দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
এ আলম সৎ ও দক্ষ মানবসম্পদই বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারে। বাংলাদেশের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে হলে উচ্চশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আর সেই মানবসম্পদ গড়ার কাজই ধারাবাহিকভাবে করে আসছে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তর সফলভাবে সম্পন্ন করার পর উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রতিটি শিক্ষার্থী খুঁজে ফেরে কাঙ্ক্ষিত ক্যাম্পাস। নিজেকে দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার এই যুদ্ধে প্রতিটি শিক্ষার্থী একটি প্রথম সারির উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সন্ধান করে। সেশনজট না থাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোর্স সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। ফলে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ঝুঁকে পড়ে। আর এ ক্ষেত্রে পুরনো ও স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে রাখে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ প্রথম পর্ব, তুলে ধরা হবে দীর্ঘ ২ যুগের অধিক সময়ের পরিচালিত উচ্চশিক্ষার আলোকবর্তিকা এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ নিয়ে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এইউবি) ১৯৯৬ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। ইতোমধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষালাভ করে হাজারো শিক্ষার্থী স্ব স্ব ক্ষেত্রে যোগ্যতার সাক্ষর রেখে চলছে। প্রফেসর ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক এইউবির উপাচার্য। দেশীয় শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার প্রয়াসী ছিলেন তিনি। এই লক্ষ্যে ৮০-র দশকের শেষদিকে তিনি একটি রূপরেখা দাঁড় করান। সেই রূপরেখার আলোকে প্রতিষ্ঠিত এইউবি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরো সমৃদ্ধ হয়েছে। মেধার মূল্যায়ন ও সুষ্ঠু পরিচর্যার মাধ্যমে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে এই বিশ্ববিদ্যালয় আজ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। দরিদ্র মেধাবীদের সুযোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ ও ওয়েভার সুবিধা। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরাও এখানে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ সুবিধা পেয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবস্থা। এ ছাড়াও এইউবির স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাতায়াতের জন্য রয়েছে নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থা। ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু সড়কের গা ঘেঁষে প্রায় ১০ একর জমির ওপর এশিয়ান ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মিত হয়েছে। ইতোমধ্যে সবুজে ভরপুর ক্যাম্পাসটি শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য ফুটবল মাঠ, ক্রিকেট মাঠ, বেসবল ও ভলিবল মাঠ তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়াও ইনডোরে রয়েছে টেবিল টেনিস, ক্যারাম, দাবাসহ অন্যান্য খেলার সামগ্রী সংযোজিত হয়েছে। এইউবি শিক্ষার মান বজায় রেখে সৎ ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে এ দেশের মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে আরো উজ্জ্বল করে তুলে ধরবে বলে আমাদের বিশ্বাস। পাশাপশি সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মানবসম্পদ তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এই আমাদের প্রত্যাশা।