তরুণদের সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতার অভিযান

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আবুল বাশার মিরাজ পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হচ্ছে কক্সবাজার। একপাশে পাহাড় এবং অন্যপাশে সমুদ্র মিলে কক্সবাজারের সৌন্দর্য বেড়েছে কয়েকগুণ। সৈকতের পাশ ঘেঁষেই রয়েছে বিস্তৃত ঝাউবন। একের পর এক ঢেউ যখন সৈকতে আছড়ে পড়ে, তখন সমুদ্র যেন জানান দেয় তার অস্তিত্বের কথা। সবকিছু মিলিয়েই কক্সবাজার পৃথিবীর মানচিত্রে নিজের স্থান দখল করে আছে। প্রায় সারা বছরই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকদের আগমন ঘটে কক্সবাজারে। যা আমাদের অর্থনীতিতে খুব ভালো একটি প্রভাব ফেলছে। \হসবকিছুই ভেস্তে যাবে, যদি না আমরা আমাদের কক্সবাজারকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না রাখি। অনেক সময় নিজেদের ইচ্ছাকৃত ভুলে কিংবা মনের অজান্তেই আমরা সমুদ্রে বেড়াতে গিয়ে সৈকত নোংরা করে ফেলি। যেমন- যত্রতত্র চিপসের খোসা, পস্নাস্টিকের গস্নাস, পানির বোতল, জুসের প্যাকেট, সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ প্রভৃতি ফেলে আমরা সমুদ্রের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করছি। যা কোনোভাবেই আমাদের কাম্য নয়। এবার 'আমাল ফাউন্ডেশন'-এর সহযোগিতায় ট্রাশট্যাগ চ্যালেঞ্জ নামক ইভেন্টের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান চালানো হয়। কক্সবাজার জেলার স্থানীয় একদল তরুণ এতে অংশ নেন। এখন থেকে প্রতি সপ্তাহেই তারা এ অভিযান পরিচালনা করবেন। এজন্য তরুণরা ভিন্ন ভিন্ন দলে ভাগ হয়ে সৈকতের পার্শ্ববর্তী লাবণী পয়েন্ট, কবিতা চত্বর, শৈবাল পয়েন্ট, সুগন্ধাসহ সমুদ্রতীরের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করেন। দিনব্যাপী চলতে থাকে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান। এমন আয়োজনটি সম্পর্কে জানতে চাইলে কাওসার নামের এক তরুণ বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতটি আমাদের দেশের একটি মূল্যবান সম্পদ। এটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের সবার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। এখন থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি পর্যটকদের সচেতনতা বাড়াতে আমরা কাজ করে যাবো।