বিদায়ের ক্যানভাসে রঙের খেলা

প্রকাশ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

এম এম মুজাহিদ উদ্দীন ও মাসুদ রানা
কালো নয়, নয় লাল শুধু ধবধবে সাদা টি-শাটর্। বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটানো বন্ধুদেরও লেখায় ভরে গেছে। কেউ একজন লিখেছে ‘ভাল থেকো বন্ধু’। আরেকজন লিখেছে ‘আর কেউ মনে না রাখুক, তুই রাখিস’। এভাবেই মনের অজানা কথাগুলো প্রিয় সহপাঠীদের সাদা টি-শাটের্ লিখে দিয়েছে বন্ধুরা। বিদায় বেলা সেটা দেখে মনে না রাখার কি উপায় আছে? এই হচ্ছে র‌্যাগ ডে। ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, ঘোরাঘুরি, ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন নিয়ে দৌড়াদৌড়ি এভাবেই পার হয় জীবনের সব থেকে সেরা দিনগুলো। কখন যে সময় চলে যায় কেউ টেরই পায় না। চারটি বছর পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেজে উঠে বিদায়ের ঘণ্টা। শীতের সকাল রোদ্রের আনাগোনা আবার ঠাÐা বাতাস শরীরে লাগছে। এমন সময় বিদায় নেয়ার জন্য সব প্রস্তুতি শেষ পযাের্য়। ইতোমধ্যে ঘোড়ার গাড়ি চলে এসেছে। এখন বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু। আনন্দ, উচ্ছ¡াস, রঙে, রূপে এক অপরূপ সাজে সজ্জিত হয়ে উৎসব (র‌্যাগ ডের) আনন্দে মেতে উঠেছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবষের্র গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের (১০ম ব্যাচ) শিক্ষাথীর্রা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আনন্দঘন পরিবেশে এই শিক্ষা সমাপনী উৎসব (র‌্যাগ ডে) উদযাপন করা হয়। র‌্যাগ ডে উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে থেকে বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক নিসতার জাহান কবিরের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে একটি ফ্ল্যাশ মব পরিবেশন করার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। পরে দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শিক্ষাথীের্দর স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভাগীয় শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মো. রাইসুল ইসলাম, প্রভাষক মো. মিঠুন মিয়া ও মো. মিনহাজ উদ্দীন বিদায়ী শিক্ষাথীের্দর উদ্দেশে দিকনিদের্শনামূলক বক্তব্য দেন। এ সময় শিক্ষাথীর্রা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ঘটে যাওয়া নানা স্মৃতি তুলে ধরেন। পরে শিক্ষাথীের্দর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে ছিল মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিদায়ী শিক্ষাথীের্দর অংশগ্রহণে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তির মধ্যে দিয়ে পুরো মিলনায়তনে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। বিদায়ী শিক্ষাথীের্দর সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠেছিল বিভাগের অন্যান্য ব্যাচের শিক্ষাথীর্রা। এ সময় একে অপরের সঙ্গে ছবি তোলার মধ্য দিয়ে বিদায়ের শেষ ঘণ্টা বেজে যায়। সবাই যার যার বাসায় ফিরে যান একরাশ স্মৃতিময় দিনকে সঙ্গী করে। কিন্তু বন্ধুত্ব! সে তো ভোলার নয়।