রা জ শা হী বি শ্ব বি দ্যা ল য় বর্ণিল আয়োজনে উত্তরণ

ভবিষ্যৎ জীবনে সেখানে পৌঁছাতে এবং নিজের ভেতরের সুকুমারবৃত্তি বাঁচিয়ে রাখতে চাইলে সাহিত্যকে লালন করতে হবে। একজন লেখকের লেখায় পাঠক যদি নিজেকে খুঁজে না পায় তাহলে সে লেখাটা হবে মূল্যহীন...

প্রকাশ | ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

মালেক সরদার
রাবির লেখক ও পাঠকের সূতিকাগার উত্তরণের শোভাযাত্রা
'সত্য সুন্দর সৃজনের মধ্য দিয়ে সাহিত্যকে লালন করো এবং সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলো' স্স্নোগানকে সামনে রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত সাহিত্যের ছোট কাগজ উত্তরণে'র দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি পালিত হয়েছে। গত ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার ক্যাম্পাসের শহীদুলস্নাহ কলা ভবনের সামনে সারা দিনব্যাপী এ আয়োজন করা হয়। আনন্দর্ যালি, কবিতা প্রদর্শনী, সাহিত্য আড্ডা, কবিতা পাঠ, আলোচনা সভা এবং সবশেষে ছিল সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। সকাল ১১টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এবং উত্তরণ সাহিত্য পত্রিকার প্রধান উপদেষ্টা ড. লায়লা আরজুমান বানু ওই আয়োজনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। কবিতা প্রদর্শনী, স্ব-রচিত কবিতা পাঠ ও সাহিত্য আড্ডা শেষে বিকেলে একটি উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অনুবাদক ও কবি জাভেদ হুসেন। তা ছাড়া আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মানিকুল ইসলাম। ড. মো. আমিরুল ইসলাম কনক, সহকারী অধ্যাপক, ফোকলোর বিভাগ। মো. সামিউল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক, উর্দু বিভাগ। ড. মো. হাফিজুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ। সংক্ষিপ্ত আলোচনায় ড. মো. হাফিজুর রহমান বলেন, 'ক্যাম্পাসে আরও অনেক সংগঠন থাকলেও উত্তরণ একটি ব্যতিক্রমধর্মী সংগঠন। সাহিত্য মানেই সেখানে শিল্প, মেধা ও মননশীলতার পরিচয় থাকবে। যা বজায় রেখেছে উত্তরণ। নিজস্ব প্রকাশনা থেকে উত্তরণ পর পর যে কয়েকটা ছোট কাগজের সংখ্যা বের করেছে তা সত্যিই অপ্রন্ত প্রশংসার দাবিদার। সমাজ বদলে দেয়ার অন্যতম হাতিয়ার সাহিত্য, হোক সেটা ছোট কাগজ। অনেক অনেক বছর বেঁচে থাকুক উত্তরণ।' মানিকুল ইসলাম বলেন, 'সাহিত্যের ছোট কাগজ উত্তরণের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির এমন আয়োজন দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। কারণ একটা ছোট কাগজের জন্য এই দুই বছর সময়টা কম মনে হলেও সেটা আসলে কম সময় নয়। এটা অনেক বড় একটা ব্যাপার। উত্তরণ তার ধারাবাহিতা অব্যাহত রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাক।' সাহিত্যের ছোট কাগজ মানেই কিন্তু সেটা আসলে ছোট কাগজ নয়। কারণ, এই কাগজের সঙ্গে যারা কাজ করে তাদের চিন্তাভাবনা সৃষ্টিশীল। তারা সৃষ্টিশীল মানুষ। আর সেই ছোট কাগজই তাদের এক সময় বড় জায়গায় পৌঁছে দেয়। ভবিষ্যৎ জীবনে সেখানে পৌঁছাতে এবং নিজের ভেতরের সুকুমারবৃত্তি বাঁচিয়ে রাখতে চাইলে সাহিত্যকে লালন করতে হবে। একজন লেখকের লেখায় পাঠক যদি নিজেকে না খুঁজে পায় তাহলে সে লেখাটা হবে মূল্যহীন। গল্প, কবিতায় উপন্যাসে যদি পাঠক তাদের জীবনের কথা, তাদের বেদনা খুঁজে না পায় তাহলে তো তারা সেটা কেন পড়বে! লেখার মাধ্যমে সর্বদা সব সত্য সবার সামনে প্রকাশ হোক সেই কামনা করি।' এমনটিই বলছিলেন অনুবাদক ও কবি জাভেদ হুসেন। এ ছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে উত্তরণ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন সবাইকে উত্তরণ এর পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।