শিক্ষাথীের্দর ভাবনায় জাতীয় নিবার্চন

প্রতিবারের মতো এবারের নিবার্চনেও প্রভাব বিস্তার করবে তরুণ ভোটাররাই। কেবল নিবার্চন নয়, যে কোনো সমাজের একটি বড় শক্তি এই তরুণ সমাজ। একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে প্রথম ভোট দেবেন সোয়া কোটি নতুন ভোটার। রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের কথা মাথায় রেখেই দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রæতি। কিন্তু নিবার্চন নিয়ে কী ভাবছেন তরুণ ভোটাররা? তাদের প্রত্যাশার কথা জানাচ্ছেন রুমান হাফিজ

প্রকাশ | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নিরপেক্ষ নিবার্চন কাম্য মাসুম মুনাওয়ার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমি মনে করি একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন তরুণদের নিবার্চন। বাংলাদেশ এখন তারুণ্যের। আসন্ন নিবার্চনে তাই তারুণ্যের প্রতিনিধিত্ব ও চিন্তাই প্রতিফলিত হবে বলেই বিশ্বাস। এক তরফা কোনো নিবার্চন চাই না। একজন তরুণ হিসেবে একাদশ জাতীয় নিবার্চন বহুদলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নিবার্চন হবে বলে আশা রাখি। সব সংসদ সদস্য প্রাথীর্র নিবিের্গ্ন নিবার্চনী কাযর্ক্রম পরিচালনার অধিকার রয়েছে। নিবার্চন কমিশন ও প্রশাসনের উচিত তাদের সেই কাজে বাধা প্রধান না করা। বরং যে গোষ্ঠী বা দল নিবার্চনী কাযর্ক্রমে বাধা প্রদান করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে নিবার্চনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা। নিবার্চন কমিশনের উচিত হবে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নিবার্চন উপহার দিয়ে সবার কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। তাহলে আগামীর বাংলাদেশের জন্য তা একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে বলেই আমার বিশ্বাস। তাই আমার প্রত্যাশা থাকবে সব আসনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নিবার্চন। গণতন্ত্র বিরাজমান থাকুক সাদিয়া আফরিন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সুষ্ঠু নিবার্চনÑ সুন্দর দেশ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরে অজির্ত এই দেশ, স্বাধীনতা। স্বাধীন দেশে প্রত্যেকেরই অধিকার আছে কথা বলার, সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার। প্রত্যেক নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব যেমন ভোট দেয়া, তেমনি প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারা। ক্ষমতার পায়ের তলায় যেন অধিকার পিষে না যায়। আমজনতা ক্ষমতা চায় না। চায় কেবল অধিকার, সুস্থ স্বাভাবিক জীবন। সুষ্ঠু নিবার্চন অনুষ্ঠিত হোক। জনগণের জানমাল সংরক্ষিত থাকুক। স্বাভাবিক জীবনযাপন অব্যাহত থাকুক। ‘জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতন্ত্র বিরাজমান থাকুক, এটাই প্রত্যাশা। তরুণদের ভ‚মিকা বেশি মুন্নি আক্তার, গণ বিশ্ববিদ্যালয় এবারের নিবার্চনে তরুণরা অনেক বড় ভ‚মিকা পালন করছে। বলা হচ্ছেÑ এবার যে কোনো বড় ধরনের পরিবতর্ন আসতে পারে তাদের হাত ধরে। আমি নিজেও একজন তরুণ ভোটার, তাই এই বিষয়টা নিয়ে আমার যেমন আনন্দ লাগছে ঠিক একই জায়গায় অনেকটা ভয়ও কাজ করছে এই ভেবে যে, পরিবতের্নর দায়িত্বটা আমাদের তরুণদের ঘাড়ে এসে পড়েছে। তবে এটা ভেবে সাহস পাচ্ছি যে এ দেশের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ যত ভালো কিছু হয়েছে সবকিছু নেতৃত্বে ছিল এ দেশের তরুণরা। তাই আমি মনে করি আমরা তরুণরা কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেব না। আমাদের হাত ধরেই আবারও নব দিগন্তের সূচনা হবে এ দেশে। অংশগ্রহণমূলক নিবার্চনের প্রত্যাশা জয়নুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নিবার্চন হলো প্রতিনিধি বাছাইয়ের মাধ্যম। আর তা যত সুষ্ঠু হবে ততই জনগণের আশা-প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে। সাধারণত নিবার্চনের মাধ্যমেই জনগণ শাসনকাযের্ অংশগ্রহণ করে থাকে। তাদের পছন্দসই প্রাথীের্ক ভোট দিয়ে নিবাির্চত করে। কিন্তু সেখানেও যদি জনগণ তাদের অধিকার আদায়ে কিংবা কতর্ব্য পালনে ব্যথর্ হয় তাহলে তা প্রশাসন তথা দেশের ব্যথর্তারই পরিচয় বহন করবে। আশা করি, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে এবং জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। কোনো দলই নিবার্চনে হস্তক্ষেপ করবে না। আর এ নিবার্চন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অংশগ্রহণমূলক নিবার্চন হবে এই প্রত্যাশা করি। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা যেন থাকে রামিসা রাফিকা, ইডেন মহিলা কলেজ গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্রে সাংবিধানিক নিয়মানুসারে ভোট প্রদান যেমন সব জনগণের কাম্য তেমনি প্রত্যেক দলের কারচুপি করে নিয়ম ভঙ্গ কোনোরূপ সহিংসতা না করে বিজেতা ও বিজিত ফলাফল মেনে নেয়া উচিত। যেই দল-ই আসুক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে, রাজনীতিকে কলুষিত করে নেতিবাচক রাজনীতি করা কাম্য নয়। নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা, দুনীির্ত দমন, জঙ্গিবাদ নিরসন, মাদকমুক্ত, সাম্প্রদায়িকতা এবং কুসংস্কারমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি।