তারুণ্যে জেগে উঠুক নব উদ্যমে

ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে আরো একটি বছরের বিদায় (২০১৮) জানিয়ে ২০১৯-এর আগমন। নতুনের আগমনে সবার মনে নানা কল্পনা-পরিকল্পনা। যা কিছু অসত্য, অসুন্দর, অশুভ আর অমঙ্গলজনক সে সবকে ঝেড়ে ফেলে... সত্য, সুন্দর, ভালো আর মঙ্গলের জন্য অপেক্ষমাণ সবাই। দেশের মোট জনসংখ্যার বিরাট একটি অংশ তরুণ। তারুণ্যই একটি দেশের এগিয়ে যাওয়ার বিশাল শক্তি। নতুন বছরে তরুণ প্রজন্মেরও রয়েছে নানা কল্পনা-পরিকল্পনা আর আশা-প্রত্যাশা। তারুণ্যের সেই প্রত্যাশার কথা জানাচ্ছেন মাহবুব এ রহমান

প্রকাশ | ০২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
উন্নতির পদযাত্রায় এগিয়ে চলুক বাংলাদেশ তাওহীদ হাসান দোহা অশুভ ও অসুন্দরকে পেছনে ফেলে নতুনের নিশান উড়িয়ে নববষের্র আগমন। মানুষে মানুষে বৈষম্য, উগ্রবাদ, বিত্তের দম্ভ, পুঁজিবাদী মনোভাব এবং দ্ব›দ্ব নিরসনে নতুন বছরটি হোক সঞ্জীবনী শক্তি। নতুন বছরকে ঘিরে প্রত্যাশা, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক সবাের্গ্র। সড়ক যেন আর কোনোভাবেই মৃত্যুফঁাদে পরিণত না হয়। তরুণদের সৃজনশীলতা, সুনীতি চচার্, বিজ্ঞানমনষ্ক মনোভাব এবং মানবিকতা যেন ইতিবাচক বাংলাদেশ বিনিমাের্ণ অন্যতম হাতিয়ার হয়। সবোর্পরি অহিংস, জনকল্যাণমুখী আর সম্প্রীতির রাজনীতির বিস্তার ঘটাতে হবে। গুরুত্ব দিতে হবে তারুণ্যের মতামতকে। তারুণ্যের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে উন্নতির পদযাত্রায় এগিয়ে চলবে বাংলাদেশ, নতুন বছরে এই প্রত্যাশা। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শেকড় থেকে শিখরে পেঁৗছক আমাদের সমৃদ্ধি সুমাইয়া মুস্তারি অনেক প্রত্যাশা আর সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয় নতুন বছর। তবে একটি দেশের সমৃদ্ধিতে তারুণ্যের আশা-আকাক্সক্ষা, চিন্তাচেতনা বিবেচ্য বিষয় হয়ে ওঠে। বিগত বছরটিতে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে নতুন উদ্দীপনা ও সম্ভাবনার দ্বার খুলে যায় তরুণদের সামনে। দেশবাসীর মঙ্গল কামনা, দেশের বতর্মান রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে উত্তরণ, সবর্স্তরের শিশুদের জন্য শিক্ষা সুনিশ্চিত করা, নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুরক্ষা করা এবং তরুণদের মতামতকে অগ্রাধিকার দেয়া এগুলোই নববষের্ বতর্মান প্রজন্মের চাওয়া। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদসহ সব অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দঁাড়ানো এবং বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে আগামীর কাছে পৌঁছে দেয়ার কাজে আমাদের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদেরই এগিয়ে আসতে হবে। তরুণ প্রজন্মই একটি দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির মূলমন্ত্র। তারুণ্যের অফুরান শক্তিতে শেকড় থেকে শিখরে পেঁৗছক আমাদের সমৃদ্ধি। নতুন বছরের প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ সব ধরনের অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে সবার জন্য মঙ্গল বাতার্ বয়ে আনুক। আন্তজাির্তক সম্পকর্ বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্য আর সুন্দর হোক নতুন বছরের নিশান নাসিম আহমদ লস্কর স্বাধীনতা অজের্নর অন্যতম একটি লক্ষ্য ছিল সাম্যভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা? কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, জাতির পিতার স্বপ্নের সাম্যভিত্তিক সমাজ আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি সোনার বাংলা যখন অপশক্তি দ্বারা আক্রান্ত হয় তখনই মনে প্রশ্ন জাগে তবে কি স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও আমরা পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে পারলাম না? জাতি হিসেবে আমরা কতটা কৃতজ্ঞ? একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে আমার প্রত্যাশা নতুন বছরে আমরা যেন একটি সুশিক্ষিত, সৎ, আদশির্ক আর সাম্যভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারি, সেই লক্ষ্য নিয়ে যেন আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই দুনীির্ত। অসাম্য আর শোষণ নিপাত যাক,? পুরনো দিনের জীণর্তা, কলুষতা মুছে পূণর্তা আর সমৃদ্ধিতে ভরপুর হোক সবার জীবন। অপ্রাপ্তি আর অপূণর্তা ঘুচে সুন্দর আর সাম্য হোক নতুন বছরের নিশান? ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট বৃদ্ধি পাক নতুন নতুন কমর্সংস্থান সুমাইয়া আহমেদ নুসরাত নববষর্ কেবল যে একটি নতুন বছরই নিয়ে আসে তা নয়, বরং সঙ্গে নিয়ে আসে নতুন কিছু আশা-প্রত্যাশা, ফেলে আসে পুরাতন কিছু দুঃখ-হতাশা। নতুন বছরে চাওয়া থাকে সব উজ্জ্বল আলোকিত কিছুর ঠিক তেমনভাবে, যেমন রাতের অঁাধার শেষে আলোকিত এক প্রভাতের শুরু হয়। আমাদের দেশের বিভিন্ন রকম সমস্যার মধ্যে অন্যতম দুটি সমস্যা হলো, অধিক যানজট ও অপযার্প্ত কমর্সংস্থান। যানজটের সমস্যা দূর হলে আমাদের অনেক মূল্যবান সময় বেঁচে যেত। অন্যান্য ক্ষেত্রে আমরা সেই সময়কে কাজে লাগানোর সুযোগ পেতাম। এ দেশে প্রচুর শিক্ষিত বেকার কমর্সংস্থানের অভাবে জজির্রত হয়ে আছে। যার দরুন বেড়ে চলেছে দারিদ্র্য এবং হতাশা প্রভৃতি। নতুন বছরে কমর্সংস্থানের খাত বৃদ্ধি করা হলে সমাজে অনেকটা স্বস্তি ফিরে আসবে। পরিশেষে বিগত বছরের ঝগড়া-বিবাদ, অপ্রাপ্তি, দুঃখ সবকিছু কাটিয়ে নতুন বছর এ দেশে এনে দিক সবার মনে সুখ ও সমৃদ্ধির ছায়া। মাকেির্টং বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়