নবীনদের চোখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ২০২২ সাল সমগ্র পৃথিবীবাসীর কাছে স্মরণীয়-বরণীয় তথা অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। কোভিড পরবর্তী মানবসৃষ্ট ইউক্রেনীয় সংকট, বৈশ্বিক মন্দা আরও একবার নাজেহাল সদৃশ অবস্থায় পর্যবসিত করেছে পৃথিবীবাসীকে। যা চেয়েছি, তার কতটুকু পেয়েছি এ বছর? তার হিসাব কষা কঠিন বৈকি। তাই তো, পুরনো জীর্ণতাকে ফেলে নতুন বছরে তারুণ্যের চাওয়া-পাওয়াকে লেখনী ধারায় তুলে ধরেছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র, মোহাম্মাদ মারুফ মজুমদার।

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
উত্তম জীবন গঠনে চাই জবির সহায়তা মো. আশাদুল ইসলাম নাঈম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। আধুনিকতার এই যুগে জ্ঞানচর্চায় বিশ্ববিদ্যালয় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশ্ববিদ্যালয় একজন ছাত্রের জীবনে সামাজিক মর্যাদা যেমন বৃদ্ধি করে ঠিক তেমনি একজন ছাত্রের পরিপূর্ণ বিকাশে সহায়তা করে। তাই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার জন্য, সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য এবং নিজের পরিপূর্ণ বিকাশ লাভের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। কিন্তু বিশ্বায়নের এই যুগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সিট দখল করা যেন আকাশ-কুসুম। অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে দখল কর?তে হয় একটা সিট। স্রষ্টার অশেষ কৃপায় এবং বাবা-মায়ের দোয়ায় আমি বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। তন্মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কেই আমি বেছে নিয়েছি আমার জ্ঞানচর্চার মাধ্যম হিসেবে। সাবজেক্ট হিসেবে বেছে নিয়েছি বাংলাসাহিত্য। সাহিত্যের মাধ্যমেই একটি দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানা যায়। সেই সঙ্গে জানা যায় বিভিন্ন বৈচিত্রে?্যর মানুষের জীবনধারা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে ছিলেন বেশ কয়েকজন গুণী মানুষ। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কথাসাহিত্যিক শওকত আলী, কবি ও সাংবাদিক হাসান হাফিজুর রহমান, নাট্যব্যক্তিত্ব মমতাজউদ্দিন আহমদ, ঔপন্যাসিক আলাউদ্দিন আজাদ ও বাংলাদেশের বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা নিয়ে সমৃদ্ধ আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বাংলা বিভাগ। আমি প্রত্যাশা করি বর্তমানে সম্মানিত যেই শিক্ষকরা ও সিনিয়র রয়েছেন তাদের সহায়তায় আমরা আমাদের বাংলা বিভাগকে অনেকদূর নিয়ে যেতে সক্ষম হবো। সবার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন সুখময় হউক। কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নপূরণের সারথি হোক জগন্নাথ সুরাইয়া রাত্রী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্বপ্ন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হওয়ার কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নপূরণে যখন আমি ব্যর্থ, হার না মেনে নতুন করে স্বপ্ন দেখলাম একজন জবিয়ান হওয়ার। কেবল গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই নয়- ঢাকায় অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি অন্যতম। তাই আমার পছন্দ তালিকার সর্বশীর্ষে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থাকতেও কেবল এই বিশ্ববিদ্যালয় কেন আমার নজর কেড়েছে তা হয়তো শতবাক্যে লিখেও শেষ করার মতো নয়। সুদীর্ঘ ১৫০ বছরেরও বেশি পুরনো সাড়ে ৭ একরের এই প্রতিষ্ঠানটি অনেক ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক-বাহক। দেশের নানা সংগ্রামে প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে অসামান্য অবদান। বর্তমানে বিসিএসসহ বড় বড় প্রতিযোগিতামূলক চাকরির ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রতিষ্ঠানে রয়েছে পড়ালেখার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার সুযোগ, রয়েছে বিভিন্ন সংগঠন যা শিক্ষার্থীদের মুক্তবুদ্ধি চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেক সনামধন্য ব্যক্তিরা এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়ন করেছেন। এ সবকিছু আমাকে আকৃষ্ট করেছে এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি, স্বপ্ন দেখিয়েছে একজন জবিয়ান হওয়ার। একজন নবীন শিক্ষার্থী হিসেবে অনেক স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে। শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক হবে বন্ধুত্বসুলভ সম্মানসূচক ও সহযোগিতাপূর্ণ, সিনিয়র ভাইয়া-আপুদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক হবে সম্মান ও স্নেহের বন্ধনে ঘেরা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা সার্বিক সাহায্য-সহযোগিতা পাবো এই আমাদের কাম্য। শিক্ষা ও গবেষণার জন্য ক্যাম্পাস হোক উন্মুক্ত ইমতিয়াজ আহমেদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সালটা ২০১৮। সবেমাত্র বিজ্ঞান বিভাগ থেকে দাখিল পরীক্ষা দিলাম। কিছু দিন পর তার ফলাফল প্রকাশিত হলে সমাজের সেই বহুল প্রচলিত জিপি-৫ আর আমার পাওয়া হলো না। মনে কিছু হতাশার পাখি ডানা মেলতে শুরু করল। অবশেষে সেই পাখির ডানা কেটে দেশের একটি সুনামধন্য কলেজে মানবিক বিভাগের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হলাম। সেখানে খুবই দারুন একটি শিক্ষাপ্রিয় পরিবেশ পেয়েছি। শিক্ষকরা ছিলেন খুবই বন্ধুপ্রতিম। সেখানকার প্রায় সব শিক্ষকই ছিলেন দেশের বিখ্যাত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তাদের পাঠদানকালে বিভিন্ন সময়ে তারা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের গল্প আমাদের কাছে তুলে ধরতেন। তখন থেকেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন ডানা মেলতে শুরু করল। টেস্ট পরীক্ষা শেষ করে এইচএসসি পরীক্ষার প্রহর গুনছি আর এমন সময়ই ভয়াবহ কোভিড ১৯ বিশ্বের বুকে থাবা বসালো। বাংলাদেশও তার থাবা থেকে আর মুক্তি পেল না। সরকার বাধ্য হয়ে আমাদের পরীক্ষা স্থগিত করে সব শিক্ষার্থীকে অটোপাস ঘোষণা করল। অতঃপর শুরু করলাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি। কোভিড ১৯-এর কারণে একাধিকবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পেছাতে পেছাতে হঠাৎ পরীক্ষা হয়েই গেল। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় আশানুরূপ ফলাফল না আসায় প্রথমবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হলো না। আবার দ্বিতীয়বার পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করলাম অতঃপর আলহামদুলিলস্নাহ সেই বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হলো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তার জ্ঞান ভান্ডারের দরজা যেন আমার জন্য খুলে দিল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আমার প্রথম থেকেই পছন্দের শীর্ষে ছিল। এর অবশ্য অনেক কারণ রয়েছে। যেমন আমি এবং আমার পরিবার পুরান ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দা তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন লালন করাটাই স্বাভাবিক এবং এর শিক্ষার মান, শিক্ষার্থীবান্ধব একটি পরিবেশ আমাকে বিমোহিত করে। একজন নবীন শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রত্যাশার তালিকাটা হয়তো অনেক বড়ই থাকবে। যেমন শিক্ষকদের সঙ্গে একটি সুহৃদ সম্পর্ক যেন আমাদের প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করতে পারে। ক্যাম্পাস যেন আমাদের শিক্ষা এবং গবেষণার জন্য উন্মুক্ত খোলা মাঠের মতো কাজ করবে। বড় ভাইয়া এবং আপুরা খুব স্নেহ করবে এবং আমাদের প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করবে। ভাইয়াদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক হবে বন্ধুত্বপূর্ণ। দেনা-পাওনা বলে কিছু শব্দ বাংলা শব্দ ভান্ডারে আছে তা ভুলে গেলে চলবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে পিয়ন সব কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর সঙ্গে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠুক এই ক্যাম্পাসেই। কখনো ক্যাম্পাস কিংবা ক্যাম্পাসের বাইরে আমার কাজে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল হোক এটাই আমার প্রত্যাশা। জগন্নাথ হোকর্ যাগিংমুক্ত বন্ধুসুলভ ক্যাম্পাস আল আমিন ইসলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এ যেন এক স্বপ্নের নাম। তবে এই স্বপ্ন দেখাটা যেন কিছুটা বিলাসিতাও বটে। ঢাকার সদরঘাট এলাকায় অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টির যেমন রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল অতীত ঠিক তেমনি রয়েছে বিস্ময়কর সাফল্য। বাংলাদেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। পড়াশোনার গুণগত মানের দিক থেকেও সেরা। তবুও কিছুটা কমতি রয়েই যায়। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান যে দুটি বৈশিষ্ট্য থাকা চাই (আবাসন সুবিধা, সুন্দর প্রশস্ত ক্যাম্পাস) তার একটিও আমাদের নেই। যার কারণে অনেক দরিদ্র, মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা-মা তাদের সন্তানদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোকে বিলাসিতা মনে করেন। আর এ কারণে অনেক দরিদ্র, মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের শুধু আবাসন ব্যবস্থা না থাকার কারণে জবিয়ান হওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। আবার অনেক সময় বন্ধুদের কাছে হাসি, ঠাট্টা করতে শুনেছি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যেন কোনো পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এটি একটি প্রকৃত অর্থে এখনো কলেজে। তাই ভিসি স্যারের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি, যেন আমাদের নির্মীয়মাণ ক্যাম্পাসের হলগুলো দ্রম্নত প্রস্তুত করে আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা হয়। আর সেই সঙ্গে আমি আমার সিনিয়রদের সাহায্য কামনা করব তারা যেন আমাদের নবীনদের আচরণগত ভুলগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে এবং আমাদের তা শিখিয়ে দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি র?্যাগিংমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করেন। তাহলে আমরাও একদিন আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়কে যাবে সফলতার সর্বোচ্চ দারপ্রান্তে। নতুন পরিবেশ, পুরনো স্বপ্ন রাকিব ইসলাম ফারাবী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়া মানে হাতে একটা সোনার হরিণ পাওয়া?সেই সোনার হরিণ হাতে পাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে লাখ লাখ শিক্ষার্থী গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্য সব থেকে ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয় রাজধানীর পুরান ঢাকায় অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি আমার সোনার হরিণ খুঁজে পাই। ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক, একাডেমিক সবদিক থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আমার কাছে সেরা মনে হয়েছে।? নিজেকে আরও সুন্দরভাবে উপস্থাপন ও নিজের মেধার পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নানাভাবে আমাকে সাহায্য করবে?এরকম হাজারও স্বপ্ন নিয়ে আমি ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নিয়েছি। আমি আশা করি আমার বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাবে। সারথি হবে আমার স্বপ্ন পূরণের। বিশ্ববিদ্যালয়ের পারিপার্শ্বিকতা আমার দক্ষতাকে করবে আরও ধারালো। মানসিকতাকে করবে আরও উন্নত। চতুর্থ শিল্প বিপস্নবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাকে পৃথিবীর জন্য একটা যুগোপযোগী মানব সম্পদে পরিণত করবে আমার বিশ্ববিদ্যালয়। আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন মুখ। নবীনদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন পরিবেশ অনেক চ্যালেঞ্জিং হয়ে থাকে। নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে নানামুখী সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সংস্কৃতির শিক্ষার্থী থাকে। আমাকে সঠিক এবং সুন্দর সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পথ প্রদর্শক হবে আমার সিনিয়ররা। আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছে থেকে একাডেমিক শিক্ষাদান ছাড়াও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা পাওয়ার আশা রাখব। আত্মোন্নয়নে আমার শিক্ষক হবেন আমার সহায়ক। ক্লাসরুমে একটা যুগোপযোগী পড়াশোনার পরিবেশ সৃষ্টি করবে আমার শিক্ষক। সমাজে প্রচলিত শিক্ষার্থী-শিক্ষকের মধ্যে যে দূরত্ব সেই দূরত্ব দূর হয়ে যাবে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং আমাদের সম্পর্কের মাধ্যমে। বর্তমানে নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরার্ যাগিং, যৌন নির্যাতন, সিনিয়র কর্তৃক জুনিয়র নীপিড়ন নামক ভয়ানক সামাজিক ব্যাধির কথা শুনতে পাই, আমি আশা করব আমার বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে উপহার দেবে সব ধরনের সামাজিক ব্যাধিমুক্ত শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ। "স্বপ্ন হবে সত্য, মেধা হবে বিকাশিত। তরুন হবে কারিগরি, শেষ হবে সব যুদ্ধ, সমাজ করবো পরিশুদ্ধ" নতুন স্বপ্নে, নতুন উদ্যমে জিন্নাত আরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটি শিক্ষার্থীর-ই বহু লালিত এক স্বপ্নের নাম। আর তা যদি হয় পুরান ঢাকার মাঝখানে সগৌরবে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী এবং সম্ভাবনাময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তাহলে একজন শিক্ষার্থীর অর্জন ও আনন্দ তখন হয়তো আর ভাষায় প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখে না। আর এজন্যই হয়তো গুচ্ছ অধিভুক্ত প্রতিটি শিক্ষার্থীর পছন্দের তালিকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সবার উপরের স্থানটি জায়গা করে নিয়েছে। জবিকে যেন "জ্ঞানের সূর্য"। সূর্যের ন্যায়-ই আলো ও উষ্ণতা ছড়িয়ে যাচ্ছে জ্ঞানের সকল প্রাঙ্গনে, আর সেই আলোয় নিজেকে আলোকিত করতে এবং এই মহান বিদ্যাপীঠের সামান্য এক অংশ হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। স্বাধীনতার চেতনা বুকে ধারন করে ও সকল ধরনের অন্যায়কে প্রতিহত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও দারিদ্র্যমুক্ত এক দেশ গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান শ্রেণীর সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পদচারণা করলাম? এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি অনুষদের, প্রতিটি বিভাগের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগন আমাদের ভুল ত্রুটি মার্জনা করে, বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ এবং আলোর দিশারি হয়ে সঠিক পথ খুজে পেতে সাহায্য করবেন এবং পাশে থাকবেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র অস্তিত্বের এই এক মনোবাসনা। এক আকাশসম স্বপ্ন নিয়ে মহান শিক্ষাঙ্গনে মহান এই যাত্রার প্রারম্ভিকতা শুরু করলাম।