নবীনবরণে উচ্ছ¡াস

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

রায়হান শরীফ
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে অতিথি ও শিক্ষাথীের্দর একাংশ
সমবেত স্বাগত সংগীত, ফুলেল শুভেচ্ছা, মানবীয় গুণাবলি অজের্নর দীক্ষায় পেশাদার আলোকিত মানুষ তৈরির আলোচনা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, র‌্যাফেল ড্র’ ইত্যাদি আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে গত শনিবার, ৭ জুলাই-২০১৮ রাজধানী উত্তরার জমজম কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হলো অত্র অঞ্চলের প্রথম সৃজনশীল, কমর্মুখী ও সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয় ‘শান্ত-মারিয়াম ইউনিভাসিির্ট অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি’র গ্রীষ্মকালীন সেমিস্টার-২০১৮-এর নবীনবরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মো. ইমামুল কবীর শান্ত ও ভাইস চেয়ারম্যান ডা. আহসানুল কবীর, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী মো. মফিজুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর শামসুন নাহার, রেজিস্ট্রারার এ আর হোসনে আরা রহমান, আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন আহমেদ, প্রক্টর ড. গোলাম মোস্তাফাসহ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বিভিন্ন অনুষধের ডিন ও বিভাগীয় প্রধানরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ঊধ্বর্তন ব্যক্তিবগর্ উপস্থিত ছিলেন। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের প্রধান মো. ইসহাকের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানের প্রথম পবর্। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডকুমেন্টারি প্রদশর্ন ও থিম সং শেষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রক্টর ড. গোলাম মোস্তফাসহ ভিসি প্যানেলের ঊধ্বর্তনরা। তারা নবীন শিক্ষাথীের্দরকে নিজেদের একাডেমিক ও পাঠ্য বহিভূর্তসহ সব ধরনের শিক্ষাদানের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জীবনের বহুমুখী শিক্ষা বিনিময়ের কেন্দ্রবিন্দু। তাই আমরা তোমাদের জন্য সদা প্রস্তুত, কিন্তু তোমাদের কার কি সমস্যা সেটা তোমরাই ভালো জান। তাই এসব ব্যাপারে আমাদের অবগত করে যার যেখানে দুবর্লতা বা সমস্যা রয়েছে, সেটা পূরণ করার চেষ্টা করবে। এ ব্যাপারে সাবির্ক সহযোগিতা তোমরা পাবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাযর্ প্রফেসর ড. কাজী মো. মফিজুর রহমান নবীণদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও ঊধ্বর্তন কমর্কতাের্দর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর বক্তব্য রাখেন শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইমামুল কবীর শান্ত। নবীন শিক্ষাথীের্দর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক-পরিচালক যাই হইনা কেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ কিন্তু তোমরা ছাত্ররাই। তোমরা আমার সন্তান। তোমাদের মাঝে আমি সন্তান, পরিবার সব কিছুই খুঁজে পাই। ফলে তোমাদের যে কোনো সমস্যায় আমার কাছে আসবে ঠিক সেই অধিকার নিয়ে যে অধিকার নিয়ে ছুটে যাও তোমার পিতা-মাতার কাছে। তোমরা বাবা মায়ের কষ্টাজির্ত অথর্ যেমন দিচ্ছ, তেমনি এর বিনিময়ে তোমার প্রয়োজনীয় যে শিক্ষা তা বুঝে নিতে একটুও কুণ্ঠাবোধ করবে না। এ ব্যাপারে কোনো সমস্যা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊধ্বর্তন থেকে নিম্ন স্তরে; বিভাগীয় প্রধান কিংবা যে কোনো ঊধ্বর্তন কমর্কতার্ পযর্ন্ত যেথায়ই তুমি যাও তোমার যে কোন অভিযোগ কিংবা সমস্যা তারা শুনতে বাধ্য। ফলে তোমরা যখনই প্রয়োজন হবে দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে অবিলম্বে জানাবে। মনে রাখবে তোমাদের মধ্যে সেই তত স্মাটর্ তথা নিজের ব্যাপারে সচেতন, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে নিজের প্রাপ্যটুক বুঝে নেবে। মূল আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল ডিপাটের্মন্টের নৃত্যের শিক্ষকদের মনোলোভা নৃত্য, এটিএন বাংলার তারকাদের তারকা অনুষ্ঠানের বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ও অন্যান্য শিল্পীদের বাছাইকৃত সংগ্রহ থেকে মনোমুগ্ধকর রকমারি পরিবেশনা অনুষ্ঠানকে অত্যন্ত উপভোগ্য করে তোলে। এরপর র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এই পবের্ প্রথম পুরস্কার অজর্নকারীর ড্র পরিচালনা করেন শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোডের্র সদস্য ডা. আহসানুল কবীর। এরপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্য দিয়ে শেষ হয় নবীন ছাত্র-ছাত্রীদের বরণ করে নেয়ার এই মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান।