প্রজন্মের ঝোঁক ব্যবসায় শিক্ষায়

প্রকাশ | ২৯ জুন ২০১৯, ০০:০০

এসএন ইসলাম
বিশ্বায়নের যুগে এখন ব্যবসায় শিক্ষার জয়-জয়কার। দেশ-বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এই শিক্ষা লাভ করছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। তাই প্রথাগত ডিগ্রির গুরুত্ব ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে গত কয়েক দশক ধরেই। বিশেষ করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এখন ব্যবসায় শিক্ষাকে গুরুত্বসহকারে পড়ানো হচ্ছে। প্রায় ৬০ ভাগ শিক্ষার্থীই ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে অধ্যয়ন করছে এবং প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে কমার্স বিশেষায়িত কলেজ। ব্যবসায় শিক্ষার ক্রমবর্ধমান এই ঝোঁকের কারণে রাজধানী ঢাকায় ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কমার্স বিশেষায়িত দেশ সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা কমার্স কলেজ। এর বাইরে হাতেগোনা দু-একটি প্রতিষ্ঠান থাকলেও এই তালিকায় অগ্রগণ্য ঢাকা কমার্স কলেজই। এককথায় বাণিজ্যবিষয়ক বিশেষায়িত শিক্ষার প্রশ্নে যে নামটি সবার আগে উচ্চারিত হয় তার নাম ঢাকা কমার্স কলেজ। এই খ্যাতি তথা সাফল্যের স্বীকৃতি যেমনি সেরা ফলাফল তথা ক্যারিয়ার সাফল্যে, তেমনি খোদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবারের সেরা কলেজের স্বীকৃতিতেও বারবার উঠে আসছে। এসব অর্জনের পেছনে রয়েছে কলেজটির গভর্নিং বডির সুদক্ষ পরিচালনা, অধ্যক্ষের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও একঝাঁক দক্ষতাসম্পন্ন অভিজ্ঞ শিক্ষকের আন্তরিকতাপূর্ণ দক্ষ পাঠদান এবং নিয়মশৃঙ্খলায় সদা অবিচল একটি প্রশাসনিক অবকাঠামোর কারণে। কলেজটিতে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি বহুবিধ সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে রুটিনমাফিক নিয়মিত পরিচালিত হয়। ঢাকা কমার্স কলেজের উদ্দেশ্য বাণিজ্যবিষয়ক তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক শিক্ষার সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষিত ও স্বশিক্ষিত করে গড়ে তোলা। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা কমার্স কলেজ ১৯৯৬ এবং ২০০২ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজর্ যাংকিং ২০১৭-তে ঢাকা কমার্স কলেজ জাতীয় পর্যায়ে সেরা বেসরকারি কলেজ নির্বাচিত হয়েছে। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজ প্রথম বছরেই ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের মেধাক্রমে শীর্ষস্থান অর্জন করে। বোর্ড ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাতালিকায় এই কলেজের ছাত্রছাত্রী প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় মেধাস্থানসহ কোনো কোনো বছরে ২০টি মেধাস্থানের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩টি মেধাস্থানও লাভ করেছে। কলেজটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্বে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সফিক আহমেদ সিদ্দিক। ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি এই দায়িত্ব পালন করছেন। তার যোগ্য নেতৃত্ব, দিকনির্দেশনা ও পরামর্শে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর মো. শফিকুল ইসলাম শিক্ষকদের সমন্বয়ে কলেজটিকে উত্তরোত্তর সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। স্ব-অর্থায়নে পরিচালিত, ধূমপান ও রাজনীতিমুক্ত স্স্নোগানকে ব্রত হিসেবে ধারণ করে এই কলেজ আজও এগিয়ে চলছে সমান গতিতে। জন্মলগ্ন থেকেই এই কলেজ সৃষ্টি করে চলছে অনন্য ও ব্যতিক্রমী সব দৃষ্টান্ত। তাই ঢাকা কমার্স কলেজ আজ একটি সাফল্যের স্মারক, বিশেষ করে ব্যবসায় শিক্ষায় কলেজটি দেশব্যাপী অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। চলতি সেশন থেকে কলেজটিতে বিজ্ঞান শাখা চালু করা হয়েছে।