বি শ্ব বি দ্যা ল য়ে ভ র্তি

ইচ্ছে যাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার...

ইতোমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগেরই ইচ্ছা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। কিন্তু তা চাইলেও তো আর সম্ভব না! সুযোগ পেতে মুখোমুখি হতে হয় এক কঠিন পরীক্ষার। যেটাকে রীতিমতো যুদ্ধ বলা হয়। ভর্তিযুদ্ধ। এই কঠিন যুদ্ধে কীভাবে অন্যদের থেকে নিজেকে এগিয়ে রাখবে, কীভাবে পড়লে ভর্তিযুদ্ধটা কিছুটা সহজ হবে সেসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানাচ্ছেন মাহবুব এ রহমান...

প্রকাশ | ২৪ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আত্মবিশ্বাস আর দৃঢ় মনোবল এগিয়ে দেবে অনেকখানি তাসনীম তামান্না মানুষের অসাধ্য এমন কিছু নেই যা মানুষ চাইলে করতে পারে না। এর জন্য প্রয়োজন দৃঢ় মনোবল এবং প্রবল ইচ্ছাশক্তি। এইচএসসি পরীক্ষার পর ভর্তি পরীক্ষার আগ মুহূর্তে হাতে থাকে মাত্র কয়েকটা মাস। এই সময় একজন ছাত্রজীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় অতিবাহিত করে। এই সময়টাতে নিজেদের সঠিকভাবে পরিচালিত করতে এবং মনোবল ঠিক রাখতে নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং ভয়কে জয় করার সাহস রাখতে হবে। নিজের দেখা স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্নপূরণের জন্য হতে হবে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। অন্যজনের কথা শুনে বা অন্যের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে বিচলিত হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়লে চলবে না। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিস্তারিত বিষয়ে গভীরভাবে জানা; সাধারণ জ্ঞান এবং ইংরেজিতে ভালো করতে বাজারে ভালো প্রকাশনীর প্রকাশিত বইগুলো পড়ে বারবার রিভিশন দিতে হবে। আর তারপর যেই জিনিসটা সবচেয়ে বেশি মনে রাখতে হবে তা হলো নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস হারালে চলবে না বা আমি অজপাড়াগাঁয়ের ছেলে বা মেয়ে; অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে পেরে উঠব না- এধরনের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলাই বরং ভালো। নিজের স্বপ্নের পথে নিজের প্রতিবন্ধক নিজে ছাড়া আর কেউ নেই। তুমি চাইলে পৃথিবীর কোনোকিছুই অসম্ভব নয়। তাই এখন যে সময় তোমার হাতে আছে সেটার সঠিক ব্যবহার করতে হবে এবং যথাসম্ভব মাথা ঠান্ডা রেখে নিজের স্থির লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হতে হবে। তাহলেই জয় পাওয়া সম্ভব। শুভকামনা। শিক্ষার্থী : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পড়ো লিখো তারপর পড়ো এম এম মুজাহিদ উদ্দীন জীবনের বাঁকে বাঁকে কিছু সময় আসে যখন নিজেকেই নিজে চাবুক মারতে হয়। তথাকথিত সামাজিকতা থেকে কিছুটা দূরে থাকতে হয়। দাঁতে দাঁত চেপে বড় লক্ষ্যকে সামনে রেখে সাধনায় আত্মনিয়োগ করতে হয়। এমনই একটি সময় তোমরা অতিবাহিত করছ। এ সময়ের সঠিক ব্যবহারই তোমাকে তোমার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হওয়ার সুযোগ এনে দিতে পারে। তোমার বাবা-মা তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে তুমি তাদের গর্বিত সন্তান হবে। তাদের মুখের দিকে একবার তাকিয়ে দেখো তুমি সফল হলে তারা কতটা আনন্দিত হবে। আর ব্যর্থ হলে কতটা কষ্ট পাবে। এসব ভেবে পড়ার টেবিলে বসো। প্রত্যেকটা সাবজেক্টেরই নির্দিষ্ট কয়েকটা টপিকস আছে যেখান থেকে প্রশ্ন প্রায়ই আসে। সেগুলোর ওপর বেশি জোর দাও। বিগত সালের প্রশ্নগুলো বুঝে বুঝে সমাধান করবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পড়ো, লিখো তারপর আবার পড়ো। দেখবে একটা সময় পড়া আয়ত্তে চলে আসছে। মনে রেখো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শতভাগ প্রস্তুতি কখনো হয় না। তাই আত্মবিশ্বাস রেখো। শুভ কামনা তোমাদের জন্য। শিক্ষার্থী : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। পড়াশোনার পাশাপাশি খেয়াল রেখো স্বাস্থ্যের প্রতি জারিন তাহসিন ভর্তিযুদ্ধে পড়াশোনার পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে আত্মবিশ্বাস। আত্মবিশ্বাস ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে একমাত্র লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভম। এইচএসসির ফলাফল যদি আশানুরূপ নাও হয় তা নিয়ে ভেঙে না পড়ে এখনই তৈরি করতে হবে নিজেকে। একমাত্র তুমিই পার তোমার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে। অযথা ভেঙে না পড়ে মনোবল নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এই সময়ে যত বেশি সম্ভব নিজেকে পড়ার টেবিলে স্থির রাখো। মনোযোগ রাখো এককেন্দ্রিক। পড়াশোনাই হোক ধ্যানজ্ঞান। মানবিক শাখা থেকে যারা পরীক্ষা দেবে তাদের জন্য বাংলা, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই সাধারণ জ্ঞান পড়তে গিয়ে ইংরেজি পড়ার কিংবা ইংরেজি পড়তে গিয়ে সাধারণ জ্ঞান কিংবা বাংলা পড়ার সময় পায় না। এমনটি না করে সব বিষয়ে সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি যে বিষয়ে তুমি বেশি দুর্বল তাতে সময় একটু বেশিই দাও। সর্বশেষ পড়শোনার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম ও খাওয়া-দাওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ সব কিছুর আগে তোমার সুস্থতা। তোমাদের জন্য সব শুভকামনা রইল। শিক্ষার্থী : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। দুর্বল বিষয়ের প্রতি আলাদা নজর দাও মো. শামিম রেজা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছ, তোমাদের পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যতম একটা কাজ হচ্ছে মনস্থির করা। নিজের লক্ষ্যকে মনের গভীরে স্থাপন করে নাও। লক্ষ্য যাদের যতবড় প্রাপ্তিও ঠিক তেমন হবে। যদি লক্ষ্যকে সামনে রেখে পর্যাপ্ত পরিশ্রম করে যেতে পারো। এখন লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করতে বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি শুরু করো। শতভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ভালো গাইডলাইন খুবই জরুরি। তাই যেখানেই ভালো আস্থা পাও সেখান থেকেই পরামর্শ গ্রহণ করো। প্রাইভেট টিচার বা কোচিং ইত্যাদির মাধ্যমে প্রস্তুতিটাকে বারবার ঝালাই করে নাও। মনে রেখো, চ্যালেঞ্জ কিন্তু তোমার সক্ষমতার সঙ্গে তোমার। নিজের মনের সঙ্গে নিজের প্রতিযোগিতা। তাই যেসব বিষয়ে তুমি দুর্বল সেগুলোর প্রতি আলাদা নজর দাও। নিজেই নিজের পরীক্ষক হয়ে যাও। সর্বশেষ বলব পড়ার বিকল্প নেই। পড়ার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বুঝে পড়া। তাই এখনই টেবিলে মনোযোগ বাড়াও। সফলতা আসবেই। শিক্ষার্থী : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।