ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া

কর্মমুখী বাজার উপযোগী শিক্ষা প্রচেষ্টার সম্মিলন

প্রকাশ | ৩১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

এস এন ইসলাম
মুক্তবাজার অর্থনীতির এই গেস্নাবাল ভিলেজের যুগে সর্বত্রই আমরা এক অসম প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি। চলছে একে অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার তীব্র প্রতিযোগিতা। বিশেষ করে অবাধ বিশ্ব বাণিজ্যের চলমান এই প্রেক্ষাপটে লক্ষ্য এখন কর্মমুখী বাজার উপযোগী ডিগ্রি অর্জন করা। গতানুগতিক সাধারণ ডিগ্রি নিয়ে এক সময় যারা চাকরি পেয়েছেন, আজ তারা প্রফেশনাল ডিগ্রিধারী পাড়ার ছোট ভাইটিরও অধীন এবং কাজে দক্ষতা সত্ত্বেও ঝুলে আছে অতি কাঙ্ক্ষিত প্রমোশনটিও। তাই সার্বিক বিবেচনায় ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া যুগও চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রেগুলার শিফটের পাশাপাশি সান্ধ্যকালীন শিফট ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, এমবিএ অ্যান্ড এক্সিকিউটিভ এমবিএ ও বিএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স কোর্স চালু করেছে। এসব কোর্স পরিচালনায় এখানে নিয়োজিত আছেন, একটি দক্ষ ও অভিজ্ঞ পরিচালনা পর্ষদ ও দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী। যাদের নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হচ্ছে, মানসম্পন্ন উচ্চতর শিক্ষা। অপেক্ষাকৃত সীমিত ব্যয়ে দেশব্যাপী গুণগতমানের উচ্চশিক্ষা বাস্তবায়নের স্বপ্ন নিয়ে প্রখ্যাত চিকিৎসক মরহুম প্রফেসর এম এ মতিন ২০০৩ সালে অভিজাত এলাকা বনানীতে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এর গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ছিলেন। তার মৃতু্যর পর প্রফেসর এম এ মুহিত চেয়ারম্যান পদে স্থলাভিশিক্ত হন এবং অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এটি পরিচালনা করেন। আধুনিক শিক্ষা কেন্দ্র বলতে কেবল ইমারত সদৃশ আধুনিকতাই নয়, বরং প্রকৃতির নির্মল ছোঁয়াও যেন শিক্ষার্থীর জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎস হয়, সেই অভিপ্রায় জন্মলগ্ন থেকেই ধারণ করছেন এর উদ্যোক্তারা। এই অভিপ্রায় ও বিশেষত্বকে সামনে রেখে বনানীর অভিজাত এলাকায় প্রায় দেড় একর জমির ওপর অনাবিল প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে উঠেছে ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া। একই সঙ্গে চলছে এর স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম। এদের আছে, কম্পিউটার ল্যাব ও হাইস্পিড ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্লাস রুম, প্রজেক্টর, মাল্টিমিডিয়া, ওভারহেড প্রজেক্টর এবং ডিরেক্টর প্রজেক্টরে ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থাসহ উন্নত ল্যাব, লাইব্রেরি এবং পূর্ণ ও খন্ডকালীন পর্যাপ্ত অভিজ্ঞ শিক্ষক। যাদের সবাই দেশি-বিদেশি বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী। শিক্ষকমন্ডলীদের শিক্ষাদান পদ্ধতিও বিশ্লেষণধর্মী, আধুনিক এবং পরিকল্পিত। নিজস্ব ফ্যাকাল্টির পাশাপাশি এখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী এবং বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভরা গেস্ট টিচার হিসেবে নিয়মিত শিক্ষাদান করে থাকেন। পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখানে যুগোপযোগী নতুন বিভিন্ন বিষয় চালু করা হয়। একই সঙ্গে আছে উপযুক্ত ব্যবহারিক ক্লাস ও বাস্তব শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে ডিবেটসহ সহশিক্ষামূলক বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের পর্যাপ্ত সুযোগ। বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খন্ডকালীন জবে অংশগ্রহণের ব্যাপারে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করাসহ এখানে আছে ক্যারিয়ার হেল্প ডেস্ক, যার মাধ্যমে ক্যারিয়ারসংক্রান্ত গাইডলাইন তথা কাউন্সেলিং প্রদান এবং ক্যারিয়ার ফেয়ারের আয়োজন করা হয়। পাস করার পর পরবর্তীতে যারা দেশের বাইরে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী, তাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোলাবরেট বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে তারা পূর্ণ বা খন্ডকালীন স্কলারশিপ নিয়ে যাতে পড়তে পারেন, সে ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হয়। আর এজন্য রয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি হেল্প ডেস্ক। এখানে গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সরকার নির্ধারিত নিয়মের চেয়েও বেশি স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। এখানকার টিউশন ফি অপেক্ষাকৃত কম। সেমিস্টার ফি মাসিক কিস্তিতে পরিশোধের ব্যবস্থা এবং গ্রম্নপ অনুসারে ভর্তি হলে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হয়। এর প্রোগ্রামগুলো নিম্নরূপ : আন্ডার গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম : ব্যাচেলর অফ সায়েন্স ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএসটিই), ব্যাচেলর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ), ব্যাচেলর অফ আর্টস ইন ইংলিশ লিটারেচর অ্যান্ড কালচার (বিএ অনার্স), ব্যাচেলর অফ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি (বিসিএসআইটি) ও ব্যাচেলর অফ এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স (বিইএস)। গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামস : মাস্টার অফ কম্পিউটার সায়েন্স, মাস্টার অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, এক্সিকিউটিভ এমবিএ, মাস্টার অফ ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট, মাস্টার অফ পাবলিক হেলথ ও মাস্টার অফ নিউট্রেশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স। ডিপেস্নামা প্রোগ্রামস : ডিপেস্নামা ইন অপটোমেট্রি অ্যান্ড লো ভিশন ও ডিপেস্নামা ইন কম্পিউটার সায়েন্স। যোগাযোগ: বাড়ী ৭৮ ও ৭৬, রোড # ১৪, বস্নক # বি, বনানী, ঢাকা। ফোন : ৮৮৫৭০৭৩-৫, মোবাইল : ০১৯১৩-৮৫৪৫৬৯ ডবন ংরঃব: িি.িঁহরংধ.ধপ.নফ শিক্ষা কার্যক্রম : 'ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড' অর্জন করার লক্ষ্যে এখানে সেমিস্টার পদ্ধতিতে শিক্ষাদান করা হয়। প্রত্যেক সেমিস্টারের সময়কাল ৪ (চার) মাস। বছরে তিনটি সেমিস্টার, যেমন- জানুয়ারি থেকে এপ্রিল- স্প্রিং, মে থেকে আগস্ট- সামার এবং সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর- ফল সেমিস্টার। এই পদ্ধতির ফলে সারা বছরই ভর্তি প্রক্রিয়া চলে এখানে। এতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে ইয়ার গ্যাপ বা সেশন জটের আশঙ্কা থাকে না।