জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

বৃষ্টির দিনে ক্যাম্পাস

প্রকাশ | ০১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

রুদ্র আজাদ
বৃষ্টিতে ভিজে প্রিয় ক্যাম্পাসে সাইকেল চালানোর মজাই আলাদা
বৃষ্টির দিনে কোনো কাজে মন বসে না। মনটা কোথায় যেন হারিয়ে যেতে চায়। কত না রোমান্টিকতার সঙ্গী এই বৃষ্টি। ব্যস্ত জীবনের ব্যস্ত মানুষটিও বৃষ্টির দিনে হারিয়ে যেতে চায় কোনো সুখময় স্মৃতির আবডালে। যেন ইচ্ছে ডানা মিলিয়ে, তেপান্তরে যাও হারিয়ে প্রকৃতি নতুন রূপে সেজে ওঠে এক পশলা বৃষ্টির ছেঁায়া পেয়ে, যেন নব যৌবনের খেলা। আর সেটা যদি হয় প্রকৃতির বরপুত্র জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ, মুক্তমঞ্চ, শহীদ মিনার, টারজান, মুরাদ চত্বর, মহুয়াতলা, মুন্নি চত্বর, চৌরঙ্গী, বটতলা সবখানেই যেন টুপটাপ বৃষ্টি পশরা মিলিয়ে বসেছে। সুনসান নীরবতার মাঝে বৈচিত্র্যতার ভার মেলে চারপাশে। আর মিলবেই না কেন শত ব্যস্ততার মাঝে অবকাশ মিলানোই তো দ্বায়। ক্লাস, এটেনডেন্স, টিউটোরিয়াল, প্রেজেন্টেশন, ল্যাব, পরীক্ষা এর মাঝে একটু প্রকৃতির ভালোবাসায় হারাতে কে না চায়? বৃষ্টির দিনগুলো তাই ক্যাম্পাসের সবারই প্রিয়। কেউ বৃষ্টিতে ভিজে আড্ডা গানে, কেউ বা সময় কাটায় প্রিয়জনের সঙ্গে আলাপচারিতায়, আবার কারো কাছে বৃষ্টির দিনগুলো মানেই প্রিয়জনের সঙ্গে রিকশা ভ্রমণ কিংবা একই ছাতার নিচে আধভেজা হয়ে একান্ত সময় কাটানো অথবা সাইকেল নিয়ে দাপিয়ে বেড়ানো পুরো ক্যাম্পাস। এখানে হারিয়ে যাওয়ার নেই যে মানা। বৃষ্টি ভেজা ক্যাম্পাস, সবুজ ঘাসের গালিচা বিছানো পথ আর লাল ইটের চুয়ে পড়া পানির ধারা মুহ‚তের্র মধ্যে হারিয়ে নিয়ে যায় এক কল্পনার রাজ্যে, ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করে না এ সবুজ ক্যাম্পাস। প্রশ্ন করেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স পড়ুয়া বাংলা বিভাগের ছাত্রী সায়মা চৈতির কাছে আক্ষেপ করেই বললেন প্রকৃতির নিয়মে হয়তো ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যেতে হবে কিন্তু এ অপরূপ ক্যাম্পাস কখনো ভুলে যাওয়ার নয়। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনের কত শত স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই ক্যাম্পাসটাতে বৃষ্টির দিনে সবুজ পথ ধরে হঁাটতে ছিলাম হঠাৎ দেখা হলো একদল তরুণীর সঙ্গে নাম সম্পা, তান্নি, সুমাইয়া ক্লাসের মাঝে বৃষ্টিতে বেরিয়েছে সাইকেল নিয়ে রূপ আর সৌন্দযের্ হারিয়ে যেতে। কথা হলো তাদের সঙ্গে জানাল ‘বৃষ্টি উপভোগ করা সবাই পছন্দ করে আমরাও তার ব্যতিক্রম নয়। আর ক্যাম্পাসের বৃষ্টির দিনে রুমে বসে থাকা অথবা ক্লাস করাটা যেন মনের সঙ্গে যুদ্ধ করা।’ কথার পশরা মিলালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দশর্ন বিভাগের রাশেদুল হাসান শোভনের সঙ্গে, তিনিও হারিয়ে গেলেন ছোটবেলায় বৃষ্টির দিনে গ্রামের মেঠোপথ, মাঠে বল নিয়ে দাপাদাপির কথা, বললেন বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগার কথা।