বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়

শতভাগ কমর্মুখী বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আকাশ থেকে পাখির চোখে দেখলে পুরো তেজগঁাও শিল্পাঞ্চলের মধ্যে যে ছোট্ট সবুজ সমারোহের দেখা মিলবে সেটিই মূলত বাংলাদেশের একমাত্র পূণার্ঙ্গ টেক্সটাইল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়। ১২ একর জমির ওপর নিমির্ত ইংরেজি ঊ-শেপের চারতলা ভবনটি থেকেই বাংলাদেশের রপ্তানির সবচেয়ে বড় খাত তৈরি পোশাক খাতের দক্ষ ব্যবস্থাপক ও প্রকৌশলী সরবরাহ হয়ে থাকে। এখানে শিক্ষাথীের্দর জন্য আন্তজাির্তক মানের শ্রেণিকক্ষ, আধুনিক টেক্সটাইল প্রকৌশলী শিক্ষা বইসমৃদ্ধ লাইব্রেরি, গ্রæপ স্টাডির জন্য টিএসসি, শিক্ষাথীের্দর জন্য খেলার বিশাল মাঠ, শরীর চচার্ কেন্দ্র, মসজিদ এবং ক্যাফেটেরিয়া। শিক্ষাথীের্দর ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য রয়েছে আধুনিক মেশিনারিজসমৃদ্ধ ল্যাবসমূহ। রয়েছে কম্পিউটার ল্যাব এবং ভাচুর্য়াল ক্লাসরুম। ২০১০ সালের ২২ ডিসেম্বর কলেজ অব টেক্সটাইল টেকনোলজির ৪১০ জন শিক্ষাথীর্ এবং ২৭ জন শিক্ষক নিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা। বতর্মানে প্রতি সেমিস্টারে ৬০০ জন শিক্ষাথীর্ হিসেবে ৩ হাজারের অধিক শিক্ষাথীর্ এবং প্রায় দেড়’শ শিক্ষক নিয়ে চলছে বুটেক্সের শিক্ষা কাযর্ক্রম। ফ্যাকাল্টি ও বিভাগ : ফ্যাকাল্টি অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্যাকাল্টি অব টেক্সটাইল কেমিক্যালস ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্যাকাল্টি অব ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্যাকাল্টি অব টেক্সটাইল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বিজনেস স্টাডিজ এবং ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এই ৫টি ফ্যাকাল্টির অধীনে ১০টি ডিগ্রি অ্যাওয়াডির্ং এবং ৪টি নন-ডিগ্রি অ্যাওয়াডির্ং বিভাগে বিএসসি প্রোগ্রাম চালু রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। অ্যাক্রিডাইটেড ল্যাব: স্বাধীন বাংলাদেশে কলেজ অব টেক্সটাইল টেকনোলজির সময় থেকেই টেক্সটাইল শিল্পের বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। আগে টেস্টিং ল্যাব এবং ফ্যাশন ডিজাইন ল্যাব আলাদা আলাদাভাবে এই পরীক্ষাগুলো করে এলেও তাতে খুব বেশি সফলতার মুখ দেখেনি প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৫ সালে বতর্মান প্রশাসন দায়িত্ব নেয়ার পর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় একটি আন্তজাির্তক মানের অ্যাক্রিডাইটেড ল্যাব প্রতিষ্ঠার। যেই কথা সেই কাজ। মাত্র তিন বছরের মধ্যেই আধুনিক ও আন্তজাির্তক মানের মেশিনারিজ স্থাপনের মাধ্যমে অ্যাক্রিডাইটেড ল্যাব এখন আন্তজাির্তক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ক্লাব ও ফোরাম: নিয়মিত পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষাথীের্দর সৃশনশীল প্রতিভার বিকাশ ও বাজার উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ৭টি ক্লাব ও ১০টিরও অধিক ফোরাম। ক্লাব ও ফোরামগুলো সারাবছর জাতীয় ও আন্তজাির্তক বিভিন্ন সেমিনার ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। জাতীয় পযাের্য়র বিতকর্ প্রতিযোগিতায় চলতি বছরও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অজর্ন করেছে বুটেক্স ডিসি বুনন। শিক্ষাথীর্ ও সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে সবসময়ে পাশে রয়েছে স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠন ‘বঁাধন’। ভতির্ পদ্ধতি : ভতির্ পরীক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর ৫শ ৬০ জন শিক্ষাথীর্ ভতির্র সুযোগ পেলেও এ বছর সুযোগ পাচ্ছেন ৬০০ জন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় আলাদা আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৪.৫০ সহ গণিত, পদাথর্ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান ও ইংরেজিতে আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ পেলেই বুটেক্সে বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে ভতির্র আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে পারেন শিক্ষাথীর্রা। এ বছর প্রতি আসনের বিপরীতে প্রায় ১৩ শিক্ষাথীর্ ভতির্ যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। ভতির্র ক্ষেত্রে সরকারি কোটা পদ্ধতি চলতি বছরও কাযর্কর রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ। গবেষণা ও সাফল্য: নিয়মিত পাঠদান ও পাঠগ্রহণের পাশাপাশি বুটেক্সের শিক্ষক ও শিক্ষাথীর্রা টেক্সটাইল খাতের উন্নতিকল্পে বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পে নিয়োজিত রয়েছেন।