ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়

লাল কঁাকড়া ও সাগরকন্যার দেশে

প্রকাশ | ০১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

ইমানুল সোহান
ঢেউয়ের গজর্ন, বালুকনা ভেদ করে লাল-কঁাকড়ার উঁকি সবই দেখা মেলে সমুদ্রকন্যাখ্যাত পটুয়াখালীর কুয়াকাটায়
সমুদ্ররপাড়ের সুশীতল বাতাস, ঢেউয়ের গজর্ন, বালুকনা ভেদ করে লাল-কঁাকড়ার উঁকি সবই দেখা মেলে সমুদ্রকন্যাখ্যাত পটুয়াখালীর কুয়াকাটায়। ক্লাস পরীক্ষার চিন্তা-ভাবনা চুকিয়ে সাগরের সঙ্গে মিতালী করতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২য় বষের্র শিক্ষাথীর্রা শিক্ষা সফরে যায় কুয়াকাটায়। দিনটা ছিল ২১ মাচর্। ঘড়ির কঁাটায় তখন বিকেল ৪টা। সবাই সুন্দর পোশাক পরে যাত্রাস্থলে উপস্থিত। আনন্দযাত্রায় বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রাশিদুজ্জান, ড. মো. মনজুর হোসেন, ড. খোন্দকার আরিফা আক্তার ও সহকারী অধ্যাপক ফৌজিয়া খাতুন আমাদের সফরসঙ্গী হওয়ায় আনন্দের মাত্রা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। বিকেল ৫টায় ক্যাম্পাস হতে আমাদের যাত্রা শুরু হয়। চলন্ত বাসে পপি, আরিফ, রনি, মিরা, পাভেল, মনিকা ও জলির মন-মাতানো নাচ গানের মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত হয়। ভোর ৪টায় কুয়াকাটায় পেঁৗছালাম। উঠলাম সোনার তরী হোটেলে। ঘণ্টাখানেক বিশ্রাম। তারপর সকালের সূযর্ উপভোগ করার জন্য বাইকে চেপে রওনা। প্রায় ৩০ মিনিট যাত্রার পর দেখা মিলল কাক্সিক্ষত সূযর্। সমুদ্রের পানির ওপর সূযের্র লাল আভা তখন প্রতিফলিত । সকালের সূযর্ কতটা উপভোগীয় তা সেখানে না গেলে বোঝা যাবে না। সূযর্ দেখে রওনা হলাম ঝাউবন দেখতে। তখন কচি কচি পাতার ফঁাকে সেলফি তুলতে ব্যস্ত সহপাঠীরা। পরে সকালের নাস্তা করার জন্য হোটেলে প্রস্থান। তারপর সমুদ্রের পানিতে গোসল করার পালা। রীতিমতো সবাই গোসল করার প্রস্তুতি নিয়ে সমুদ্রের দিকে রওনা। উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে গা ভাসিয়ে দিয়ে গোসল করার অনুভ‚তিটুকু আলাদা। কেউ সাগরের সঙ্গে সেলফি তুলতে ব্যস্ত। কেউবা সমুদ্রের লোনা পানিতে ফুটবল খেলায় ব্যস্ত। প্রায় ২ ঘণ্টার গোসল শেষে হোটেলে ফেরত। তবুও যেন সহপাঠীদের গোসল করে মন ভরে না। এবার খাবার পালা। বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের ভতার্ ও সামুদ্রিক মাছ দিয়ে হলো দুপুরের খাবার। এবার লাল কঁাকড়ার খেঁাজে সবাই উন্মুখ। মোটরসাইকেলে চেপে লাল কঁাকড়া খুঁজতে ছুটে চলা। অবশেষে দেখা মিলল লাল কঁাকড়ার। তারপর রাখাইন পল্লী। সেখানে গিয়ে সবাই পরিবার ও প্রিয়জনের জন্য কিছু উপহার সামগ্রী নিতে ব্যস্ত। সেখানে শামুকের তৈরি হরেক রকমের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। এ ছাড়াও শুঁটকি মাছ, বিভিন্ন রকমের আচার পাওয়া যায়। সবাই নিজ নিজ প্রিয় জিনিস কিনতে ব্যস্ত। এভাবে ঘনিয়ে এলো সময়। কখন যে সময় ফুরিয়ে গেল কেউ বুঝে উঠতে পারল না। ফিরতে হবে গন্তব্যে এ জন্য শিক্ষদের তাড়া। তার মধ্যে ফটোসেশনের কাজটুকুও শেষ। সবার চোখে মুখে ক্লান্তি। কিন্তু তবুও থেমে থাকেনি আনন্দ ভ্রমণ। ফেরার পথে চলন্ত বাসে বেসুরে গলায় আর একটু গান- মন চায় মন চায় যেখানে চোখ যায়, সেখানে যাব হারিয়ে।