খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

সায়ন্তনের শেষবেলা

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মুহাম্মদ আশরাফুল আলম "আয় আয় বন্ধুরা ফিরে আয়- শৈশব কৈশোরের ঠিকানায় আর একটা দিন কাটুক না হয় সব ভুলে।" বন্ধুদের ফিরে আসার এই আহ্বান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষাসমাপনী ব্যাচ-১৬-র। খুবির এই শিক্ষাসমাপনী ব্যাচের সামগ্রিক নাম 'সায়ন্তন'। 'সহস্র প্রাণের প্রত্যয়ে, স্মৃতির উলস্নাসে' সায়ন্তনের শেষবেলার সমাপ্তি ঘটেছে রঙিন স্মৃতিতে। ২৬টি ডিসিপিস্ননের প্রায় আট শতাধিক শিক্ষার্থীর শেষবেলা রঙিন করতে এবং তাদের শেষের বার্তা জানান দিতেই তিন দিনব্যাপী এই আয়োজন; যেটির আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয় 'ফ্ল্যাশ মবের' মাধ্যমে। আরবোভাইরাসের 'স্কুল' গানের মতো সায়ন্তনদেরও আহ্বান করা হয়। সব ভুলে আর একটা দিন কাটানোর। সায়ন্তনদের এই আহ্বানে সাড়া দিতেই সেদিন ক্যাম্পাসের হাদি চত্বরে ফ্ল্যাশ মবে হাজির হন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। হাদি চত্বরে বৃত্তের মতো করে দাঁড়িয়ে সায়ন্তনের অনুজেরা। আর সেই বৃত্তের মাঝে সায়ন্তনের আহ্বান- আয় আয় বন্ধুরা ফিরে আয়- শৈশব কৈশোরের ঠিকানায় আর একটা দিন কাটুক না হয় সব ভুলে আয় আয় বন্ধুরা ফিরে আয়- সবুজ মাঠের সোনালি ছায়ায় হাসবো মোরা প্রাণ খুলে সবাই মিলে. . . . একঝাঁক শিক্ষার্থীর গানের সঙ্গে নাচের নৈপুণ্য মুহূর্তেই দর্শকের ভিড় বাড়ে। ভিড় করা দর্শকের বুঝতে বাকি থাকে না ফ্ল্যাশ মবটি খুবির এবারেরর্ যাগের প্রচারণা। তিন দিনব্যাপী আয়োজনের প্রথম দিনটার শুরুর্ যালি দিয়ে।র্ যালিটি শুরু হয় ক্যাম্পাসের হাদি চত্বর থেকে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরের্ যালিটি শেষও হয় একই চত্বরে। সেখানে বাহারি রঙের আয়োজন চোখে পড়ে। ঢালিতে সাজানো লাল, নীল, সবুজ, হলুদ ও বেগুনি রঙের আবির। এ যেন রঙের পসরা! মুহূর্তেই রং উৎসবে মেতে উঠেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। খুবির শিক্ষার্থীদের কাছে এই আয়োজন কালার ফেস্ট নামে পরিচিত। আয়োজকরা জানান,র্ যাগ-১৯ শিক্ষাসমাপনী ব্যাচ-১৬ শুধুমাত্র আয়োজকের ভূমিকায় থাকেন। এইর্ যাগ অনুষ্ঠানটি ক্যাম্পাসের সব শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততা থাকে। বিদায়ী ব্যাচের অর্থনীতি ডিসিপিস্ননের শিক্ষার্থী শেখ সাইফ বিপস্নব বলেন, মাত্র একটা শব্দ সায়ন্তন। আট শতাধিক শিক্ষার্থীর সামগ্রিক নাম 'সায়ন্তন'। জমিয়ে রাখা ভালোবাসা আর সহস্র স্মৃতির আয়নায় 'সায়ন্তন'। শেষবেলার চাপাকান্নায় বুকভেজা প্রতি ফোটা চোখের অশ্রম্নতে সায়ন্তনের সমাপ্তি। চোখের প্রতি ফোটা অশ্রম্ন প্রমাণ করে চার বৎসরের তিল তিল করে জমানো স্মৃতি। হৃৎপিন্ড ভরা ভালোবাসাগুলো কত খাটি! কত নিবিড়! কত বিশুদ্ধ ছিল! শিক্ষাসমাপনীর শেষদিনের কনসার্টে শিক্ষার্থীরা আর্কের হাসান ও অর্ণবের সুরে মাতেন। এ সময় পুরো ক্যাম্পাস রঙিন আলোকসজ্জা 'সায়ন্তন'দের শেষবেলা রঙিন করে।