ই স লা মী বি শ্ব বি দ্যা ল য়

সম্ভাবনাময় টু্যরিজম বিভাগ

প্রকাশ | ২৮ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

আদিল সরকার
এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করে মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে কি নিয়ে স্নাতক পড়বেন। মা-বাবা, বন্ধু, আত্মীয়স্বজনসহ আশপাশের একেক জনের একেক মতামত। সময়ের স্রোতে না ভেসে আপনি পড়তে পারেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনাময়ী টু্যরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে। যা পর্যটন ও সেবাবিষয়ক প্রয়োগিক জ্ঞানের পাঠ। যেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত। অপার সম্ভাবনাময় এ বাংলাদেশ টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত যেন প্রকৃতির সৌন্দর্যের লীলাভূমি। এই প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিনিয়ত ছুটে আসে দেশীয় ও বিদেশি পর্যটকরা। তাই তো বাংলাদেশে টু্যরিজম ও হসপিটালিটি ক্ষেত্রে থাকছে অধিক সম্ভাবনা। আর পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে স্বভাবত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের এই দেশকে উপস্থাপনা বা প্রচারের অভাবে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনার আলো যেন মিট মিট করে নিভে যাচ্ছে। তাই এই সম্ভাবনাকে ফুটিয়ে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে টু্যরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে পড়া কার্যকর। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু রয়েছে এই বিভাগটি। যেখানে বিবিএ, এমবিএ ও সান্ধ্যকালীন এমবিএ প্রোগ্রাম চালু আছে। তাছাড়া কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও আছে এই বিভাগটি। এ ছাড়াও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন টু্যরিজম ও হোটেল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ১৮ সপ্তাহের সার্টিফিকেট কোর্স এবং এক ও দুই বছর মেয়াদি ডিপেস্নামা প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই টু্যরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগটি ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের ২৫ তারিখ যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে দুই ব্যাচ মিলিয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১৫৬ জন। চার বছরের এই বিবিএ কোর্সে ভর্তি হতে চাইলে প্রার্থীকে এইচএসসি পাসের পর কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেয়া যোগ্যতা অনুযায়ী 'সি' ইউনিটের পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। আর যেখানে বরাদ্দকৃত ৭৫টি আসনে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে তারা। বর্তমানে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ শিল্প হলো পর্যটন শিল্প। বিশ্বের কর্মসংস্থানের দিক দিয়ে ১১ শতাংশ দখল করে আছে এই পর্যটন শিল্প। তাই এই টু্যরিজম বিভাগের শিক্ষার্থীদের দেশের অভ্যন্তরে পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাত, ট্রাভেল এজেন্সি, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, হোটেল ব্যবসায়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেই দ্বার উন্মোচিত। বিশ্বায়নের জোয়ারে চাকরির বাজার শুধু দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। দেশের বাইরেও রয়েছে পর্যটন কেন্দ্রিক চাকরির সুযোগ। বর্তমানে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, পোল্যান্ড, সাইপ্রাসসহ বিভিন্ন দেশে রয়েছে এই বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন করার সুযোগ। পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভর করে এসব দেশে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, রিসোর্স, টু্যর কোম্পানি ও ট্রাভেল এজেন্সি। এসব দেশে এখনও দক্ষ ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন লোকের চাহিদা। এদিকে সাধারণত অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের মতো সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে ও ব্যবসাসহ বিভিন্ন সেক্টরে চাকরি করার সুযোগ তো রয়েই গেছে। সব মিলিয়ে এই স্বপ্নের বাংলাদেশে টু্যরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি সেক্টরে দিন দিন বেড়েই চলছে বলে ধারণা করে অভিজ্ঞরা। সম্ভাবনাময় এই বিভাগ নিয়ে ইবির টু্যরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফিন বলেন, দেশে পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব এতই বেশি যে, বাংলাদেশ সরকার ও ইউজিসি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে টু্যরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ খুলেছে। এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরসহ বিদেশেও চাকরির বহু ক্ষেত্র রয়েছে।