স্বাধীনতার তাৎপর্য নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা

স্বাধীনতার ৪৭ বছর পেরিয়ে ৪৮-এ পা রেখেছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার প্রায় অর্ধযুগ পর কতটুকু এগিয়েছে দেশ; প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাপ্তিই বা কতটুকু! এসব নিয়ে কী ভাবছে দেশের তারুণ্য।

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

মাহবুব এ রহমান
স্বাধীন দেশে মেয়েরা স্বাধীন হোক সুমাইয়া আহমেদ নুসরাত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতার ৪৮তম বছরে বাংলাদেশ। স্বাধীন দেশের একজন নাগরিক হিসেবে সবারই কিছু না কিছর প্রত্যাশা থাকে। আমি একজন মেয়ে হিসেবে, এই স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে চাওয়াটা কেবল প্রত্যাশা না, বরং এটি এক প্রকার অধিকারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু এ দেশে সর্বত্র নারীদের সফল পদচারণা থাকা সত্ত্বেও নারীদের রাস্তাঘাটে নানান রকম হয়রানির শিকার হতে হয়। এ দেশে উন্নয়নের উচ্চস্তরে পৌঁছানোর জন্য এ অবস্থা থেকে যত দ্রম্নত পরিত্রাণের বিকল্প নেই। শত মায়ের বুক খালি করে, নিজেদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা যেন কখনো বৃথা না যায়। আমাদের এ দেশ সব অশান্তি, সমস্যার পথ পেরিয়ে এসে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ব আমার, আপনার এবং আমাদের সবার। স্বাধীনতা রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হতে চাই আহমেদ ইউসুফ, কুমিলস্না বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা দিবসে আমি নিজেকে উজ্জীবিত করার কথা ভাবি। ১৯৭১-এর পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে আমার দেশের দামাল ছেলেরা যেমন ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আজকের তারুণ্যের জোয়ারে আমি নিজেকে দেশের সেই স্বাধীনতা রক্ষায় একজন অতন্দ্র প্রহরী ভাবতে চাই। এই দেশের সার্বভৌম হরণ করার জন্য অনেক কপটচারী ওঁৎ পেতে থাকে। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনাগুলো এতে উলেস্নখযোগ্য। তাই তরুণ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একান্ত অনুরোধ, আরো সচেষ্ট হয়ে যথাযথ ভূমিকা রেখে দেশকে ভালো রাখুন। দেশের জন্য নিবেদিত হতে হবে আরাফাত শাহীন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা একটি জাতির জন্য সবচেয়ে বড় আরাধ্যের বিষয়। কিন্তু এই স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়া মোটেও সহজ নয়; বরং এটাই জগতের সবচেয়ে কঠিন কাজ। স্বাধীনতা নামক সোনার হরিণটার দেখা সবাই পায় না। পৃথিবীর বুকে আজও অসংখ্য জাতি স্বাধীনতার জন্য বুকের রক্ত ঝরিয়ে যাচ্ছে। বহু সংগ্রাম এবং রক্তের নদীতে ভাসতে ভাসতে আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। আমাদের মহান পূর্বপুরুষরা মাতৃভূমির জন্য স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। আমরা এখন স্বাধীন দেশে হেসে খেলে নিজেদের জীবন অতিবাহিত করতে পারছি। ত্রিশ লাখ মানুষের বুকের রক্ত দিয়ে পাওয়া স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষা করার দায়িত্ব এখন আমাদের। দেশের জন্য আমরা যদি সর্বক্ষেত্রে নিজেদের নিবেদিত করতে পারি, তাহলেই স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানানো হবে। দেশের যে কোনো সংকটকালে আমাদের কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে লড়াই করে যেতে হবে। আশা করি, আমাদের আগামীর তরুণ প্রজন্ম এই কাজটি করে দেখাতে পারবে। বেঁচে থাকুক স্বাধীনতা জাওয়াদুল জামান অরণ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ২৬ মার্চ বাংলার মানুষের মুক্তির দিন। ৯ মাস রক্তের বন্যা ভাসিয়ে আমরা পাই স্বাধীনতা। আমি বিশ্বাস করি, স্বাধীনতা শব্দটি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ এবং যে জাতি ৯ মাস রক্ত দিয়ে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছে সে জাতি স্বাধীনতার তাৎপর্য ধরে রেখেছে এবং রাখবে। বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো কখনও একটি সম্পূর্ণ জাতির ব্যর্থতার পরিচয় বহন করতে পারে না। বেঁচে থাকুক স্বাধীনতা, আজীবন অক্ষত থাকুক এ দেশের মানুষের স্বপ্নগুলো।