সেবিকা শিক্ষা ও পেশায় অন্তর্ভুক্তির সময় এখনই

প্রকাশ | ২৭ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
উচ্চ মাধ্যমিকের পর পড়তে পারেন সেবিকা শিক্ষা ও পেশায়
রায়হান শরীফ উচ্চ মাধ্যমিকের পর যারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রফেশনাল কোনো বিষয়ে পড়াশোনা করে সম্মানজনক পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের জন্য সেবিকা বা নার্সিং অতুলনীয়। এই পেশায় চিকিৎসকদের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় যেমন নিয়োজিত থাকা সম্ভব, তেমনি আছে ভালো উপার্জন তথা সম্মানও। আমাদের দেশে রোগীপ্রতি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেবিকা সংখ্যার আনুপাতিক হার প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। অথচ এই সেক্টরে দেশ-বিদেশে রয়েছে কর্মসংস্থানের অবাধ সুযোগ। এশিয়া ইউরোপসহ সমগ্র বিশ্বে, বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোতে দক্ষ সেবিকাদের চাহিদা ব্যাপক। সরকারি সীমিতসংখ্যক নার্সিং কলেজ তথা আসন সংখ্যার কারণে এই ব্যাপক সম্ভাবনাময় খাতটি থেকে আমরা তেমন কোনো সুবিধা নিতে পারছিলাম না। ওই বাস্তবতাকে সামনে রেখে সরকারি নার্সিং কলেজের পাশাপাশি দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাইভেট নার্সিং কলেজ। যারা উন্নত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে সরকারি কলেজ-ইনস্টিটিউটগুলোর পাশাপাশি দক্ষ নার্স তৈরির প্রতিশ্রম্নতি তথা স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছে। যদিও সীমাবদ্ধতাও রয়েছে অনেক। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো অবকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা না থাকা সত্ত্বেও এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বছরান্তে প্রচুরসংখ্যক দক্ষ নার্স বের হচ্ছে। যারা দেশের চিকিৎসা খাতে অবদান রাখাসহ বিদেশে কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে অর্থনীতিতেও ব্যাপক অবদান রাখছে। ঢাকায় এজাতীয় স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি কলেজ- সাইক নার্সিং কলেজ। যেখানে রয়েছে; ৪ বছরমেয়াদি ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং এবং দুই বছরমেয়াদি পোস্ট বেসিক কোর্সে লেখাপড়ার সর্বোন্নত সুযোগ। এই উভয় কোর্সে অ্যানাটমি, ফিজিওলোজি, মাইক্রোবায়োলজি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, কম্পিউটার, ইংরেজি, ফান্ডামেন্টাল নার্সিং, নিউট্রেশন অ্যান্ড ডাইটেটিকস, সাইকোলজি, সাইকিয়াট্রিক নার্সিং, রিসার্চ স্টাডিজ, নার্সিং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, নার্সিং ম্যানেজমেন্ট ও ইপিডেমিওলোজিসহ বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হয়। সাইক নার্সিংয়ে আছেন নার্সিংয়ে মাস্টার্স ডিগ্রিপ্রাপ্ত দক্ষ শিক্ষকমন্ডলীরা। এ ছাড়া উন্নতমানের প্রশিক্ষণের জন্য দেশি-বিদেশি বিভিন্ন নার্সিং কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও যৌথ শিক্ষা বিনিময় চুক্তি সম্পাদন নিয়ে কাজ করছেন কর্তৃপক্ষ। যার অধীনে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকরা এখানে বিশেষ ক্লাস নেবেন। এখানে ব্যবহারিক ক্লাস তথা ক্লিনিক্যাল ট্রেনিংয়ের জন্য রয়েছে নিজস্ব সাইক জেনারেল হসপিটাল, সাইক ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক ল্যাব এবং ছেলেমেয়েদের পৃথক ছাত্রাবাস, সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, কম্পিউটার ও অন্যান্য ল্যাব তথা ব্যবহারিক শিক্ষার যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা। ইন্টার্নশিপের জন্য নিজস্ব হসপিটালের পাশাপাশি দেশের বৃহত্তম হসপিটাল ক্লিনিকগুলোর সঙ্গেও চুক্তি রয়েছে। ঢাকার বৃহত্তম জনবহুল এলাকা মিরপুর ১৪-এ গড়ে উঠেছে এই কলেজ। যা বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত। প্রাইভেট নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউটগুলোর সম্ভাবনা নিয়ে কথা হয় নার্সিংসহ মেডিকেল টেকনোলজি তথা কারিগরি শিক্ষার বিভিন্ন শাখার সফল উদ্যোক্তা সাইক ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি তথা সাইক গ্রম্নপের চেয়ারম্যান আবু হাসানাত মো. ইয়াহিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, সাধারণ কোন ডিগ্রি নিয়ে চাকরির বাজারে এখন আবেদন করাই যেন বৃথা। তাই আমি উদ্যোগ নিলাম নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠার। তিনি বলেন, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও প্রাইভেট নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউটগুলো গুণগতমানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করে সাফল্যের সঙ্গেই এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে আমরা সাড়াও পাচ্ছি, শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর আস্থাশীল হচ্ছে। শুরুতে যার ঘাটতি ছিল। আমরা যেভাবে পড়াচ্ছি অর্থাৎ আমাদের সাইক নার্সিং কলেজের অভিজ্ঞ শিক্ষকসহ হাতে-কলমের ব্যবহারিক শিক্ষা, নিজস্ব ক্যাম্পাস, যাবতীয় অবকাঠামোগত দিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তথা বৈশিষ্ট্যের বিবেচনায় আমি মনে করি শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছ থেকে সেরাটাই পাচ্ছে এবং পাবে।