বিদেশে উচ্চশিক্ষা

ইউরোপের শ্রেষ্ঠ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিবিএস

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
তানভীর রায়হান বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সরকারি ৩৬টি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৪০৬৮টি। বেসরকারি ৫৪টিতে রয়েছে প্রায় ৬ হাজার। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৪৯ হাজার। অর্থাৎ সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আসন স্বল্পতার কারণে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী দেশের কোনো মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারছে না। এই বাস্তবতায় ইউরোপে এমবিবিএস পড়ার অপার সুযোগ এসেছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য। ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের ১৫০ বছরের পুরনো দোনেটস্‌ক ন্যাশনাল মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে (ডিএনএমইউ) তৈরি হয়েছে এই সুযোগ। ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩৭টি বিভাগ রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারর্ যাংঙ্কি অনুযায়ী এটির অবস্থান বিশ্বে ১৫তম। বিভিন্ন দেশের ৪ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী রয়েছে এখানে। প্রতি বছর ১৯৬টি দেশের শিক্ষার্থী পড়তে আসে এখানে। এটি এমনই এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে রয়েছে ৫২টি একাডেমিক ভবন, ৫৭টি কম্পিউটার ল্যাব, ১৬টি আবাসিক হোস্টেল, ২৮টি হাসপাতাল, ৭টি স্টেডিয়াম এবং ২২টি বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র। ২৮টি হাসপাতাল থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক শিক্ষার সুযোগ অনেক। তারা নিজেদের গড়ে তুলতে পারে বিশ্বমানের চিকিৎসক হিসেবে। ফলে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে ইউরোপ-আমেরিকায় যাওয়া চিকিৎসকরা প্র্যাকটিস করতে গেলে যেখানে আবার দীর্ঘ কোর্স করতে হয়ে, সেখানে ডিএনএমইউর শিক্ষার্থীদের তা লাগবে না। তারা সরাসরি প্র্যাকটিস শুরু করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়টি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন মেডিকেল কাউন্সিল, নিউইয়র্ক মেডিকেল কাউন্সিল, কার্ডিফ ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার, ফ্রান্স মেডিকেল কাউন্সিলের যৌথ গবেষণা অংশীদার। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, বিজ্ঞানী ও শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় আন্তর্জাতিক জার্নালগুলোতে। ডিএনএমইউর মেডিকেল ডিগ্রি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনেস্কো, পিএলইউবি (ইউকে), ইউএসএমএলই (যুক্তরাষ্ট্র), ইউরোপিয়ান মেডিকেল কাউন্সিল, মেডিকেল কাউন্সিল অব আফ্রিকা অ্যান্ড এশিয়ান কান্ট্রিজ কর্তৃক অনুমোদিত। তাই এমবিবিএস পড়া শেষে চাকরির জন্য কোনো প্রফেশনাল পরীক্ষা দিতে হয় না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পাস হতে হবে। তবে জীববিজ্ঞানে জিপিএ কমপক্ষে ৩.৫ থাকতে হবে। পড়াশোনার মাধ্যম ইংরেজি হলেও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আইএলটিএসের প্রয়োজন নেই। এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনের পর শিক্ষার্থীরা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে নাগরিকত্ব নেয়া ও বসবাসের সুযোগ পাবে। এ ছাড়াও পড়াশুনাকালে গ্রীষ্মের ছুটিতে ইউরোপের যে কোনো দেশে গিয়ে ৩ মাস কাজ করার সুযোগ রয়েছে। যোগাযোগ : সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিআইএস) বাড়ি-২৭, রোড-২, সেক্টর-৯, উত্তরা, ঢাকা। ফোন: ০১৬৪২০২০২৭৯, ০১৬৭৭৫৫৩৭৩৮। ইমেইল-রহভড়@পবহরং.পড়.ঁশ আগামী জানুয়ারি সেশনের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সার্কভুক্ত দেশসমূহের শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে ডিএনএমইউ দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন করেছে।