ক্যাম্পাসে প্রাতঃভ্রমণ

প্রকাশ | ২৯ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

মাহমুদা টুম্পা
সকালের স্নিগ্ধ হাওয়া কার না ভালো লাগে, সেই ভালোলাগার টানে বেরিয়ে পড়লাম ১৭৫ একরে। ভোর ৫টা ৩০ বাজে, এখনো প্রাত্যহিক কাজের ডাকে জেগে ওঠেনি নগরবাসী। চুপিসারে আমরা ৫ জন বের হলাম ক্যাম্পাসে। উদ্দেশ্য পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখব সকালের অপরূপ সাজে। দীর্ঘ ৫ বছরের পস্ন্যান পূরণ হতে চলেছে, একটু এক্সাইটেড কাজ করছিল মনের মধ্যে। হলের বাগানে এলাম। বাহারি রঙের ফুল মনটাকে ভরিয়ে তুললো। রাস্তা দিয়ে হাঁটছি- দেখছি সকালের মন ভরানো দৃশ্য। প্রকৃতি যেন প্রস্তুতি নিচ্ছে পুরোটা দিন কীভাবে কাটাবে। আমাদের মতো অনেকেই আছেন, তারা সুঠাম স্বাস্থ্য গঠনে হাঁটাহাঁটি করছেন। আমরা বিবিএ অনুষদে গেলাম। কি যেন একটা টান বাঁধানো এই ভবনে। সূয্যিমামার সাক্ষাতে স্মৃতিফলকে কয়েকটি ছবি তুললাম। আবারও হাঁটছি আর দেখছি নকশা করা সকালটাকে। এর মধ্যে চলছিল নাসরিন, আঁখি, ফাতেমা, তমার খুনসুটি। কে কীভাবে ছবি তুলবে সেই নিয়ে কথা। একপর্যায়ে আমরা ভিসির বাসভবনের রাস্তায় এলাম। এখানে বড় বড় সারি সারি গাছ সকালটাকে মনোরম করে তুলেছে। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন আমাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। উষ্ণ আনন্দে যখন আমরা মাতোয়ারা তখন দেখলাম জামের গাছে নিচে সারি সারি জাম পড়ে রয়েছে। দৃশ্যটি যেন ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিল। আমাদের উচ্ছ্বাস বাসভবনের গেটম্যান মামাও বুঝেছিল। তিনিও আনন্দিত আমাদের উলস্নাসে। ইবির অন্যতম সৌন্দর্য মফিজ লেকে কখন যে পৌঁছালাম টেরই পায়নি। লেকের পাশে সদ্য ফোটা অগ্নিগোলকের সঙ্গে কথোপকথন করছি। হাত দিয়ে নেড়ে দেখছি তার স্পর্শ। পাশেই ওয়াচ টাওয়ার। তারই একপাশে বসে অনুভব করছি সকালের উদারতাকে। আহ! কি সুন্দর পৃথিবী। আয়োজনে সাজানো এই ভোরবেলা। অথচ কত সকাল মিস হয়ে যায়। কত অনুভূতি মরে যায়। স্পর্শ পায় না স্নিগ্ধ আলোকিত ভোরবেলা। অনুভবের পূর্ণতার দিন যেন আজ। পুরোটা দিন ভালো যাবে সকালের মনোরম সংস্পর্শে।