠিক তখনই দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তির সহায়তায় দেশের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা ষড়যন্ত্রকারী ও বিপথগামী সেনাসদস্য এই বর্বর হত্যাকান্ড চালায়। এই হত্যাযজ্ঞ বাঙালি জাতির জীবনে নিন্দনীয় ও ঘৃণিত অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় আছে। অপশক্তির বুলেট হয়তো জানে না, ভালোবাসায় যারা বেঁচে থাকে, মৃতু্য তাদের ছোঁয় না। বিশ্বনেতাদের দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু আসাদুজ্জামান চৌধুরী সম্রাট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা। মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু ছিলেন হাজার বছরের পরাধীন, নিপীড়ন ও শোষণের বিরুদ্ধে অনন্য এক বজ্রকণ্ঠস্বর। বিশ্বনেতাদের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে মূল্যায়ন করেছেন অসাধারণভাবে। দুঃখের বিষয় যে বাঙালি জাতির অগ্রদূত এবং সম্মোহনী নেতৃত্বের অধিকারী আমাদের বতৃন্ধুকে একদল ঘাতক সেনাবাহিনী ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। তার হত্যার পরে বাঙালি জাতির পাশাপাশি বিশ্বনেতারাও শোকাতুর হয়ে পড়েছিল। অসংখ্য বিশ্বনেতা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক চেতনা ও তার হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে আজ পর্যন্ত যে সব মন্তব্য করেছেন, তা পর্যালোচনা করলে বোঝা যায়, বিশ্বনেতাদের নিকট বঙ্গবন্ধু ছিলেন এক বিস্ময়, ঘোরলাগা এক ব্যক্তিত্ব। দীপ্যমান নক্ষত্র : বঙ্গবন্ধু এম কামিল আহমেদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ দুটোই সমার্থক। বাংলার ভাগ্যাকাশে যখন ঘোর অমানিশা, তখন দীপ্যমান তারার মতো আবির্ভাব ঘটে বঙ্গবন্ধুর। স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধুর সম্মোহনী নেতৃত্বেই জন্ম হয় বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাধ্যমেই জাতি পায় পরমাকাঙ্ক্ষিত মুক্তির স্বাদ। পরাধীনতার শিকল ভেঙে, নিপীড়কদের কালো থাবা থেকে মুক্ত হয়ে আলোর রাস্তায় যখন পা ফেলে বাংলাদেশ, তখনই খসে পড়ে বাংলার আকাশের উজ্জ্বলতম ধ্রম্নবতারাটি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বদেশীয় ঘাতকের বুলেটের নির্মম আঘাতে নিভে যায় বাংলার সবচেয়ে রূপবান মানুষটির প্রাণপ্রদীপ। নিভে যায় আমাদের অসীম অনুপ্রেরণার বাতিঘর। ঘাতকরা হত্যা করেছে বঙ্গবন্ধুকে, তবে হত্যা করতে পারেনি তার আদর্শকে। যে আদর্শ আজও আমাদের প্রেরণা জোগায় এগিয়ে যাওয়ার শক্তির বার্তা দেয়। তার তুলনারহিত দেশপ্রেম, স্বচ্ছ চিন্তা, দেশের প্রতি নিখাদ ভালোবাসা তথা তার উন্নত জীবনীচরিত আমাদের বুকে ধারণ করতে হবে। শোকাবহ আগস্ট এক কলঙ্কজনক অধ্যায় জুবায়েদ মোস্তফা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আগস্ট মাস আমাদের শোকের ছায়ায় ভাসায়। প্রতি বছর আগস্ট নিয়ে আসে এক বুকভরা চাঁপা কষ্ট। আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় বিশ্বাসঘাতকতার এক নির্মম পরিহাসের কথা। আগস্ট স্মরণ করিয়ে দেয় এ দেশের কিছু মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছে স্বার্থপরতা আর বিশ্বাসঘাতকতা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দাঁড়িয়ে আমরা অথচ এখনো কিছু মানুষ মনে মনে পাকিস্তান লালন করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যিনি তার জীবন-যৌবন সব উজাড় করে দিয়েছেন দেশের জন্য। বুক চিতিয়ে লড়ে গেছেন পাকিস্তানি শাসক নামের শোষকদের বিরুদ্ধে। যার বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখে কেঁপে উঠতো পরাক্রমশালী শাসকদের চিত্ত, মসনদ। যে মানুষটি মানুষের মনে স্বাধীনতার বীজ বপন করেছিলেন। স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার জন্য বীজ মন্ত্র শিখিয়ে ছিলেন। বাংলাদেশের রূপকার, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিনি নিজেই স্বাধীন দেশে অনিরাপদ হয়ে ওঠেন। কিছু মুখোশধারী কালপিঠ তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। দেশকে নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন সাজাতে তিনি ব্যস্ত আর তারা ব্যস্ত ছিল গভীর ষড়যন্ত্রের নীল নকশা তৈরি করা নিয়ে। বঙ্গবন্ধুর রক্তে লাল হয়েছে এই বাংলার মাটি। ১৫ আগস্টের কাক ডাকা ভোর যেন কিছু সময়ের জন্য থমকে দাঁড়িয়ে ছিল। বুলেটে ঝাঁঝরা করা হয়েছিল জাতির জনকের প্রশস্ত বুক। সপরিবারকে হত্যা করে ধ্বংস লীলায় পরিণত করে খন্দকার মোস্তাকের অনুসারীরা। চির অমর বঙ্গবন্ধু ইমরান খান রাজ শেখ বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ, ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়। বঙ্গবন্ধু এমন একজন মানুষ, যার নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি। যিনি দেশকে স্বাধীন করতে নিজের জীবন করেছেন উৎসর্গ। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ও গুরুত্ব বাংলাদেশের মানুষ কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর স্থান ছিল বাংলার প্রতিটি মানুষের অন্তরে। কৃষক, শ্রমিক দিনমজুর আর খেটে খাওয়া মানুষের কাছের বন্ধু ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু মুজিব তার পুরো জীবনটাই বিলিয়ে দিয়েছেন বাংলার মানুষের সুখ, দুঃখ, দুর্দশা মেটাতে। কিন্তু বিনিময়ে কি পেয়েছেন তিনি? বঙ্গবন্ধুর প্রতি বাংলার সাধারণ মানুষের ভালোবাসা দেখে, কিছু মানুষরূপী পশুরা ঈর্ষান্বিত হয়। মনে মনে তৈরি করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নিকৃষ্টতম নীল নকশা। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে বিনির্মাণ করতে, বাংলার মানুষের কষ্ট লাঘব করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন না খেয়ে, না ঘুমিয়ে কাজ করে যাচ্ছিল ঠিক তখনই কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যরা তাকে হত্যার জন্য পা বাড়ায়। সেদিন বঙ্গবন্ধুর জন্য কেঁদেছিল বাংলার আকাশ, বাতাস, গাছপালা আর পাখিরা। বঙ্গবন্ধু চির অমর হয়ে বেঁচে থাকবে কোটি বাঙালির অন্তরে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে শাকিবুল হাসান বরেন্দ্র কলেজ, রাজশাহী ১৫ আগস্ট আমাদের জাতীয় শোক দিবস। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে জ্বলে ওঠা বাতিঘর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পুরো পরিবারকে হত্যার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ সামনে এগোনোর সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে যায়। আর এটা স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে দেশে তখনও পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা ছিলই। এছাড়া ১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাকান্ড যে শুধু রাজনৈতিক ইসু্য ছিল না সেটা স্পষ্ট। কারণ যদি শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হতো তবে এটা একভাবে ভাবা যেত। কিন্তু যখন তার আত্মীয়স্বজন সবাইকে হত্যা করা হলো তখন বুঝতে হবে এটার উদ্দেশ্য ভিন্ন রকম। সেটা হলো তারা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর বংশকে নির্বংশ করতে। যেন পরবর্তী কেউ এসে দেশের হাল ধরতে না পারে। দেশকে এগিয়ে নিতে না পারে। ঘটনাক্রমে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ রেহেনা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যায় এবং পরবর্তীতে এসে দেশের হাল ধরে। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার আদর্শ, ধৈর্যশীল রাজনৈতিক পন্থা বেঁচে ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ১৫ আগস্টে শুধু শোক পালন করলেই এ প্রজন্মের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না বরং বঙ্গবন্ধুর জীবনের ইতিহাস পড়ে তার আদর্শকে নিজের মধ্যে ধারণ করে দেশের জন্য কাজ করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। আত্মকেন্দ্রিক চিন্তা-ভাবনা পরিহার করে সমগ্র জাতির কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে অনুসরণ করে নিজেকে প্রকৃত দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তবেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান জানানো হবে এবং তার দেখা স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। বাঙালি জাতির স্বপ্নের অপমৃতু্য মোহাম্মদ এনামুল হক চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম ১৫ আগস্ট এলেই বাঙালির বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে ওঠে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণে-শ্রদ্ধায়, কান্নায়, ভালোবাসায় বারবার অবনত হয় মাথা। যে নেতার জন্ম না হলে বাংলা ও বাঙালির তার পরাধীনতার নাগপাশ থেকে কবে মুক্ত হতো তা বলা যেমন সম্ভব ছিল না তেমনি বাংলা ও বাঙালি জাতীয়তা ও জাতীয় পরিচয় কালের গর্ভে হারিয়ে যেত কিনা তাও বলা যেত না সেই নেতা হলেন বাঙালির রাখাল রাজা এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই কালরাত্রি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর বিপথগামী উচ্চাভিলাষী কয়েকজন সদস্যকে ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যবহার করেছে। আর এরাই স্বাধীনতার সূতিকাগার বলে পরিচিত ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে হামলা চালায় গভীর রাতে। হত্যা করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে। বিশ্ব ও মানবসভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে সেদিন তারা কেবল বঙ্গবন্ধুকেই নয়, তার সঙ্গে বাঙালির হাজার বছরের প্রত্যাশার অর্জন স্বাধীনতার আদর্শগুলোকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। মুছে ফেলতে অপপ্রয়াস চালিয়েছিল বাঙালির বীরত্বগাথার ইতিহাসও। বঙ্গবন্ধুর প্রতি অজস্র শ্রদ্ধা তামান্না সুলতানা নিশি মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন জাতির জনক, বাঙালির কণ্ঠ, যুদ্ধে প্রথম ডাক, মুক্তির প্রথম প্রদীপের নাম। তিনি বাঙালিদের লড়াই, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, নিজের অধিকার বুঝে নিতে, স্বাধীনভাবে বাঁচার শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি বাংলার মানুষের গর্ব, ভরসা, প্রেরণা, অস্তিত্ব, অবিরাম মুক্তির সংগ্রাম। তিনি অসমসাহসীর প্রতীক। তিনি সর্বপ্রথম স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন। সবাইকে সোচ্চার করেছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। তিনি ছিলেন যোগ্য নেতা বীর। কিন্তু ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের রাতের অন্ধকারে পাক বাহিনী দেশি ও বিদেশি শত্রম্নরা তাকে এবং তার সপরিবারকে নির্মমভাবে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করেন। তার দৈহিক মৃতু্য হলেও তিনি চিরঞ্জীব। তিনি বেঁচে আছেন আমাদের ইতিহাসের পাতায়, বইয়ের ভাঁজে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের আদর্শের মাঝে। তিনি বাংলার মানুষের মুক্তির চেতনার নাম। ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়ে গেছেন তিনি। দেশে-বিদেশে তার জয়গান, জয়ধ্বনি বিরাজমান রয়েছে। তার এত অবদান দেশের ও মানবসভ্যতার প্রতি এতে ঋণ কখনো গুনে আর বলে শেষ করা সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য মোহাম্মদ নাদের হোসেন ভূঁইয়া ফেনী সরকারি কলেজ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শব্দ দুটির অর্থ ভিন্ন হলেও দুটি শব্দের মধ্যে রয়েছে এক অবিচ্ছেদ রকম মিল। কারণ বাংলাদেশের সৃষ্টির ইতিহাস বলতে গেলে প্রথমে আসবে বঙ্গবন্ধুর নাম। যার দুঃসাহসিক নেতৃত্বে আমরা একটি দেশ পেয়েছি। পেয়েছি স্বাধীনতার স্বাদ। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে বাংলাদেশের 'জাতির জনক' বা 'জাতির পিতা' হিসেবে অভিহিত করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- তার এই অবদান কি আমরা সামান্য পরিমাণও শোধ করতে পেরেছি। নাকি শোধ করার চেষ্টাও করিনি! দুঃখজনক বিষয় হলো- আমরা বাঙালিরা ভালোবাসা আর আত্মত্যাগের চমৎকার মূল্য দিতে জানি। তাই তো রাতের আঁধারে বাঙালি কিছু বিপজ্জনক সেনা সদস্য রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য সপরিবারসহ হত্যা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সেই সঙ্গে হত্যা করে বাঙালির আদর্শ, সম্মান ও সততা একটি জ্বলন্ত অগ্নিপিন্ডকে। কিন্তু তিনি যে আদর্শে আমাদের পথ দেখিয়েছেন আমরা কি সেই পথের পথিক হতে পেরেছি? আমাদের উচিত তার আদর্শ ও তার দেখানো পথে পথিক হওয়া। তাহলে তার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা সম্ভব হবে। বঙ্গবন্ধু ও ইতিহাসের কালো অধ্যায় খালেদ মাহমুদ তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা পৃথিবীর বুকে বহু মনীষীদের আবির্ভাব ঘটেছে। তারা চির স্মরণীয় হয়ে আছে তাদের কর্মের মাধ্যমে। আমাদের আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নেতৃত্ব, কর্তৃত্ব ও মহান আত্মত্যাগের ফলে পেয়েছি আমরা এ দেশের স্বাধীনতা। যে স্বাধীনতার ফলে ফিরে পেয়েছি আমাদের পূর্ণাঙ্গ অধিকার, পেয়েছি আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার পূর্ণ স্বাদ। কিন্তু ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সপরিবারের হত্যার মাধ্যমে। যে হত্যার ফলে বাঙালি জাতির জন্য শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই শোককে বাঙালি জাতি শক্তিতে পরিণত করে আগামীর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে বাঙালি জাতিকে একতার সুরে সুর মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। নয়তো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা স্বপ্নই থেকে যাবে। কাজেই দল-মত নির্বিশেষে বাঙালি জাতিকে একতার মধ্যে দিয়ে একটা শান্তি ও সুশৃঙ্খলময় রাষ্ট্র গঠনের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। তাই শোক হয়ে উঠুক আমাদের জন্য আগামীর পথ চলার অনুপ্রেরণা। শোকের মাসে মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। তিনি বেঁচে আছেন আমাদের মাঝে তার কর্মের মাধ্যমে তার কৃতিত্বের মাধ্যমে। এই জন্যই কবি অন্নদাশঙ্কর রায় বলেছেন, যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান। জাতীয় শোক হোক জাতির শক্তি রেহেনুমা সেহেলী কবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ পৃথিবীর ইতিহাসে ১৫ আগস্ট একটি ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকান্ডের দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঘাতকের গুলিতে সপরিবারে শাহাদাতবরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু ঘাতকের বুলেট বঙ্গবন্ধুকে বাঙালি জাতিসত্তা থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি। বাঙালি জাতির মানসপটে আজও অম্স্নান হয়ে আছেন তিনি। তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণার বাতিঘর শেখ মুজিব। কীভাবে একটি জাতিকে সংঘবদ্ধ করতে হয়, কীভাবে একটি দেশকে স্বগৌরবে উঠে দাঁড়াতে হয়- বঙ্গবন্ধুর সেই শিক্ষা আমাদের চলার পাথেয়। তার আদর্শ অনুসরণ করলে দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণ সাধন করা সম্ভব। আর তাই তরুণ প্রজন্মকে নতুন প্রত্যয়ে বলীয়ান হতে হবে। একটি স্বাধীন জাতির পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে, দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সার্বিক উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়া বাঙালি জাতির মহিমান্বিত ইতিহাস যেন কোনোভাবেই বিকৃত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তবেই জাতির পিতার সোনার বাংলা আর সোনার মানুষ গড়ার স্বপ্ন সত্যি হবে। স্বার্থক হবে দেশের তরে বঙ্গবন্ধুর সকল ত্যাগ, তিতিক্ষা ও সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্ট উম্মে জান্নাত মিম কুমিলস্না বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী। দিনটি একই সাথে শোকের এবং হারানোর। প্রতি বছর ১৫ আগস্ট জাতীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে এ দিবসটির সঙ্গে পালন করা হয়। এই দিনে সব সরকারি, বেসরকারি ভবন ও শিক্ষা- প্রতিষ্ঠানগুলোতে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয় এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শুধু বাংলাদেশ ভূখন্ডে নয়, দুনিয়াজুড়ে বিবেকবান মানুষের কাছে ভয়ংকর বিষাদের এক দিন ১৫ আগস্ট। সেদিন তিনি ছাড়াও নিহত হন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ আরও ১৬ জন। দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বঙ্গবন্ধু 'ছিলেন-আছেন-থাকবেন' আশরাফুল মুহাম্মদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 'আগস্ট' এটি অন্য মাসের মতো কোনো মাস নয়। আগস্ট মানে হতাশা, নিরাশা, অশান্তি, অরাজকতা চারদিকে শোক ছায়া। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমাদের দেশের স্বাধীনতার পক্ষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এক দুষ্কৃতি দ্বারা হত্যা করা হয়েছিল। যে মানুষটি কখনও নিজের স্বার্থ দেখেনি, সারাজীবন দেশ এবং দেশের জনগণের জন্য নিজেকে বিসর্জন দিয়েছেন। এ দেশ এবং দেশের মানুষকে স্বাধীনতার মতো সুবিস্তর সুখ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ছাড়া স্বাধীনতা শব্দটি বাঙালির কাছে, ঠিক লবণ ছাড়া তরকারির মতো। অথচ এই মানুষটাকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। একটি জাতি কতটা বিপথগামী হলে তার স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠাকারী নেতাকে হত্যা করতে পারে, সেকথা এই জাতি জানে না। যদি জানত তবে এরকম কুকর্ম ন্যক্কারজনক কাজ কখনও করতে পারত না। আজ বঙ্গবন্ধু পৃথিবীতে নেই, তবে তিনি ছিলেন-আছেন-থাকবেন, আমার এবং আমাদের হৃদয়ে। যতদিন 'বাঙালি জাতি' বলে কোনো শব্দ থাকবে এই পৃথিবীর বুকে বিরাজমান, ততদিন তিনি আবহমান থাকবেন। শোক হোক শক্তি হাসান মাহমুদ শুভ ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর পরাধীনতার প্রাচীর ভেঙে বাঙালি জাতিকে মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করার সুযোগ করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালির মুক্তির জন্য দীর্ঘ ২৩ বছর কারাবন্দি ছিলেন বাঙালি জাতির কর্ণধার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু আমরা তার যথাযথ সম্মান দিতে পারিনি! অকৃতজ্ঞ জাতি তাকে স্বাধীন বাংলার প্রকৃতির স্বাদ বেশিদিন উপভোগ করতে দেয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। ঘড়ির কাঁটার আবর্তনে আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় শোকাবহ আগস্ট মাস! এই শোককে পুঁজি করে শোকাহত হয়ে বসে থাকলে চলবে না। শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে তবেই সুন্দর, শান্তিপ্রিয় ও দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা পাবে। একটি স্বপ্নের অকাল মৃতু্য মেহেদী হাসান নাঈম সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া উন্নত সোনার বাংলার স্বপ্ন সারথি কোটি বাঙালির হৃদয়ের স্পন্দন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি বাঙালিকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন স্বাধীনভাবে বাঁচতে, শত্রম্নর সঙ্গে বুক চিতিয়ে বাঘের মতো লড়তে। নিজের অস্থিত্বের জানান দিয়ে মায়ের মতো প্রিয় এই মাতৃভূমিকে বিশ্বের বুকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ ?মুজিবুর রহমান। তিনি একটি স্বপ্ন দেখেছিলেন। সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশকে উন্নত সোনার বাংলায় রূপ দেবেন। যা গুটি কয়েক স্বার্থপর মানুষের সহ্য হয়নি। পরিকল্পনা করে বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার। তারা সফলও হয়েছে। লক্ষ-কোটি বাঙালির প্রাণের নেতার রক্ত সেদিন ধানমন্ডির ৩২ নাম্বার বাড়িকে ভিজিয়ে তুলেছিল, আর সিঁড়িতে পড়ে ছিল বঙ্গবন্ধুর নিষ্প্রাণ দেহ।' যদি রাত পোহালে শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই' এ শুধু গান নয়, বাংলার কোটি মানুষের হৃদয়ে গভীর থেকে উথলে ওঠা অমলিন ভালোবাসার সুর। বাঙালি আজও বিশ্বাস করতে পারে না ঘাতকের বুলেট ক্ষত-বিক্ষত করেছে তাদের স্বপ্নকে। সিঁড়িতে পড়ে ছিল জাতির পিতার নিষ্প্রাণ দেহ। মরণজয়ী এ নেতার যদি সেদিন অকাল মৃতু্য না হতো তাহলে হয়তো বাংলাদেশ অনেক আগে আজকের এই উন্নতির দেখা পেত। বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। আর এর মাধ্যমেই আমাদের হৃদয়ে আমৃতু্য বেঁচে থাকবে বঙ্গবন্ধু। আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি আনিসুর রহমান পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিনের শোষণ-নিপীড়ন অন্যায়-অত্যাচারে সহ্য করা বাঙালি জাতি হয়তো স্বাধীনতার কথা কখনো ভাবতেও পারেনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন এবং স্বপ্ন পূরণ করেও দেখিয়েছেন। পরাধীনতার দুর্গে আঘাত করে দিয়েছেন একটি স্বাধীন দেশ ও জাতি। স্বাধীন বাংলাদেশ, স্বাধীন জাতি স্বপ্ন বুনেছিল বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই বাংলাদেশ হবে বিশ্বসেরা। দূর হবে আপামর সাধারণের দুঃখ-কষ্ট। কিন্তু বাঙালি পরিচয় ধারণকারী কিছু নরপিশাচ বাঙালির স্বপ্নকে বুলেটের আঘাতে চুরমার করে দেয় ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট। শুধু স্বপ্নই চুরমার হয়নি, তিরিশ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা বোনের ইজ্জতে পাওয়া এই দেশে দুর্নীতিবাজ, লুটেরাদের অভরায়ণ্যে তৈরি করে যার লাগাম বাঙালি এখনো টানতে পারেনি। যে মানুষটা সারা জীবন বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য লড়াই করেছেন আমরা তার প্রতিদান দিয়েছি ১৫ আগস্ট বুলেটের নির্মম আঘাতে। পৃথিবীর ইতিহাসে আমরা এক বড় অকৃতজ্ঞ জাতি।