‘অনুপ্রেরণার বাতিঘর

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

আসিফ হাসান রাজু
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষাথীর্রা
দিনটি ছিল ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি। এই দিনেই প্রথম পা রেখেছিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবে। ছোট বেলা থেকেই তাড়না ছিল সাংবাদিকতার খাতায় নাম লেখাবার। সেই ইচ্ছাটাকে বাস্তবায়ন করার তাগিদে বিশ্ববিদ্যালয় মানবকণ্ঠের রিপোটার্র শাহিন ভাইয়ের মাধ্যমে আসার স্যেভাগ্য হয়েছিল এই ক্লাবে। বিশ্ববিদ্যালয় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের পাশের একটি কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব অফিসের অবস্থান। এটি যেন এক ‘অনুপ্রেরণার বাতিঘর’। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমরা নিভীর্ক সত্য লিখবই ¯েøাাগান নিয়ে ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল এই সংগঠনটি। যেটিকে আমি নিজে নামকরণ করেছি অনুপ্রেরণার বাতিঘর হিসেবে। যেখান থেকে বের হয়েছে দেশ বরেণ্য অনেকে। কেউ বা দেশের সেবাই নিয়োজিত কেউ আবার পাড়ি জমিয়েছে দেশের সীমানা পেরিয়ে দূর পরবাসে। শাহিন ভাইয়ের মাধ্যমে ক্লাবে গিয়ে পরিচিত হয় ততকালীন ক্লাবের সভাপতি বুলবুল ফাহিম ভাই ও সেক্রেটারি তাসলিমুল আলম তৌহিদ ভাইয়ের সাথে। তারা দু‘জনেই এখন সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত। স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে প্রয়োজন ধৈযর্ আর অটুট মনোবলের যা আমি শিখেছি তাদের কাছ থেকেই। ছাত্রজীবনে পড়ালেখার পাশাপাশি সমাজের কাছে নিজের কিছুটা দায়বদ্ধতা থেকে যায়। সেই দায়বদ্ধতার জায়গা পূরণ করে এই সমস্ত সামাজিক সংগঠন। সমাজের অসংগতিকে লেখনীর মাধ্যমে দেশ, জাতির সামনে তুলে ধরার মাধ্যম হলো সাংবাদিকতা। সেই মহান ব্রতী নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব যা আজ অবধি বহমান। ক্লাবটি অগ্রযাত্রার ৩১ বছর পার করে এখন যৌবনদীপ্ত সময় পার করছে। ক্লাবটিতে বতর্মানে ৩৪ জন সাংবাদিক কমর্রত আছেন। এভাবে হাজারও শিক্ষাথীর্র আমার মতো স্বপ্ন পূরণ করে দঁাড়িয়ে আছে অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে। এখানে এলে দেখা মেলে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষাথীর্ মিলে সংবাদ সংগ্রহ করে তা দেশ জাতির কাছে পৌঁছে দিতে ব্যস্ত সময় পার করতে। অলস সময়ে আড্ডা গানে মেতে উঠতে। ভিন্ন ভিন্ন জেলা থেকে আসা আবার ভিন্ন বিভাগ তবুও এ যেন একই পরিবারে বাধা। বড়দের ভালবাসা, সহযোগিতা, পরামশর্ কোন কাজে ব্যথর্ হলে অনুপ্রেরণা আবার বড়দেরকে ছোটদের সম্মান। পরিবার ফেলে দূর ক্যম্পাসে এ যেন আরেক পরিবার। ক্লাবে কেউ ব্যস্ত কবিতা লিখতে, কেউবা সংবাদ আবার কেউ ব্যস্ত গল্প, এরই মধ্যে কেউবা ব্যস্ত নিজ ক্যাম্পাসের অপার সৌন্দযর্ নিয়ে ফিচার লিখতে আবার কেউ ব্যস্ত দেশের সমাজের নানা অসংগতি নিয়ে কলাম লিখতে। এখানে নানা ধরনের প্রতিভাবান দের মাঝে গিয়ে নিজেকেও নতুন ভাবে আবিষ্কারের নেশা যাগে। এর মধ্যে চলে তীব্র প্রতিযোগিতা। তাই সব দিক বিবেচনা করে হাজার তরুণের স্বপ্ন পুরণের এই ক্লাবটি কে অনুপ্রেরণার বাতিঘর বললে অতুক্তি হবে না। আর এইভাবে অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে চির অ¤øাান হয়ে টিকে থাক প্রিয় ক্যাম্পাসের প্রিয় ক্লাবটি সেই প্রত্যাশা করি।