নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

আড্ডা, বন্ধুত্ব ও স্বপ্ন

ক্যাম্পাসজীবন যেন বন্ধুত্ব, আড্ডা, শিল্প-সাহিত্য ও ভালোবাসার ছোঁয়ায় ঘেরা। কখনো গানে গানে ছড়িয়ে পড়ে তারুণ্যের উন্মাদনা, কখনো ছোটখাটো খেলায় মেতে ওঠে তারুণ্য ভরা সবুজ প্রাণ। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ই মুখরিত হয় শিক্ষার্থীদের আড্ডা আর গান, গল্পে।

প্রকাশ | ২২ জুন ২০১৯, ০০:০০

ওহী আলম
সমগ্র জীবনে সবচেয়ে আনন্দঘন আড্ডার মুহূর্তের দেখা মেলে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। আড্ডা থেকে শুরু হয় বন্ধুত্ব, শুরু হয় স্বপ্ন দেখা, শুরু হয় পথচলা। ক্লাস, পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশনসহ কতশত ব্যস্ততার ফাঁকেও আড্ডা চলে অবিরত। আড্ডা ছাত্রজীবনের একটা অংশ। এসব আড্ডা গল্পে উঠে আশে পড়াশোনাসহ গান, কবিতা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ক্যাম্পাস বরাবরই একজন শিক্ষার্থীর কাছে সবচেয়ে আবেগের জায়গা, ভালোবাসার জায়গা। ক্যাম্পাসজীবন যেন বন্ধুত্ব আড্ডা, শিল্প-সাহিত্য ও ভালোবাসার ছোঁয়ায় ঘেরা। কখনো গানে গানে ছড়িয়ে পড়ে তারুণ্যের উন্মাদনা, কখনো ছোটখাটো খেলায় মেতে ওঠে তারুণ্য ভরা সবুজ প্রাণ। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ই মুখরিত হয় শিক্ষার্থীদের আড্ডা আর গান, গল্পে। ক্যাম্পাস চত্বর তো থাকেই, আড্ডাগুলো সময়ে সময়ে জমে ওঠে নির্দিষ্ট কোনো স্থানে। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এমনই এক আড্ডার স্থান বাংলাবাজার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আড্ডাগুলো বাংলাবাজারকে করে রেখেছে প্রাণোচ্ছল। দুই ধারে সারি সারি ঝাউগাছ, মাঝ দিয়ে পিচ ঢালা রাস্তায় বিকালে হাঁটতে হাঁটতে সবুজ মাঠে গরম গরম পেঁয়াজু, কাঁচামরিচ আর পেঁয়াজ। আহা! যেন স্বর্গ হতে আসা অমৃত। বিস্তর মাঠটায় বসে গিটার নিয়ে সবাই একসঙ্গে গলা ছেড়ে গান গাওয়া, একটু খুনসুটি, হাসি-ঠাট্টা এ সবকিছুর মধ্যে রয়েছে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আর ভালোবাসার মোহ। এখান থেকে কিছুটা এগিয়ে গেলেই দেখা মিলবে ভাটিয়ারটেক বাজারের আশা মিষ্টান্ন ভান্ডারের। এখানকার দশবারোটা মিষ্টি যে কেউ একাই সপে দিতে পারবে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই রাজিব মামার দোকানে বসে চা-কফির আসর, সঙ্গে আইসক্রিম তো আছেই। তবে এখানে যে একটা কিন্তু আছে! দামি সব আইসক্রিমের ভিড়ে সবাই খুঁজে নেই ফেলে আসা ছেলেবেলার ফেরিওয়ালাদের সেই এক টাকা দুই টাকাওয়ালা আইসক্রিম। প্রখর রোদ, অথবা ঝুম বৃষ্টি, আড্ডা চলে বহমান নদীর মতোই। \হবছরগুলো এভাবেই ফুরায়। পুরাতন মুখগুলো বিদায় নেয়। নতুনদের আগমন ঘটে। শুধু আড্ডার স্থানগুলোর বয়স বাড়ে। সেই ঝাউবন, সেই পেঁয়াজু আর নতুন সব স্বপ্ন নিয়ে আড্ডা চলে অবিরাম।