পায়ে হেঁটে কক্সবাজার পরিভ্রমণ

প্রকাশ | ১০ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

আফফান ইয়াসিন
হেঁটে চট্টগ্রাম শহর থেকে কক্সবাজার পরিভ্রমণ করে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করার প্রয়াস চালিয়েছিল তারা
সর্বত্র এখন সড়ক দুর্ঘটনা, বাল্যবিবাহ এবং পরিবেশ বিপর্যয় প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত হচ্ছে। ক্ষমতা আর অর্থ চারদিকের মানুষের নৈতিকতা ভেঙে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নেশা। যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। অসঙ্গতিগুলো এখন পালা দিয়ে বেড়েই যাচ্ছে। তিন শিক্ষার্থী তাই ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়ে সমাজ সচেতনতায় অগ্রগামী ভূমিকা পালন করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। তিন শিক্ষার্থী গত ২১ মার্চ পায়ে হেঁটে চট্টগ্রাম শহর থেকে কক্সবাজার পরিভ্রমণ করে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করার প্রয়াস চালিয়েছিল। তাদের প্রতিপাদ্য ছিল 'নিরাপদ সড়ক চাই, গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ গড়ি' এই তিনটি। এই তিন জন শিক্ষার্থী ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের (১৪-১৫) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আ নোয়ারুজ্জামান মুরাদ, একই শিক্ষাবর্ষের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এস এম আবু নাহিয়ান এবং চট্টগ্রাম মহসীন কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. তৌহিদুল ইসলাম। চট্টগ্রাম শহরের চকবাজার থেকে সকাল ৬টায় হাঁটা শুরু করেন রোভার স্কাউটের তিন সদস্য বিশিষ্ট এই দল। ২৫ মার্চ কক্সবাজারের জিরো পয়েন্টে পৌঁছতে তাদের সময় লেগেছিল ৫ দিন। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ১৫০ কি.মি.। প্রথমদিন ৩০ কি.মি. পায়ে হেঁটে পথ ভ্রমণের পর রাত কাটিয়েছিল গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজে। দ্বিতীয় দিন সমান দূরত্ব অতিক্রমের পর লৌহগাড়া উপজেলা পরিষদ বাংলোতে অবস্থান গ্রহণ করে। এভাবে তৃতীয়, চতুর্থ এবং সর্বশেষ পঞ্চম দিন ১৮ কি.মি. পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে যায় এই দল। পায়ে হেঁটে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যাপারে দলের একজন আনোয়ারুজ্জামান বলেছিল, পুরো দেশ ভ্রমণ করার ইচ্ছে ছিল, সেটা না পারলেও কক্সবাজার পর্যন্ত পেরেছি। এভাবে ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়ে আরও সমাজ সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চাই। আরও জানিয়েছিল তাদের এই পরিকল্পনা ও পরিভ্রমণে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের প্রফেসর ও চবি রোভার স্কাউট গ্রম্নপের সম্পাদক ড. মো. হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা রোভারের কমিশনার মো. কামাল উদ্দিন এবং সম্পাদক ফজলে কাদের চৌধুরী সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। এ ছাড়াও তাদের যাত্রাপথে যতেষ্ট সহযোগিতা করেছে, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের সিনিয়র রোভার মেট মো. আনিছ, লৌহগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কক্সবাজার রোভার স্কাউটের সম্পাদক মো. আব্দুল হামিদ এবং সর্বশেষ বিশেষ কৃতজ্ঞতায় কক্সবাজার জেলা পরিষদের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আক্তার উদ্দিন।