পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

উচ্ছল আনন্দের একটি দিন

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

জুবাইয়া হক বিন্তে কবির
১৮তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বণার্ঢ্য র‌্যালি
ভোরবেলা থেকে গুঁড়ি গুঁিড় বৃষ্টি আর রোদের লুকোচুরি খেলা। সোনালি রোদের ক্ষরতাপের ভেতরে বৃষ্টি ঝাপটা গায়ে লেগে আনন্দের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে হাতে রঙ-বেরঙের ব্যানার, প্লাকাডর্, ফেস্টুন, সঙ্গে রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে বঁাচার অবলম্বন রঙিন ছাতা। কেউবা আবার রোদ-বৃষ্টিকে তোয়াক্কা না করেই আনন্দের মিছিলে শরিক হয়েছেন । ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা আর বণির্ল কমর্সূচির মধ্য দিয়ে ৮ জুলাই (শনিবার) পালিত হলো দক্ষিণ-পঞ্চিমাঞ্চলের সবের্শ্রষ্ঠ বিদ্যাপীঠ পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম শুভ জন্মদিন। প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর দিনটিতে উৎসবে-আড্ডায় মেতে উঠেছিল ক্যাম্পাসের সাবেক এবং বতর্মান শিক্ষাথীর্রাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের সবাই। রঙে রঙে দিনটি রঙিন হয়ে উঠেছিল তাদের কাছে। দেশের আধুনিক শিক্ষানগরি বরিশাল বিভাগীয় শহর থেকে ২৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের ৫ কিলোমিটার পূবের্ দুমকি উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে ৮৯.৯৭ একর জমির ওপর অবস্থিত পবিপ্রবি ক্যাম্পাস। ১৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস উৎসবের এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনা রঙ-বেরঙের ব্যানার এবং ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। শিক্ষক-কমর্কতার্ ও শিক্ষাথীর্রা এককাট্টা হয়ে আনন্দ উৎসবে মুখর করেছিল বন্যাকবলিত দক্ষিণাঞ্চলের এ পাদপীঠকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকে শিক্ষাথীর্রা বণার্ঢ্য শোভাযাত্রা নিয়ে একাডেমিক ভবন প্রাঙ্গণে জমায়েত হবার পরে সকাল ১০টায় প্রশাসনকি ভবনের সামনে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন এবং বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা আকাশে উড়িয়ে উপ-উপাচাযর্ অধ্যাপক মোহাম্মাদ আলী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন পরিষদের আহŸায়ক অধ্যাপক আ. ক. ম. মোস্তফা জামান প্রতিষ্ঠা উৎসব অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় জাতীয় সংগীত ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর শিক্ষাথীর্রা। এরপর সকাল সোয়া ১০ টায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কযের্ প্রোভিসি এবং ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা পুষ্পস্তবক অপর্ণ করেন। পরে অনুষ্ঠিত হয় বণার্ঢ্য শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা, প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, হলগুলোর প্রভোস্টসহ সাংবাদিক, শিক্ষক-শিক্ষাথীর্, কমর্কতার্-কমর্চারীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীদের ব্যানার, ফেস্টুন, টি-শাটর্ ও ক্যাপ দেয়া হয়। বিভিন্ন হল থেকে আসা শোভাযাত্রা একাডেমিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। আগেই ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুষদের ডিন ও ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আ. ক. ম. মোস্তফা জামানকে সভাপতি করে ৩৯ সদস্যবিশিষ্ট ১৮তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস কমিটি গঠন করা হয়। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবুল কাসেম চৌধুরী, বিএএম অনুষদের ডিন প্রফেসর বদিউজ্জামান, এএনএসবিএম অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রুহুল আমিন, উপ-রেজিস্ট্রার আরিফ আহমেদ জুয়েল, সহকারী অধ্যাপক শাহিন খান ও কমর্কতার্ জসিম উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মোহাম্মদ আলী বলেন, পবিপ্রবি দক্ষিণাঞ্চল তথা সমগ্র দেশের উচ্চশিক্ষা বিস্তারে যে অনন্য অবদান রেখে চলেছে তা দেশের মানুষ সারাজীবন মনে রাখবে।