বৃষ্টিভেজা নবীন ক্যাম্পাস

প্রকাশ | ২৭ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
শামীম শিকদার পরিবেশ একেবারে শান্ত। তবে বৃষ্টি পড়ছে। কখনো টিপটাপ বৃষ্টি আবার কখনো অবিরাম বৃষ্টি। ক্যাম্পাসের সবাই যার যার মতো জায়গা দখল করে আছে। কেউ বসে আবার কেউ দাঁড়িয়ে। শান্ত পরিবেশের মধ্যে সবার মনেও একটি শান্ত ভাব বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসের ভিতরে বসার মতো জায়গা বলতে দুটি বকুলতলা। এখানে একটি ছেলেদের আরেকটি মেয়েদের। উত্তর পাশেরটা মেয়েদের দখলে থাকলেও দক্ষিণ পাশেরটা সবসময় থাকে ছেলেদের দখলে। ক্যাম্পাসের চারপাশে বিভিন্ন সেগুন, আকাশী, সুপারি, তাল, কলাসহ নানারকমের ফলের গাছ। সব বৃষ্টিতে ভিজে একাকার। মাঠের সবুজ ঘাসগুলো বৃষ্টিতে ভিজে আরও সবুজ হয়ে উঠেছে। আমরা দাঁড়িয়ে আছি আইসিটি ভবনে। বৃষ্টিতে ভেজার খুব ইচ্ছে হচ্ছে। কিন্তু সবার আগ্রহ না হওয়ায় তা আর হয়ে উঠল না। আমাদের আগ্রহকে উপেক্ষিত করে একদল ছেলে ফুটবল নিয়ে মাঠে নেমে পড়ল। সে কি আনন্দ, সবার মধ্যে উলস্নাসের ছোঁয়া। তারা মাঠে হয়তো বর্ষাবিলাস করছে। অন্যদিকে কলেজের গেম রুমে ব্যস্ত অন্য আরেক দল। তারা বৃষ্টিপ্রেমী না হলেও বৃষ্টিতে আটকা পড়ে ঘরোয়া খেলায় মেতে উঠেছে। আইসিটি ভবনের পেছনে ঘাট বাঁধানো বিশাল বড় একটি পুকুর। পুকুরে সাদা স্বচ্ছ জলে মনের আনন্দে কয়েকটি হাঁসের দল সাঁতার কেটে বেড়াচ্ছে। টিপ টিপ বৃষ্টিতে শিক্ষকরা ব্যস্ত ক্লাসে; আবার কোনো কোনো শিক্ষক ব্যস্ত অফিস রুমে আড্ডায়। যতদূর চোখ যায় শুধু আমাদের কলেজ ক্যাম্পাস। ২১ একর জায়গা নিয়ে এর অবস্থান। কলেজের ভিতরে ঐতিহ্য বলতে জমিদার রামনাথ রায়ের বাড়ি। আগে জমিদার রামনাথ রায়ের বাসভবন থাকলেও ১৯৬৫ সালে কলেজ পরিচালনার কার্যক্রম শুরু হয় এ ভবন থেকেই। যেটি বর্তমানে প্রশাসনিক ভবন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ক্যাম্পাসের পূর্ব পাশে প্রশাসনিক ভবন, দক্ষিণ পাশে আইসিটি ভবন, পশ্চিম পাশে সাইন্স ভবন, উত্তর পাশে একাডেমিক ভবন ও শিক্ষকদের রুম। নবীনরা ব্যস্ত নতুন ক্যাম্পাসের সঙ্গে পরিচিত হওয়া নিয়ে। স্কুল পেরিয়ে কলেজে আসা নিয়ে তাদের মধ্যে এক ধরনের উলস্নাস। নতুন বন্ধু, নতুন পরিকল্পনা, নতুন বই, নতুন শিক্ষক, নতুন ক্যাম্পাস সবকিছুর মধ্যে নিজেকেই নতুন মনে হয়। নতুন শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় মুখরিত পুরো ক্যাম্পাস। কখনো ভবনের ভিতরে, কখনো মাঠে, আবার কখনো বকুলতলায় আড্ডায় ব্যস্ত নবীনরা। এখনো পুরোদমে ক্লাস শুরু হয়নি। ক্যাম্পাসের প্রতিটি স্থান হচ্ছে আড্ডায় মুখরিত।