বটমলী হোমস স্কুলে ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের মিলনমেলা

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রহিমা আক্তার মৌ এখন বিজ্ঞানের যুগ, বিজ্ঞানের ব্যবহার আমাদের ঘর থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে। আবার বিজ্ঞানের ব্যবহার ভোর থেকে রাত শেষ হয়ে আবার ভোরে। বিজ্ঞান ছাড়া যেন আমরা পুরাই অচল। সেই বিজ্ঞানের ব্যবহার নিয়ে অদ্য ২৩ জুলাই মঙ্গলবার সারাদিনব্যাপী হয়ে গেল বটমলী হোম বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের বার্ষিক বিজ্ঞান মেলা। মেলায় তৃতীয় থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। পরিবেশ দূষণ ও এর প্রতিকার, হাইড্রোজেন ফুয়েল, বিদু্যৎ পরিবাহিতা, ভেষজ উদ্ভিদ থেকে তৈরি ওষুধগুলো, পস্নাস্টিকের পিচ ঢালাই, পেরিস্কোপ, সৌরজগৎ, এসিড বৃষ্টি প্রতিরোদে, সরল ছাঁকনি বা ফিল্টারিং, রিসাইকেল, বিদু্যৎ ছাড়া অ্যাম্পলিফায়ার, ওয়াটার লেভেল ইন্ডিকেটর, রিসাইকেল, ঢাকা বিকেন্দ্রীকরণ, যানজটবিহীননগরী গড়ার প্রকল্প, ভূমিকম্প থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যাবে তারই উপায়, জ্বালানিবিহীন গাড়ি চালানোর কৌশল, বাতাস থেকে বিদু্যৎ উদ্ভাবন, গ্যাস সাশ্রয় পদ্ধতি, আবর্জনা থেকে বিদু্যৎ উৎপাদন ইত্যাদি প্রজেক্ট উপস্থাপনা করে ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা। এ যেন এক ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের মিলনমেলা বসেছে। বিজ্ঞান মেলার পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় গার্হস্থ্য মেলার আয়োজনও হয়। সেখানে বিভিন্ন হাতের কাজের গৃহসামগ্রী ও বাসায় তৈরি খাবার প্রদর্শন করা হয়। ২৩ জুলাইয়ের বটমলী হোম বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের মিলনমেলায় 'ইলেকট্রিক জেনারেটর' প্রজেক্ট নিয়ে এসেছে নবম শ্রেণির পাঁচ বন্ধু ফারিহা আহসান, হুমায়রা তাসনিম, ইসরাত আনজুম, নওসাবা আলম, ইসরাত ফারাবী। 'ঢাকা বিকেন্দ্রীকরণ' প্রজেক্ট সাজিয়েছে নবম শ্রেণির ক্ষুদে বিজ্ঞানী মির্জা নিশাত তাসনিম, জয়িতা মিত্র, জয়া পাল, অনন্যা বিশ্বাস, প্রথমা শর্মা। নাদিয়া জামান, আদিবা মুমতাহিনা, আফরোজ মজহার, তাহমিনা তৌহিদ, তম্মি মন্ডল বসেছে 'স্মার্ট এগ্রিকালচারাল সোসাইটি' প্রজেক্টে একেবারেই জীবিত মাছ ছেড়ে রেখেছে ওরা। স্কুলটিতে প্রতিবছর বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হয়। বিচারকমন্ডলীরা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী নির্বাচন করেন। বিজ্ঞান মেলা উদ্বোধন করেন, আরচিবিশক জর্জ কোচারি (ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত), আরও উপস্থিত থাকেন সিস্টার মেরি দীপ্তি, মোহাম্মদ ওমিদুর রহমান, ফাদার কামাল কোরাইয়া। প্রতিবছর হাতে-কলমে নতুন নতুন প্রজেক্টের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞান আমাদের দৈনন্দিন কাজে অনেক অনেক অবদান রাখছে। আমরা জানি আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, ওদের হাতেই আমাদের ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানের কলকাঠি। একটু একটু করে শিখতে শিখতেই ওরা আমরাও বিজ্ঞান মেলা থেকে নতুন নতুনভাবে বিজ্ঞানের ব্যবহার শিখছে।