কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

নবীন শিক্ষাথীের্দর পদচারণে মুখরিত লালমাটির ক্যাম্পাস

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

স্বকৃত গালিব
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমদিন সকালে মনটা খুব লাফাচ্ছিল, রাতে ঘুম না হলেও উত্তেজনায় ক্লান্তি একেবারে উড়ে যাওয়ার জোগাড়। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছি, যে বিশ্ববিদ্যালয় আমার ভাবতেই গা শিউরে উঠছে, একেবারে শরীর ঠাÐা হয়ে যাওয়ার উপক্রম। প্রত্যেকটা কিশোর মনের স্বপ্নই থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভতির্ হওয়ার। আর এই স্বপ্ন হাতের মুঠোয় ধরা দেয় কঠোর পরিশ্রম ও হাজারটি নিঘুর্ম রাতের বিনিময়ে, এই সব কথা বলতে বলতে আবেগি হয়ে পড়ছিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম ব্যাচের আইন বিভাগের নবীন শিক্ষাথীর্ ইব্রাহিম খলিল। নতুন বছরের নতুন দিনে নবীনবরণ অনুষ্ঠান ও ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের মধ্যদিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম ব্যাচের আবতের্নর একাডেমিক কাযর্ক্রম শুরু হয়। মঙ্গলবার ১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে নবীনদের বরণ করে নেয়া হয়। নবীনদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষাথীের্দর পদচারণায় ক্যাম্পাসের বাবুই চত্বর, সানসেট ভ্যালি চত্বর, বঙ্গবন্ধু চত্বর, পিএ চত্বর, আইন চত্বর, লালন চত্বর, ভলিবল মাঠ, কঁাঠাল তলা, মুক্তমঞ্চ, জিয়ার মাজার, শহীদ মিনারসহ সবর্ত্র মুখরিত হচ্ছে। আর এই পদচারণা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক সদস্যদের মনে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে বসে কথা হচ্ছিল নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৬ষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষাথীর্ মতিউর রহমানের সঙ্গে তিনি বলছিলেন আমরা এক সময় নবীন শিক্ষাথীর্ হয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলাম আজ আমাদের বিদায় বেলা, দেখ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যেকটা চত্বরে নবীনদের পদচারণা। আর এই নবীনরা হচ্ছে এক একটা সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল নক্ষত্র। ্্্্্্্্্্্্আর দেখিস একদিন এই উজ্জ্বল নক্ষত্রগুলো লালমাটির ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে পৃথিবীতে জ্ঞানের আলো ছড়াবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের শিক্ষাথীর্, ফরহাদ, মাহি, ফাহিম, নূর-আলম, আকাশ, এরশাদ, সাজ্জাদ, রবিউল বলছিল, গত বছর আমাদের পদচারণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটা ধূলিকণা মুখরিত হয়ে থাকত আজ সময়ের পরিক্রমাতে নবীনরা ক্যাম্পাসকে মুখরিত করে রাখছে। আর এভাবেই বছরের পর বছর প্রবীণদের বিদায় দিয়ে নবীনদের মধ্যে ক্যাম্পাস বেঁচে থাকবে চির যৌবনরূপে।