ছুটির দিনে লাকুটিয়া জমিদার বাড়িতে

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

নিয়ামুর রশিদ শিহাব
তাত্ত্বিক জ্ঞানের বাইরেও সঠিক শিক্ষা অর্জনের জন্য প্রয়োজন নতুন নতুন জায়গায় ভ্রমণ করা। এ ছাড়া লেখাপড়ার একঘেয়েমিতা ভাব দূর করতে এবং নতুন নতুন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিতি লাভ করার জন্যও ভ্রমণ খুবই জরুরি। ঘোরাঘুরি আর আড্ডা ছাড়া শিক্ষাজীবন পার করা সত্যিই খুবই অসম্ভব। ভ্রমণ যেমন মেধা বিকাশ ঘটায়, তেমনি মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বৃহস্পতিবার কলেজ বন্ধ থাকায় বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার ডিপার্টমেন্ট ষষ্ঠ পর্বের একদল শিক্ষার্থী ঘুরতে চলে যায় বরিশাল জেলার ঐতিহাসিক লাকুটিয়া জমিদার বাড়িতে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বরিশাল মহানগরের নতুন বাজারে এক এক করে সবাই জড়ো হতে থাকে। সেখান থেকে মাহেন্দ্রযোগে আমরা রওনা দিলাম লাকুটিয়া জমিদার বাড়ির উদ্দেশ্যে। ২০ মিনিট গাড়িযোগে যাওয়ার পর আমরা গন্তব্যে পৌঁছে গেলাম। জমিদার বাড়ি প্রবেশ করে প্রথমে ঘাসের উপর কিছুক্ষণ বসে ক্লান্তিভাব দূর করে নিলাম। এরপর সবাই বাড়িটি ও এর আশপাশের খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করতে লাগল। এ ছাড়া আমরা গ্রম্নপ ছবি তুললাম। এরপর একসঙ্গে গোল হয়ে বসে অনেকক্ষণ আমরা আড্ডা দিলাম এবং জমিদার বাড়িটির আশপাশের গ্রামের পরিবেশ উপভোগ করতে থাকলাম। বাড়ি ফেরার মূহূর্তটিও ছিল উপভোগ্যময়। লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি বরিশাল জেলার সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের লাকুটিয়া গ্রামে অবস্থিত চারশ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। এখানে রয়েছে পাঁচটি মন্দির, দ্বিতল প্রাসাদ। মন্দির আর প্রাসাদ ভবনের চারদিকে নানা শিল্পকর্ম ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। জমিদার বাড়ির লোহার দরজা পেরিয়ে মূল প্রবেশ পথের বাঁ পাশেই শান বাঁধা সুন্দর একটি দীঘি। একে সবাই রানীর দীঘি বলে। এই দীঘিতে প্রতি বছর চারদিক আলোকিত করে ফোটে পদ্মফুল। যেমন বড়, তেমন রং। পাতাগুলো ভীষণ বড়। বরিশালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পদ্মফুল ফোটে এই দীঘিতে। খোসালচন্দ্র রায় লিখিত 'বাকেরগঞ্জের ইতিহাস গ্রন্থ থেকে জানা গেছে, জমিদার বাড়িটি আনুমানিক ১৬০০ কিংবা ১৭০০ সালে জমিদার রাজচন্দ্র রায় নির্মাণ করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন তত্ত্বাবধায়নে রয়েছে। বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টের ষষ্ঠ পর্বের শিক্ষার্থীদের মধ্যে- নিয়ামুর রশিদ শিহাব, সাকিবুল ইসলাম রনি, মো. রাকিবুল ইসলাম, এহেতে শামুল আকাশ, আজওয়াদ জামান, মোবাশ্বের হক সাথিল, মাসনুনা রহমান, সাদিয়া আফরিন ও মুনা আক্তার। লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রকৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন প্রয়োজন।