স্মৃতি স্মরণে ইবির 'মৃতু্যঞ্জয়ী মুজিব'

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

ম আর এম রিফাত
'মৃতু্যঞ্জয়ী মুজিব' এই অনন্য স্থাপনাটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অবস্থিত। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুজিব মু্যরাল। ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে শির উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি স্মরণে নির্মিত মু্যরালটি। মু্যরালটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সৌন্দর্যকে হাজার গুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। যা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক মহাসড়কের পাশে হওয়ায় দেখা যায় যাতায়াতকারীরাও যাওয়ার সময় মু্যরালটির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য তাকিয়ে থাকে। অনেক সময় বিভিন্ন পিকনিক স্পটে যাওয়ার সময় মূল ফটকে গাড়ি থামিয়ে মু্যরালটির সৌন্দর্য উপভোগ করেন পর্যটকরা। মৃতু্যঞ্জয়ী মুজিব মূল স্থাপনার দৈর্ঘ্য সিঁড়িসহ ৫০ ফুট এবং প্রস্থ ৩৮ ফুট এবং স্থাপনা বেদির উচ্চতা ৫ ফুট। বেদির ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির দৈর্ঘ্য ২৬ ফুট এবং প্রস্থ ১৭ ফুট। মূল প্রতিকৃতিটি রড, সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। বেদিতে উঠতে এর তিনটি সিঁড়ি রয়েছে এবং স্থাপনার তিন দিকে চলাফেরার জন্য অতিরিক্ত ১৫ ফুট করে চওড়া জায়গা রয়েছে। প্রতিকৃতির ডানপাশে ৪ ফুট চওড়া ও ২০ ফুট উচ্চতার একটি দেয়াল রয়েছে। দেয়াল চিত্রটি খোদাই করা পাথর ও টাইলস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। মূল প্রতিকৃতির ডান পাশের ওয়ালে বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষর করা একটি ইংরেজি বাণী লিপিবদ্ধ আছে। তার ঠিক নিচেই রয়েছে তার বাংলা অনুবাদ। বাণীটি হলো- 'একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়ে আমি ভাবী। একজন বাঙালি হিসেবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তা আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পত্তির উৎস ভালোবাসা। অক্ষয় ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।' মু্যরালটির পরিকল্পনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডক্টর হারুন-উর-রশিদ আসকারী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জালাল উদ্দীন তুহিনের যৌথ অর্থায়নে এটি স্থাপন করা হয়। প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আলিমুজ্জামান টুটুল মু্যরালটির নকশা করেন। শৈল্পিক কারুকার্যের রূপ দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কনক কুমার পাঠক। ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারি মু্যরালটির উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। মু্যরাল নিয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী নাজিফা সুলতানা বলেন, মৃতু্যঞ্জয়ী মুজিব মু্যরালের পাশে যখন দাঁড়াই, তখন মুজিবের চেতনায় দেশপ্রেমে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি একটি অনন্য স্থাপনা। এজন্য আমরা গর্বিত।