চ ট্ট গ্রা ম বি শ্ব বি দ্যা ল য়

ডেঙ্গু সচেতনতায় আমরা

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আফফান ইয়াসিন ঢাকাসহ অনেক স্থানে ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রকোপ। ইতোমধ্যে অনেকেই ডেঙ্গু আক্রমণের শিকার হয়ে হাসপাতালে পড়ে আছেন। আবার অনেকের জীবনও কেড়ে নিয়েছে। উদ্যোগ নিয়ে ডেঙ্গুর বিপক্ষে কাজ করে গেলেই মুক্তি পাওয়া যাবে। বাড়ি বা আঙিনার চারপাশে জমে থাকা পানি, পলিথিন, নারকেলের খোল, খোলা বোতল, ভাঙা পেস্নট বা গস্নাস, গরু বা গৃহপালিত পশুর ঘরের আশপাশ ইত্যাদি পরিষ্কার রাখলেই মশার বংশবিস্তার বন্ধ হয়ে যাবে। তবে এর জন্য উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজন। ডেঙ্গু হলো এক প্রকার ভাইরাসজনিত জ্বর। যা স্ত্রী এডিস মশার মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। ডেঙ্গুজ্বর কারও শরীরে দেখা গেলে ভয় না পেয়ে বরং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। ডাক্তারের নির্দেশ মেনে চলুন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাসহ মশা যেন আর না কামড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। তাই সচেতনতাস্বরূপ পূর্ব প্রস্তুতি হাতে নিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুসহ নেতাকর্মীরা। সপ্তাহব্যাপী এই 'মশক নিধন' কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্ব উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। ক্যাম্পাসের ঝোপঝাড়গুলো থেকে শুরু করে প্রতিটা হলের চারপাশের গাছপালা, টব ইত্যাদিতে ছিটানো হচ্ছে ডেঙ্গুনাশক মেডিসিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল এবং এএফ রহমান হল থেকে ডেঙ্গুমুক্ত অভিযান শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে তা পুরো ক্যাম্পাসে ছিটানো হবে। এই সচেতনতামূলক অভিযানে আরও অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র। উপাচার্য মশক নিধন কর্মসূচি প্রসঙ্গে জানান, ডেঙ্গু জীবাণুবাহী মশা নিধন কার্যক্রমের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চবি ছাত্রলীগ নেতারা উদ্যোগ গ্রহণ করায় তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন। সারা দেশে এডিস মশার আক্রমণ বেড়েই চলছে। ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের সচেতন করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগ যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা সারা দেশের জন্য রোড মডেল হয়ে থাকবে। তিনি শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, এ বিষয়ে বিচলিত না হয়ে বরং সচেতন হতে।